পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮ দশটায় হাজিরী। তারপর ৫,৬ ঘণ্টা ধরিয়া এক বিষয় থেকে আর এক বিষয় অনবরত পড়া। ছুটীর পর বাড়ী ফিরিয়া কিছু বিশ্রাম করিতে না করিতেই আপার পরদিনের পড়া মুখস্থ । রাত নাই দিন নাই । বেচার যে এখনও জীবিত থাকিয়া পরীক্ষায় পাস করিতেছে ষ্টতাই আশ্চর্য্য । আপার নিয়মের কড়াকড়ি ছোট ছেলেকে ও বাদ দেয় না । শিক্ষা বৈজ্ঞানিক প্রণালীতেষ্ট হইতেছে! বিদ্যালয়গুলি বিজ্ঞানের পরীক্ষাগার । ফল যাতাক্ট হউক একটি বৈজ্ঞানিক তথ্য ত বাচির হইবে । বড়ষ্ট আনন্দের কথা ব্রহ্মবিদ্যালয় এরূপ নিৰ্ম্মম বিজ্ঞানের হাত হইতে বহুদূরে সেখানে ছেলেদের বালক এবং মানুষ বলিয়া ধারণাটাই প্রবল দেখিলাম । এই ত গেল পড়া শুনার কথা । ইহাতে ছেলেদের লেখা পড়া হওয়া সম্বন্ধে যদি কাহারও কিন্তু তাহাদের স্বাস্থ্য ও জীবনরক্ষা এখন একথা যেন সন্দেহ কয় হউক । সম্বন্ধে সন্দেহ করিবার কারণ নাই । কেহ মনে না করেন ব্রহ্মবিদ্যালয় শুধু ছেলেদের দেহ পুষ্টির জন্তই স্থাপিত হইয়াছে। আমরা সচরাচর যাচাকে লেখা পড়া বলিয়া থাকি ঠিক তাহা না হইলেও সেখানে যে রীতিমত শিক্ষা দেওয়া হইতেছে সে বিষয়ে সন্দেহ নাই । শিক্ষা বলিতে বুঝায় আমাদের সর্বাঙ্গীন পরিণতি । এজন্য বর্তমান শিক্ষানীতি বুদ্ধিবৃত্তির উৎকর্ষ সাধনের সঙ্গে সঙ্গে বালকের দৈঙ্গিক ও নৈতিক উন্নতি সাধনকেও শিক্ষার উদ্দেশু মধ্যে স্থান দিয়াছে। স্বস্থ সবল দেহ, সতেজ উদার বুদ্ধি, নিৰ্ম্মল কৰ্ম্মশীল চরিত্র, ভগবানে বিশ্বাস ও ভক্তি ইহাদের কোনটিই যথার্থ মনুষ্যত্ব হইতে বাদ দেওয়া যায় না ! যদি প্রকৃত মনুষ্যত্ববিধানই শিক্ষার উদ্দেশ্য হয় তাহা হইলে সাধারণ বিদ্যালয়ে সচরাচর যে ভাবে শিক্ষা দেওয়া হয় তাহাতে মনুষ্যত্বের উপকরণগুলির উপর যে ঠিকমত দৃষ্টি রাখা হইতেছে এ কথা স্বীকার করা যায় না। আমাদের দেশে বিদ্যালয়ের শিক্ষা বলিতে পুস্তক পাঠ ও তদ্ধার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করানই বুঝিতাম। তাহাতে বুদ্ধিবৃত্তির উৎকর্ষ সাধন হইতেছে এ ধারণা আমাদের মনে মনে থাকিলেও ষথার্থভাবে তাহা হইতেছে কি না সে বিষয়ে দৃষ্ট ছিল বলিয়া বোধ হয় না। এখনও আমরা যে বিদ্যালয় হইতে অধিকাংশ ছাত্র পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩১৭ AAAAS SASAAAAASA SAASAASAASAAAS SAASAASAASAASAASAASAA { ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS তাহাকেই সমাদর করিয়া থাকি। তারপর শিক্ষা-বিভাগ হইতে আদেশ হইল যে প্রত্যেক বিদ্যালয়ে বালকদের শারীরিক উন্নতির জন্ত ব্যায়াম শিক্ষার আয়োজন করিতে হইবে । অমনি স্কুল কলেজে জিমনাষ্টিকের স্বত্রপাত কষ্টল । ক্রমশঃ ক্রিকেট, ফুটবল, টেনিস, হকি প্রভৃতি ব্যয়সাধ্য ক্রীড়ার আবির্ভাব হইল। এখন দৈহিক শিক্ষার যুগ । খেলার ঝোক এতই বাড়িয়াছে যে কোনও কোনও বিদ্যালয়ে ইহারই অধিক সমাদর দেখিতে পাওয়া যায় । তাঙ্কাতে *toto School 3 College tournament RTCA Co. খেলার পরীক্ষা ও প্রতিযোগিতা আরম্ভ কষ্টয়াছে, তাহার ফলে প্রত্যেক বিদ্যালয়ে ক্রীড়াকুশল বালকের আর কিছুষ্ট করে না । তাঙ্গদের খেলা জ্ঞান, খেলা ধ্যান । বিদ্যালয়ের পরিচালক ও শিক্ষকগণ জয়লাভের জন্ত তাঙ্গাদিগকে এই একটি বিষয়েষ্ট উৎসাহিত করিয়া থাকেন। সম্প্রতি আর একটি ধুয়া উঠিয়াছে। নীতি ও ধৰ্ম্মশিক্ষা। এতদিন পরে যে এ বিষয়ে দৃষ্টি পড়িয়াছে ভাল কথা। কিন্তু এখনও স্থির হইল না কি ভাবে এ শিক্ষা দেওয়া যাইতে পারে। এখন দেখা যাক কি স্থির হয় এবং প্রচলিতব্য শিক্ষার ফলই বা কি হয় । ভয় হয় এখানেও পরীক্ষার প্রতিযোগিতায় শিক্ষাটি হাস্যকর না হইয়া উঠে। মোটকথা মনুষ্যত্বকে আদর্শ করিয়া তাহার উপকরণগুলির সামঞ্জস্ত যতদিন না সাধিত হইবে ততদিন যথার্থ শিক্ষা হইবে না। শিক্ষা অস্তরের জিনিস। বাহিক প্রতিযোগিতার সেখানে স্থান নাই । ব্রহ্মবিদ্যালয় শুধু যে লোকালয়ের বাহিরে বনের ভিতরে আপনার স্থান লইয়াছে তাহাই নহে, সকল বিদ্যালয়ের প্রচলিত শিক্ষাপ্রণালী হইতেও আপনাকে স্বতন্ত্র রাখিয়াছে। সেখানে কোনও প্রতিযোগিতা নাই। এজন্য মচুন্যত্বের প্রতি নির্মল দৃষ্টি রাখিয়া, তাহার উপকরণগুলির সামঞ্জস্ত রক্ষা করিতে পারিয়াছে। সামঞ্জস্তটি আবার এমন সহজ ভাবে রাখা হইয়াছে যে সেখানে সকল প্রকার শিক্ষার মধ্যে কোনও বিরোধ নাই। একেবারে আতিশয্য ও ক্ষুণ্ণতা বর্জিত। যেন যেমনটি হইয়া থাকে এবং হওয়া উচিত তেমনি। কোনও শিক্ষারই অতিরিক্ত আড়ম্বর নাই। সবই সহজ ও সরল। প্রত্যুষে বালকেরা সকলেই