পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৭২ প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩৭ { ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড তদ্ভিন্ন সকল প্রদেশের লোককে যুদ্ধ শিখিতে দিবার আরও একটি কারণ আছে। গবন্মেটি সামরিক বিভাগের জন্য যে টাকা খরচ তাহ দেশের সব প্রদেশের সকল শ্রেণীর লোকদের দেওয়া ট্যাক্স হইতে করেন। সব প্রদেশের সর্বশ্রেণীর লোকে ট্যাক্স দেয় বলিয় তাহাদের সকলেরই সেনাদলে গিয়া অর্থ উপার্জনের অধিকার থাকা উচিত। মানসিক ও শারীরিক বল এবং সাহল কোন জাতির, প্রদেশের ও শ্রেণীর একচেটিয়া নহে । অতএব শক্তি ও সাহসের ক্যঞ্জ করিবার অধিকার,সকলকে দেওয়া উচিত । যাচাদিগকে শক্তিহীন ও সাহসহীন মনে করা হয়, উপযুক্ত শিক্ষার সুযোগ দিলে তাহারাও শক্তিমান ৭ সাহসী হইতে পারে । কিন্তু সুযোগ না পাওয়ায় যাহার একসময়ে শক্তিমান ও সাহসী ছিল তাহার এখন পৌরুষহীন হইয়া পড়িয়াছে । করেন, শিক্ষার জন্য তেত্রিশ লক্ষ টাকা দান মধ্যপ্রদেশের রাও বাহাদুর ডি লক্ষ্মীনারায়ণ ম্যাঙ্গানীজের খনির মালিক ছিলেন এবং ঐ ধাতুর ব্যবসা করিতেন। তিনি ব্যবসাবুদ্ধি ও অক্লান্ত পরিশ্রম দ্বারা প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা অর্জন করেন । ইহার প্রায় সমস্তই তিনি উইল দ্বারা দান করিয়া গিয়াছেন। নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে তিনি তেত্রিশ লক্ষ টাকা দিয়া গিয়াছেন । এই টাকার আয়ু ব্যবহারিক বিজ্ঞান (applied science ) শিক্ষা দিবার নিমিত্ত ব্যয় করিতে হইবে । ভারতবর্ষে ব্যবহারিক বিজ্ঞান শিক্ষা দিবার বন্দোবস্ত সামান্তই আছে। তাহার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা না হইলে আমরা চিরকালই বিদেশ হইতে নানাবিধ পণ্য দ্রব্য আমদানী করিতে বাধ্য থাকিব। সেই জন্য কিছু দিন পূৰ্ব্বে স্যার মোক্ষগুগুম্‌ বিশ্বেশ্বরায় মান্দ্রাজের আয়মালাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভোকেশ্বনে এমন কথা পৰ্য্যস্ত বলেন, যে, এখন পনর বৎসর সাহিত্যাদির শিক্ষা বন্ধ রাখিয়া কেজে শিক্ষা চালান হউক। ইহা অবত শিক্ষা বিষয়ে চরমপন্থীর প্রস্তাব ; কিন্তু ইহাতে প্রভূত সত্য আছে, স্বীকার করিতে হইবে । নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে তেত্রিশ লক্ষ টাকা ছাড়া লক্ষ্মীনারায়ণ মহোদয় সার্ভেণ্টস্ অব ইণ্ডিয়া সোসাইট অর্থাৎ ভারতভৃত্য সমিতিকে একলক্ষ টাকা দিয়া গিয়াছেন। তিনি জীবিত কালেও অনেক দান করিতেন । পৌষ মাসের সভাসমিতি প্রতি বৎসর পৌষ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বহু বৎসর ধরিয়া খ্ৰীষ্টমাসের ছুটিতে কংগ্রেসের অধিবেশন হইয়া আসিতেছিল। লাহোরে উহার গত অধিবেশনে স্থির হয়, যে, অতঃপর উহা ডিসেম্বর মাসে না হইয়া ফেব্রুয়ারা বা মার্চ মাসে হইবে । তদনুসারে এবার পৌষ মাসে কংগ্রেসের অধিবেশন হয় নাই । কংগ্রেসে প্রতিনিধি ও দর্শক রূপে নানা স্থান হইতে অনেক নরনারী একত্র হওয়ায় তাহাতে ভারতবর্ষের একতা বৃদ্ধির সাহায্য হইত। এত লোক একত্র হওয়ায় অন্ত নানা রকম সভাসমিতির অধিবেশনও কংগ্রেসের সময়ে হইত। এবার পৌষ মাসে কংগ্রেস না হওয়ায় এইরূপ অনেক সভাসমিতির অধিবেশন হয় নাই । কিন্তু অন্য কোন কোন সভাসমিতির অধিবেশন নানা স্থানে হইয়াছে। সেই সবগুলির উল্লেখমাত্রও করিতে পারিব না, কয়েকটির করিব । প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মিলন তাহার মধ্যে একটি । ইহার অধিবেশন • আগ্রায় হইয়াছিল। বঙ্গের বাহিরে যে-সকল বাঙালী বাস করেন, ইহা তাহাদের বাধিক সাহিত্যিক সভা। এবার ঐতিহাসিক স্তার যদুনাথ সরকার সাধারণ সভাপতি নিৰ্বাচিত হইয়াছিলেন। তাহার বিদ্যাবত্তার কথা ছাড়িয়া দিলেও তাহার্কে নিৰ্ব্বাচিত করা এই কারণে স্থশোভন হুইয়াছিল, যে, তিনি জীবনের বহু বৎসর বঙ্গের বাহিরে পাটনায় कांछ रुद्रिब्राझिालन । भएनक नूह मूब शन इहें८७