পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

łಿಕ್ತಿ 川" -- W 'll | R - a ছুক্ষরতার ও বিপদের আহবান কোন কোন ধৰ্ম্মবিধি সম্বন্ধে তাহার সমর্থকের বলিয়৷ থাকেন, মানবপ্রকৃতির দুর্বলতা বিবেচনা করিয়া ঐরূপ ব্যবস্থা করা হইয়াছে ; কেন না, যে আদর্শের অনুসরণ করা অতি কঠিন,বা কতকটা কঠিন,সেরূপ আদর্শ মামুষের সম্মুখে ধরিলে অল্পলোকেই তাহার অমুসরণ করিতে পারিবে । র্যাহার এরূপ কথা বলেন, তাহারা বিস্তৃত হন, যে, ধৰ্ম্মের মহত্বই এইখানে যে তাহ মাতুষকে দুষ্কর কাজ করিতে বলে, মহৎ আদর্শের অমুসরণে দুঃখ ও বিপদকে অগ্রাহ করিতে বলে । যাহা সহজ, ধৰ্ম্ম যদি আমাদিগকে কেবল তাহাই করিতে বলিত, তাহা হইলে মানুষের উন্নতি হইত না । ‘কেজো ধৰ্ম্মবিধির সমর্থকেরা আরও এই একটি কথা ভুলিয়া যান, যে, অনেক মানুষ যেমন আরামের বিলাসের সহজসাধ্যতার আহবানে সাড়া দেয়, তদ্রুপ অনেকে ছুক্ষরতার ও বিপদের ডাকেও সাড়া দেয়। বস্তুত:, যাহাদের মনুষ্যত্ব আছে, পৌরুষ আছে, শক্তি আছে, সাহস আছে, তাহারা দুঃসাধ্য যাহা, বিপদসঙ্কুল যাহা, তাহার ডাকেই বেশী সাড়া দেয়। নতুবা মানুষ কৈশোরে ও যৌবনেও কাঠের ঘোড়া চড়িতেই ভালবাসিত, তেজীয়ান জীবন্ত ঘোড়া চড়িতে চাহিত না । এই জন্ত দুঃসাহসের কাজ করিতে যাওয়া সকল দেশেই যৌবনের ধৰ্ম্ম। বৈধ এরূপ কাজ করিবার স্থযোগ কোন দেশে না থাকিলে, যৌবনের ধৰ্ম্ম অনেককে বিপথে লইয়া যায়। রাষ্ট্ৰীয় কৰ্ত্তব্য পালন করিবার জন্য, স্বাধীনতা লাভের চেষ্টা করিরার জন্য, যে-সব উপায় অবলম্বনে কোন · বিপদ নাই, তাহ পরীক্ষা করিয়া দেখায় দোষ নাই। বক্তৃতা করা, প্রস্তাব ধাৰ্য্য করা, সমালোচনা করা, তর্কবিতর্ক করা, প্রতিবাদ করা—এ সব কোনটাই দোষের নয়। কিন্তু যখন দেখা যাইতেছে, যে, এ সবে সমুচিত ফললাভ হয় না, তখন ঐ সব সহজসাধ্য উপায় অবলম্বনই কলুর ঘানির বলদের মত আমরা চিরকাল করিতে থাকিব, এরূপ আশা বা ব্যবস্থা করা উচিত নয়। র্যাহার এই সব উপায় অবলম্বনই যথেষ্ট মনে করেন, তাহারা এই উপায়গুলিও পূর্ণমাত্রায় এবং চূড়ান্তরূপে কৌন্সিলগুহের বাহিরে অবলম্বন করেন না। যাহাতে জেলে যাইতে হয়, জরিমান দিতে হয়, সেরূপ সত্য কথা সাধারণতঃ 'চরম পন্থীরাই কৌন্সিলগুহের বাহিরে বলেন, লেখেন । ছুক্ষরতার ও বিপদের সম্মুখীন হইতে হইবে। কিন্তু তাহার জন্য গহিত কিছু করিবার দরকার নাই। মহাত্মা গান্ধী আইন-লঙ্ঘনের যে পথ দেখাইয়াছেন তাহাতে বিপদ আছে । কিন্তু বিপদের , আশঙ্কা সত্যাগ্রহীদিগকে নিবৃত্ত করিতেছে না। দলে দলে সত্যাগ্ৰষ্ঠী জুটিতেছে। মহাত্মা গান্ধী যদি এমন কোন উপায় নির্দেশ করিতেন, যাহাতে আরও বেশী বিপদ আছে, তাহা হইলে হয় ত এমন অনেক লোক আইন লঙ্ঘন প্রচেষ্টায় যোগ দিতেন র্যাহার এখনও তাহাতে যোগ দেন নাই। সশস্ত্র বিপ্লবপ্রয়াসীরা এই শ্রেণীর লোক । অন্য লোকও থাকিতে পারেন । অবশ্ব, র্যাহার বেশী বিপদের আহবান শুনিতে প্রস্তুত, তাহাদের পক্ষে কম বিপদের পথে যাইতে কোন বাধা নাই । ভারতীয় ও বিলাতী কোন কোন ইংরেজদের কাগজ লবণ প্রস্তুত করিয়া আইন লঙ্ঘন ও তদ্বারা স্বাধীনত। অর্জনের চেষ্টাকে উপহাস করিতেছে, প্রহসন বলিতেছে । মহাত্মা গান্ধী যদি স্বাধীনতালাভের জন্য দুএকটা মানুষের প্রাণ বধ করিতে বলিতেন, তাহ হইলে অবশ্ব আইনলঙ্ঘন প্রচেষ্টাটা প্রহসন হইত না ; কিন্তু তাহাও কি