পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] ~-سیحیه سید حسین مسیحی ~------------------------------------------- হন্দুর সংখ্যা বেশী। ১৯২১ সালের সেন্সস্ অনুসারে fকার মোট লোকসংখ্যা তাহার মধ্যে হন্দু ৬৯,১৪৫, মুসলমান ৪৯,৩২৫ । অল্পসংখ্যক মুসলমান নীলোকও গত মাসের শোচনীয় লুটে যোগ দিয়াছিল বলিয়। কাগজে সংবাদ বাহির হইয়াছে বটে, কিন্তু সাধারণতঃ পুরুষরাই মারপিট লুট প্রভূতি করে । এই জন্য এখানে উল্লেখ করা দরকার যে, ঢাকায় পুরুষজাতীয় হিন্দুর সংখ্যা ৪০,৩১৬ এবং পুরুসজাতীয় মুসলমানের সংখ্যা ১৬,৫১০ ৷ যদি ঢাকার ব্যাপারট। বাস্তবিক হিন্দুসমষ্টির সহিত মুসলমানসমষ্টির যুদ্ধ হইত ( বাস্তবিক তাহা নয় ) তাহা হইলে প্রধানতঃ হিন্দুদিগকেই হত আহত লুষ্ঠিতসূৰ্ব্বস্ব ও গৃহহীন হইতে হইত না। তাহার কারণ বলিতেছি । যুদ্ধে পরাজয় নান৷ কারণে হয়। সংখ্যান্যন পক্ষের পরাজয় হইতে পারে । অর্থবল ও শিক্ষায় নিকৃষ্ট যাহার, তাহদের পরাজয় হইতে পারে । যাহাদের মধ্যে একতা ও দলবদ্ধত কম, তাহাদের পরাজয় হইতে পারে। যাহাদের সাহস কম, তাহাদের পরাজয় হইতে পারে। যাহারা অস্ত্রব্যবহারে কম অভ্যস্ত, তাহাদের পরাজয় হইতে পারে । যাহারা জীবহিংসায় কম অভ্যস্ত, তাহাদের পরাজয় হইতে পারে। এইরূপ নন কারণের অস্তিত্ব অনস্তিত্ব নূ্যনত বা আধিক্যে জয়পরাজয় হইতে পারে । ঢাকা শহরে মুসলমানের চেয়ে হিন্দু বেশী । স্বতরাং সংখ্যার দিক্ দিয়া হিন্দুর পরাজয় হইবার কথা নহে । অবশ্ব বাস্তবিক যুদ্ধ হইলে শহরের বাহির হইতে মুসলমান আসিয়া মুসলমানদিগকে সংখ্যা-বহুল করিতে পারিত, কিম্বা পশ্চিম বঙ্গ বা বঙ্গের বাহির হইতে হিন্দু আসিয়া হিন্দুদের সংখ্যা আরও বাড়াইতে পারিত। কিন্তু হিন্দুমুসলমানের যুদ্ধ হয় নাই, কখনও যেন না হয়, এবং আমরা কেবল ঢাকা শহরেরই কথা বলিতেছি । হিন্দুরা অর্থবলে ও শিক্ষায় মুসলমানদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ । স্বতরাং সে হিসাবেও তাহাদের পরাজয়ের কারণ নাই। একতা ও দলবদ্ধত হিন্দুদের কম; জাতিভেদ তাহার একটা কারণ। হিন্দুদের ঐক্য ও দলবদ্ধত কম বলিয়৷ তাহারী নিগৃহীত হয় । পূর্ববঙ্গের হিন্দুদের–ঢাকার l ه ¢ 8,ه لا,د সুতরাং বিবিধ প্রসঙ্গ—ঢাকায় হিন্দুমুসলমান AAAAA হিন্দুদের—সাহস নাই বলা যায় না। রাজনৈতিক কারণে হিন্দুদের শাস্তি বেশী হয় ; তাহাতে হিন্দুদিগকে অন্য দোষ যিনি যাহা দিতে চান দিতে পারেন, কিন্তু তাহfতাহাদের সাহসের অভাব বা নূ্যনত প্রমাণ করে না, তাহার বিপরীতই প্রমাণ করে । ঢাকার দাঙ্গাতে কোন কোন পাড়ায় (সৰ্ব্বত্র নহে)হিন্দুর সাহসের সহিত আত্মরক্ষা করায় এবং তাহাদের আত্মরক্ষার চেষ্টা পুলিসের কোন কাজ দ্বারা ব্যাঘাত ন পাওয়ায়, সেই পাড়াগুলি মুসলমানদের দ্বারা লুষ্ঠিত হয় নাই—অন্ততঃ কিছু কাল হয় নাই, এই রূপ সংবাদ কাগজে পড়িয়াছি । একটা ফাক অাওয়াজেই মুসলমান জনতা পলাইয়াছে, অন্ততঃ তথন পলাইয়াছে, এরূপ বহু সংবাদ কাগজে বাহির হইয়াছে । আক্রান্ত একমাত্র হিন্দু জুতা পুলিয়া রুপিয়া দাড়ানতে আততায়ী মুসলমানগণ আক্রমণে ক্ষান্ত হইয়াছে, এরূপ ঘটনাও ঘটিয়াছে । হিন্দু বালিক ৪ হিন্দু যুবকদের সাহসের অনেক প্রমাণ ও আছে । শিক্ষিত হিন্দু যুবকেরা অস্ত্রব্যবহারে শিক্ষিত মুসলমান যুবকদের চেয়ে কমু দক্ষ নহে, বোধ হয় বেশী ; এ বিষয়ে উভয় সম্প্রদায়ের অশিক্ষিত শ্রেণীর প্রভেদের কথ বলিতে পারি না । তথন জীবহিংসায় কম অভ্যস্ত হইলে মন্তিম মারিতে হাত উঠে কম ; কিন্তু মহং কোন লক্ষ্য সম্মুখে রাথিয় কাজ করিলে জীবহিংসায় অনভ্যস্ত লোকদেরও সাহস খুব বেশী হইতে পারে। গুজরাটের যে-সব লোক মহাত্মাজিকৰ্ত্তক অনুপ্রাণিত হইয়। অহিংস বিদ্রোহ করিয়াছে, তাহারা প্রধানতঃ লিখনপঠনজীবী ও ব্যবসাদার শ্রেণীর লোক এবং জীবহিংসায় অভ্যস্ত নহে। অথচ তাহার। যেরূপ সাহসের সহিত সাংঘাতিক আঘাতের সম্মুখীন হইতেছে এবং আঘাত সহিতেছে, তাহা অসাধারণ এবং জগতের ইতিহাসে অনতিক্রাস্ত । জীবহিংসায় অভ্যস্ত না হইলে রক্ত দেখার অভ্যাস হয় না বটে। কিন্তু ভারতীয় সৈন্যদলে নিরামিষভোজী জাতিদের সিপাইরাও খুব ভাল যোদ্ধা ; এবং আধুনিক লড়াই বেশীর ভাগ দূর হইতে আগ্নেয় অস্ত্র দ্বারা হয়, তাহাতে তখনি তখনি রক্ত দৃষ্টিগোচর হয় না। অতএব জীবহিংসায় SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS