পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] বটে, পূৰ্ব্বযুগের প্রাঞ্চলত কিন্তু খানিকট নষ্ট হইয়া গেল । অর্থকে অতিক্রম করিয়া অর্থের ব্যঞ্জন বড় হইয়া উঠিল । প্রকৃতির পূজা এবং সাধারণ বাস্তবের অসাধারণত্ব লইয়া রোমাটিক যুগের আরম্ভ। সেই সঙ্গে সাহিত্যে অতীতের স্মৃতিও অপরূপ রূপে দেখা দিল। ক্রমে পুরাতন অনেক জিনিষের মত অতীতের কল-মহিমাও গুণিজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করিল। আর্ট প্রতিষ্ঠালাভ করিল। ইহা হইল রোমান্টিসিজমের তৃতীয় পৰ্ব্ব । ওয়ার্ডসওয়ার্থ কোলরিজ ইহার প্রথম পর্বের এবং শেলী কীটুস ইহার দ্বিতীয় পর্বের কবি-পুরোহিত । আর্ট আন্দোলনের প্রবর্তৃকগণকে প্রি-র্যাফেলাইটস বল হইত। রসেটি, মরিস, সুইনবার্ণ প্রভৃতিকে লইয়া এই দল গড়িয়া উঠিয়ছিল । এই দলের অনেকেই ছিলেন একাধারে কবি ও কলাবিং । দলের অন্তভুক্ত না হইলেও রাসকিন ছিলেন ষ্টতাদের মতের অতুরাগী। রাস্কিনের আর্টধর্মের ব্যাখ্যা সে-সময়ের ইংরেজী পাঠকের পরম উপভোগের বস্তু হইয়| উঠিয়াছিল । রাসকিন হইতে অস্কার ওয়াইল্ড পয্যন্ত বহু সুদীজনের বিচিত্র ব্যাখ্যায় আর্ট অর্থগৌরবে অসাধারণ হইয়া উঠিয়াছিল । তাই উনবিংশ শতাব্দীর ইংরেজী সাহিত্যে দেখিতে পাই, আট শব্দটিকে ঘিরিয়া একটি রোমাণ্টিক ভাবের ছট, একটি ইঙ্গিতের পরিমণ্ডল রচিত হইয়া উঠিয়াছে । সেই রোমাণ্টিক যুগের সাহিত্য হইতে শব্দটি গৃহীত হইয়াছে বলিয়া আমাদের দেশেও আর্টের সংজ্ঞ স্বনিদিষ্ট হয় নাই। বুঝিয় এবং না বুঝিয়া বাক্যটি আমরা ইচ্ছামত অর্থে প্রয়োগ করি। বহুকালের তর্ক ও আলোচনার ফলে বৰ্ত্তমান ইংরেজী সাহিত্যে ইহার অনিৰ্দ্দিষ্টতা কাটিয়া গেলেও বাংলার আর্টে এখনও পর্য্যস্ত রোমান্টিক অস্পষ্টত রহিয়া গেছে। ভগবানের স্থষ্টি প্রকৃতি, আর্টের ইহাই প্রাথমিক অর্থ । প্রকৃতি সকল শক্তির ভাণ্ডার । নূতন শক্তি স্বষ্টি করিবার ক্ষমতা মানুষের নাই। মানুষ নিজের উদ্দেশ্য মাতুষের স্বষ্টি আট । আর্টের অর্থ AAAAAA SAAAAA AAAAMMMMAMAMAMAAMSMSMAMAMAMMMMAMMAMA SAJS \లిసిసి SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS --یہم۔م۔م۔م۔م۔م۔م۔م۔م۔م۔م۔م۔م۔۔ সিদ্ধির প্রয়োজনে স্বভাবের শক্তিকে নানারূপে নিয়ন্ত্রিত করে মাত্র। এই হিসাবে হয়ত প্রকৃতি হইতে পৃথক অস্তিত্ব আর্টের নাই। প্রকৃতির দিক দিয়া দেখিলে ইহা সত্য হইতে পারে। আমরা কিন্তু আর্টকে মানবসম্পর্কেই দেখি । শক্তির উৎস যেখানেই থাক, মাতুষ যখন সেই শক্তিকে কাজে খাটাইয়া লয় তখনই আর্ট জন্মগ্রহণ করে। আর্ট হইতেছে, উদ্দেশু-সাধনের উদ্দেশে উপায়ের প্রয়োগ । আট স্বয়স্থ নয়, মানবের চেষ্টাকৃত । প্রকৃতিকে দুই রূপে দেখি । বাহিরে বিশ্বপ্রকৃতি, মনের ভিতর অস্তঃপ্রকৃতি । অর্থাৎ জগতে হোক অস্তরে হোক, যে-সকল ব্যাপার স্বতই ঘটিতে দেখিতে পাই, কিন্তু যাহাদের ঘটনায় আমাদের কোন হাত নাই, সেগুলিকে বলি প্রকৃতির লীলা । এই লীলার অন্তরালে যে শক্তির সমগ্ৰত কল্পনা করি, তাহাকে বলি প্রকৃতি । অতএব চেষ্ট-নিরপেক্ষ ব্যাপার মাত্রই প্রাকুতিক । কিন্তু বাবুই পাপীও বাস বাধে, মৌমাছি ও মৌচাক গড়ে, চেষ্টা-যত্বের ক্রটি ত উহাতে থাকে না । এই-সব রচনাকে স্বভাবজাত বলিব, ন! আট বলিব ? জীব সহজ প্রবৃত্তির বশে বাহ করে, তাহা স্বভাবের আস্তর্গত। মাহুষও সহজ প্রবৃত্তির প্রেরণায় যে কাজ করে তাহ আট নয় । আর্টের মধ্যে একটা সঙ্কল্প থাকে, ফললাভের অভিলাষ থাকে। উদেশ্বসিদ্ধির জন্য মানুষ যখন অন্তকূল উপায়ের প্রয়োগ করে, চেষ্ট যত্ন ও অষ্টধানের ফলে সে যখন কিছু গড়িয়া তোলে, তখনই তাহ! আট হয়। আটের মধ্যে মাহুষের বিচার অভিনিবেশ সঙ্কল্প সাধন থাকে। প্রাচীন যুগের হাড়ি-কুঁড়ি হইতে আরম্ভ করিয়া আধুনিক কালের স্বাক্ষ কল-কক্ত পৰ্য্যস্ত প্রাথমিক অর্থে আট । আর্ট চেষ্টার ফল । অনাস্বাসপ্রস্থত বলিয়া কোনো কোনো কাব্যরচনা সম্বন্ধে আমরা বলি, ইহাতে আট নাই, এ রচনা স্বত-উচ্ছসিত, স্বাভাবিক। কথাটা সম্পূর্ণ সত্য নয়। মানুষের সাধনায় আর্টের স্বষ্টি । রচনা মাত্রই আট । একদিকে মানব-সম্পর্ক ধরিয়া আর্ট ও প্রকৃতির মধ্যে যেমন ব্যবধান করি, আর-একদিকে তেমনি বিশুদ্ধ জ্ঞান হইতে কৰ্ম্মকে পৃথক করিয়া বিজ্ঞান ও আর্টের মধ্যে সীমারেখা টানি । বিজ্ঞানে আমরা নানা তথ্য ঘটনা এবং