প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩১৭ কারপাব নিয়ে তুমি আছ সে কথা ভাবতে গেলেও ভয়ে মরি - কিন্তু ধরা পড়ে গেছ এষ্টপানেই –দেখেছি তোমাকে পিতার মধ্যে, দেখেছি লোমাকে মাতার মধ্যে তাই তুমি BB BBB DDg BBS ggBB TT KB SBBB BBB বলেছি, তুমি আমাদেব পি তা-পিতানোহসি । আমাদের છૂમિ શ્રામાળ ત, શ્રામતિ છૂમિ શ્રામાત ! এমন করে যদি তাকে না পেতুম তবে তাকে খুঁজতে যে তুম কোন বাস্তায় ? সে রাস্তার অন্ত পেতুম কপে এপং কোনগানে ? যত দূরেষ্ঠ সেতুম তিনি দূরেঙ্গ থেকে যেতেন । কেবল তাকে অনিৰ্ব্বচনীয় বলতুম, অগম্য অপার পলতুম | কিন্তু সেক্ট অনিৰ্ব্বচনীয় অগম্য অপার তিনিই আমার পিতা, আমার মাতা, তিনিই আমার,--মানুষকে এই একটি অদ্ভুত কথা তিনি পলিয়েছেন । অনধিগম্য এক মুহূর্তে এত আশচযা সহজ হয়েছেন । একেবাবে আমাদেব মানব-জন্মের প্রথম মুহূর্তেষ্ট । মা’ব কোলে মানুষের জন্ম এক্টটেষ্ট মামুষের মস্ত কথা এবং প্রথম কথা । জীবনেব প্রথম মুহূর্তেই তার অধিকারের আর তাস্ত নেষ্ট ; তাধ জন্সে প্রাণ দিতে পারে এত বড় স্নেহ তার জন্ত্যে অপেক্ষা করে আছে, জগতে এত তার মুল্য। এ মূল্য তাকে উপার্জন করতে হয় নি, এ মুল্য সে একেবারেই পেয়েছে । মাতাক্ট শিশুকে জানিয়ে দিলে বিশাল লিশ্বজগৎ তার আত্মীয়, নইলে মাতা তবে আপন হত না । মাতাই তাকে জানিয়ে দিলে, নিখিলের ভিতর দিয়ে যে যোগের স্বত্র তাকে বেঁধেছে সেটি কেবল প্রাকৃতিক কাৰ্য্যকারণের সুত্র নয়, সে একটি আত্মীয়তার স্বত্র। সেই চিরন্তন আত্মীয়তা পিতামাতার মধ্যে রূপ গ্রহণ করে জীবনের আরম্ভেই শিশুকে এই জগতে প্রথম অভ্যর্থনা করে নিলে। একেবারেই যে অপরিচিত এক নিমেষেই তাকে সুপরিচিত বলে গ্রহণ করলে-সে কে ? এমনটা পারে কে ? এ শক্তি আছে কার ? সেই অনন্ত প্রেম, যিনি সকলকেই চেনেন, এবং সকলকেই চিনিয়ে দেন । এই জন্তে প্রেম যখন চিনিয়ে দেন, তখন জানা-শুনা চেনা-পরিচয়ের দীর্ঘ ভূমিকার কোনো দরকার হয় না, তখন রূপগুণ শক্তিসামর্থ্যের আসবাব আয়োজনও বাহুল্য { ১ - ম ভাগ, ২য় খণ্ড হয়ে ওঠে, তখন জ্ঞানের মত খুটিয়ে খুটিয়ে ওজন করে হিসেব করে চিনতে হয় না । চিরকাল তার যে চেনাই রয়েছে, সেই জন্সে তার আলো যেখানে পড়ে সেখানে কেউ কাউকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে না। শিশু মা ধাপের কোলেষ্ট জগৎকে যখন প্রথম দেখলে তখন কেউ তাকে কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলে মা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের থেকে একটি ধ্বনি এল--এস, এস। সেই ধ্বনি মা বাপের কণ্ঠেব ভি - র দিয়ে এল কিন্তু সে কি মাবাপেরই কথা ? সেটি যার কথা তাকেই মানুষ বলেছে “পিতানোহসি ।” শিশু জন্মাল আনন্দের মধ্যে, কেবল কাৰ্য্যকারণের মধ্যে নয় । তাকে নিয়ে মা-বাপের খুসি, মা-পাপকে নিয়ে তার খুসি। এই আনন্দের ভিতর দিয়ে জগতের সঙ্গে তার সম্বন্ধ আরম্ভ হল । এই যে আনন্দ, এ আনন্দ ষ্টিল কোথায়, এ আনন্দ আসে কোথা থেকে ? যে পিতামাতার ভিতর দিয়ে শিশু এ’কে পেয়েছে, সেই পিতামাতা একে পালে কোথায় ? এ কি তাদের নিজের সম্পত্তি ? এই আনন্দ জীবনের প্রথম মুহুর্তেই যেখান থেকে এসে পৌছল সেইখানে মানুষের চিত্ত গিয়ে যখন উত্তীর্ণ হয় তখনই এত বড় কথা সে অতি সহজেক্ট বলে পিতানোহসি আমার পিতা আমার মাত । আমাদের এই মন্দিরের একজন উপাসক আমাকে জানিয়েছেন আজ তার মাতার শ্রাদ্ধদিন। আমি তাকে বলচি আজ তার মাতাকে খুব বড় করে দেখলার দিন, বিশ্বমাতার সঙ্গে তাকে মিলিয়ে দেখবার দিন । মা যখন ইন্দ্রিয়-বোধের কাছে প্রত্যক্ষ ছিলেন তখন তাকে এত বড় করে দেখবার অবকাশ ছিলনা। তখন তিনি সংসারে আচ্ছন্ন হয়ে দেখা দিতেন । আজ র্তার সমস্ত আবরণ ঘুচে গিয়েছে—যেখানে তিনি পরিপূর্ণ সত্য সেইখানেই আজ র্তাকে দেখে নিতে হবে । যিনি জন্মদান করে নিজের মাতৃত্বের মধ্য দিয়ে বিশ্বমাতার পরিচয়সাধন করিয়েছেন আজ তিনি মৃত্যুর পর্দা সরিয়ে দিয়ে সংসারের আচ্ছাদন ছিন্ন করে সেই বিশ্বজননীর মধ্যে নিজের মাতৃত্বের চিরন্তন মূৰ্ত্তিটি সস্তানের চক্ষে প্রকাশ করে দিন । তুমিষ্ট
পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১২
অবয়ব