পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-ર যেদিন বনলতা বউ হ’য়ে এল, সেদিনকার সানায়ের সুর অশোকের মনে এক অভাবিত চেতন জাগিয়ে তুললে । কেবলই সে মনে মনে বললে-এও কি সম্ভব ? উনি এলেন আমাদের ঘরে গৃহলক্ষ্মী হ’য়ে যিনি স্বয়ং নারায়ণের ঘরেও অচলা শীতে বিরাজ করতে পারতেন । বনলতা চায় ছোট দেওরটির সঙ্গে ভাব করতে । শ্বশুরবাড়ীর বন্ধ হাওয়ার মাঝখানে ঐ সাদাসিদে ছেলেমাতুয ছেলেটিকে ওর বড় ভাল লাগে ; ওর সঙ্গে কথা কইতে পেলে ও যেন মুক্তি পায় ; ওর ভিতরকার বালিকা-মনটি খেলা ভুলে অসময়ে কাজের ঘরে এসে পৌছেচে, তাই অশোককে দেখেও সে চকিত হয়ে ওঠে কোন হারিয়েযাওয়া আনন্দের নেশায় । কিন্তু অশোককে বনলতা ডেকে ডেকেও পায় না। মুখ রাঙা করে অশোক দূর হতে চেয়ে দেখে ; ঐ ডাকটকু ওর মনে যে স্নর জাগিয়ে তোলে তারি অনন্দে বিভোর হয়ে ও যেন আসতে ভুলে যায়। 条 杀 ఖడ్గ - i শেষে একদিন পরিচয় হ’ল । : সেদিন সকাল থেকে বুষ্টি পড়ছে—বাড়ীর দুয়ারে এক হাঢ় জল ; সন্ধ্যা না হতে তাধার নেমে এসেছে ; সমস্ত বাড়ীটা শোকাচ্ছন্ন বিধবার মত থম থম্ করছে । বনলতার শাশুড়ী বেলাবেলি দুয়ার বন্ধ করে শুয়ে পড়েছেন ; অনন্ত একথান। ইংরেজী নভেল নিয়ে শুয়ে শুয়ে পড়ছে ; বনলতা তার সঙ্গে কথা কইতে এসে জবাব পায়নি । তাই সে ঘুরতে ঘুরতে এল অশোকের ঘরে । সে তখন পড়ার বই খুলে বক্ষণমুখর বাইরের দিকে চেয়ে আছে—কি ভাবছে সে নিজেই জানে না । বনলতা কাছে এসে ডাক্লে, “এই শোনে " অশোক চমকে চাইলে ; কতদিন ও মনে মনে ভেবেছে বনলতা এমনি করে একদিন আসবে তার ঘরে—সেদিন সে শুধু তার আসা হবে না, সে হবে আবিভাব। ষা ওর কল্পনায় ছিল তাই হ’ল আঞ্জ সত্য। তাড়াতাড়ি দাড়িয়ে উঠে বললে, “বস্বে না ?” বনলতা বললে –“মুড়ি খাবে বেগুনি দিয়ে ?” অশোক হেসে বললে, “কোথায় পাবে ?” কাপড়ের তাচল তুলে বনলতা দেখালে অপরূপ মুখরোচক সেই পদার্থ। প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩৭ MSMAMAMMMAMASAMMMAMSJJJJSMAJS AASAASAASAASAAMMMAMASAMMMASAMMAAAA .. [ ৩০শ ভাগ, ২য় খণ্ড - - - - - - - - ч.ч. SAMMMAMMAAMMAMMAMMMAMAMAeAAAS AAAS তার পর কখন দুজনের সঙ্কোচ কেটে গেল, আলাঃ সহজ হয়ে উঠলো । - অশোক বললে, “দেখি না তোমার গলার হার, ৪ পদকে কি লেখ আছে—” বনলতা হার খুলে দিলে, পদকে লেখা “ভুলে না । অশোক আবদার করে বললে, “আমায় হারটা দে: ç«fxfa–” বনলতা হেসে বললে, “দূর্—” 黎 来 努 এমনি সময় একদিন এল অনস্তের বদলির থবর-- বনলতাকে নিয়ে সে চলে যাবে মীরাটে । যাত্রার আয়োজনে বনলতার মন খুশী হয়ে উঠেছে । পশ্চিমে যাবার জন্তে তার মনে এতখানি ঘুমন্ত বাসন ছিল তা তে। সে আগে জানে নি। কিন্তু সে চমূবে উঠলে হঠাৎ অশোকের মলিন মুখ বনল • যে যাবার কথায় এতখানি খুশী হয়ে উঠেছে – এ ফে. অশোক সইতে পারছে না। তাই সে যখন বললে “আবার গরমির ছুটিতে আসব, ভাই —” তখন অশে। বলে উঠলে, “তুমি আসে-আর-না-আসে। আমার তা’নে কি ?”— অনন্তের সঙ্গে বনলতাকে যেতেই হবে এ কথ{ট? খে | -یہ. অশোক বোঝে ; তবু বনলতার উপর অভিমান হয়-- কেন ও অত খুশী হয়ে চলে যাচ্ছে ! তাই যাত্রার দিনে সে এল না সামনে । বনলতার উংস্থক দুটি চোখ গাড়ীর খড়খড়ির ফাক দিয়ে চারি দিক খুজলে, কিন্তু তার দেখা পেলে ন! । মীরাটে গিয়েই বনলতা চিঠি লিখলে, অশোক জবাব দিলে না । সাত দিন পরে আবার এল চিঠি বড় বড় আকাবাক অক্ষরে ; এবার শুধু লিখেছে “বড় মন কেমন করে, চিঠি দিও।” অশোক হাতের মুঠোয় চিঠিট। শক্ত করে চেপে রেখে চোখের জল আসতে দিলে না,-- ছুটে চলে গেল খেলার মাঠে ম্যাচ দেখতে । 务 杀 禄 努 貂 তার পর একদিন হঠাৎ অনন্ত ফিরে এল একা । ঝোড়ো কাকের মত তার চেহারা, সৰ্ব্বহার ভিখারীর