পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ᎽᏬ প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম શહ AMAMS MMAMAMAMA AM MA MAMAMMAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAASA SAASAASAAAS শনিবার ২৭শে আগষ্ট ১৯২৭ । ভোরে উঠে প্ৰাত:কৃত্য সমাপন ক’রে পাসাঙ্গ,াহানের বারান্দায় ব’সে ব’সে প্রকৃতির আর মানুষের উভয়ের মধ্যে সৌন্দর্য্যের কি চমৎকার সমাবেশ যে দেখলুম, তা কথায় বর্ণনা করা যায় না। চারিদিকে সবুজ ধানের ক্ষেত, মাঝে মাঝে দু একটা বনস্পতি, দূরে ডাইনে বায়ে নীল পাহাড়ের শ্রেণী, আর সামনে দূরে নীল সমুদ্র দেখা যাচ্ছে । পুষে পাহাড়ের উপর থেকে স্বৰ্য্য উঠল, সমস্ত দেশ ভোরের মিষ্টি রোদরে যেন নোতুন প্রাণ পেয়ে সাড়া দিয়ে উঠল । পাসাঙ্গ হানের সামনেই শহরে যাবার রাস্ত । আলোর সঙ্গে সঙ্গে লোকজনের চলাফেরায় রাস্ত সজীব হ’য়ে দাড়াল । একজন দুজন ক’রে বা দলে দলে আশপাশের গ{ খেকে চাৰ্যার ঘরের মেয়েরা মাথায় বেতের আর বঁাশের চুবড়ীতে আর ঝোড়ায় ক’রে ফল-ফুলুরী ধান-চাল মাছ-টাছ নিয়ে চলেছে কারাঙ-আসেমের বাজারে—এদের নীলকৃষ্ণ-বস্ত্র-পরিহিত স্বাস্থ্যে নিটোল গৌরবর্ণ স্বন্দর দেহশ্ৰী ; কোনও দিকে ভ্ৰক্ষেপ না ক’রে উচ্চ শিরে সরল সহজ আর দৃপ্তভাবে নিজেদের নৃত্যছন্দে চলেছে –বহুক্ষণ ধ’রে এই পসারিনীর দলের বলিদ্বীপ—গ্রামের মেয়ে অভিযান দেখা গেল । পাসাঙ্গ,াহানের সামনে রাস্তার ও পারে একটী পাথরভাঙা কলে কাজ করছে কতকগুলি গ্রাম্য নারী, এদেরও চলন-ভঙ্গীর ছন্দোময় গৰ্ব্বদৃপ্ত ভাবে দেহের তনিমাকে আরও স্বন্দর ক’রে তুলেছে। রাস্তার ধারে একটা মেয়ে ভুট্টা বিক্ৰী ক’রতে ব’সেছে, অনেকক্ষণ ধ’রে বসে ব’সে সে তার ভুট্টার পসার সাজাতে লাগল, তার মনোমত সাজানো যেন আর হয় না। ক্রমে অন্ত বন্ধুরা এসে যোগ দিলেন, বারান্দাতেই খানিকক্ষণ গল্পগুজব চ'ল্‌ল। একজন মণিহারী জিনিসওয়ালা তার পসরা নিয়ে পাসাঙ্গ হানের বারান্দায় দেখা দিলে ; রোগ লোকট, জাতে বলি স্নাম অর্থাৎ মুসলমান বলিদ্বীপীয় ; মোট থেকে বলিদ্বীপের তৈরী নানারকমের কাপড়, কাপড়ের উপরে আঁকা ছবি, ক্রীস, কাঠের ছোটো মূৰ্ত্তি, এইসব দেখাতে লাগল। কোপ্যারব্যার্গ ব’ললেন, রঙকুণ্ড গ্রামে আরোও ভালো ভালো নানা রকমের সব জিনিস পাওয়া যাবে, এখানে কেনা বৃথা ; তবুও সকলেই কিছু কিছু কিনলুম। আমি এগারো গিল্ডরে পিতলের একটা ছোট্ট পুরাতন রাক্ষসমূৰ্ত্তি, আর ছয় গিল্ডারে রাক্ষসের মূৰ্ত্তির আকারে কালো কাঠের একটা ক্রীসের হাতল, এই দুটা জিনিস কিনলুম। পরে দেখলুম, কিনে ভালোই ক’রেছি , ‘কিউরিও’ কেনায় ভালো জিনিস পেলেই সংগ্ৰহ ক’রে ফেলা উচিত, উপস্থিত-লভ্য ভালো কিছু ছেড়ে দিলে পরে অনেক সময়েই পছতাতে হয়। প্রাতরাশ সেরে, বাকে আর কোপ্যারব্যাগের সঙ্গে ব’সে কবির যবদ্বীপ ভ্রমণের দেশ কাল আর কায্য সম্বন্ধে একটী মোটামুটি খসড়া ক’রে ফেলা গেল । তার পরে আমরা পুরাতে চ’ললুম। আজ দিনের আলোয় শহরটা দেখতে দেখতে যাওয়া গেল । বেশ চমৎকার একটা বলিদ্বীপের সাবেক চালের বাড়া দেখলুম, এটা একটা প্রাচীন পুরী, দুপাশে দুটা বড়ে ওয়ারিঙিন গাছ থাকায় দৃশুটা ভারী গভীর-ভাবদ্যোতক লাগল। বড়ে রাস্ত ধ’রে দোকান-পাট পার হ’য়ে আমরা বাজারে এসে পড়লুম। বাজারে থানিকক্ষণ ঘুরে বেড়াবার লোভ আমরা সংবরণ করতে পারলুম না । লোকেরাও আমাদের দিকে বিস্মিত হ’য়ে তাকিয়ে দেখে— তিনজন ইউরোপীয় পুরুষ একজন ইউরোপীয় মেয়ে, ইউরোপীয় পোষাকে ধীরেনবাবু, আর ধুতি চাদর পাঞ্জাবী প’রে আমি । গুটিকতক বেতের ছোট ছোট ব্যাগ