পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা তাহাতে কজ্জলী, লবণ এবং ইষ্টকখণ্ড ব্যবহৃত হইয়াছে।* একটি পাত্রে ১২ ভাগ গন্ধক গলাইয়া ৮০ ভাগ পারদের সহিত কজলী করিবে। আর একটি পাত্রের অৰ্দ্ধেক ছোট ছোট ইষ্টকখওে পূর্ণ করিয়া তাঙ্গর উপর লবণ দিবে। দুইটি পাত্র একত্র করিয়া মুখবন্ধ করিয়া দ্বাদশ ঘণ্ট। জাল দিলে রসপুষ্প বা রসকপূর উদ্ধপাতিত হইবে। এখানে বোধ হয় ইষ্টকখণ্ডের অন্ততম উপাদান ফেরিক অক্সাইড Catalytic agent এর কার্য্য করিয়ী রসকপূর প্রস্তুত করিতেছে। এইরূপ উপায়ে প্রস্তুত “রসপুষ্প” কেলমেল ও পারক্লোরাইডের মিশ্রণ বলিয়া তিনি নির্ণয় করিয়াছেন। এখানে গন্ধক ও পারদের যে ভাগ লওয়া হইয়াছে তাহ। wigsaw atomic theory’s ownsit ( or : R → • ) এ বিষয়ে পরীক্ষা চলিতেছে, পরীক্ষার ফল বারাস্তরে প্রকাশু । ডাক্তার এন্‌লি “রসপুষ্প” ভিন্ন আরও একটি ঔষধের উল্লেখ করিয়াছেন তাহার নাম “সবিরম্” (?) ( সেীবীরম্ ) } এই ঔষধ তামিল-বৈদ্যগণ অতি অল্পমাত্রায় ব্যবহার করেন এবং ইহার প্রস্তুতপ্রণালী “পুরাণশাস্ত্রে” (?) লিখিত আছে । এই প্রস্তুত প্রণালী হইতে বুঝা যায় যে বিশুদ্ধ পাবৃক্লোরাইড অব মার্কারি প্রস্তুত করিবার উপায় ভারতবাসী অবগত ছিলেন । বঙ্গদেশ অঞ্চলে পারদের sistoriss confort (Sulphide of mercury) enge রসকপুর এই দুইটি পারদঘটিত যৌগিকই প্রচলিত আছে। বিশুদ্ধ পারক্লোরাইড প্রস্তুত-প্রণালী যে তামিল বৈদ্যগণের মধ্যে প্রচলিত আছে তাহ ডাক্তার এনসলির গ্রন্থ হইতে জানিতে পারা যায়। নিম্নলিখিত উপায়ে তামিল বৈদ্যগণ পাৰ্বফ্লোরাইড প্রস্তুত করিয়া থাকেন। প্রথমে পুৰ্ব্বোক্ত উপায়ে রসপুষ্প প্রস্তুত করিতে হইবে। পরে সেই রসপুষ্প ৮• ভাগ, সমপরিমাণ লবণ, ৪০ ভাগ তুতে, ১০ ভাগ ফটুকিরি, ২০ ভাগ সোর, ২০ ভাগ পুণীর ( ক্ষারাত্মক মৃত্তিক' ), ১০ ভাগ হীরাকস এবং ৫ ভাগ নবসার ( নিশাদল )–এই সকল দ্রব্য একত্রে মর্দনপুৰ্ব্বক একটি বোতলের অৰ্দ্ধেক পৰ্য্যন্ত ভৰ্ত্তি করিয়া ৩৬ ঘণ্টা জাল দিত্তে

  • O'Shaughnessy's Manual of Chemistry, p. 288. # Ibid. p. 289.

আয়ুৰ্ব্বেদ ও আধুনিক রসায়ন ➢ ግ > হইবে । অবহু বোতলের গাত্রে কাদা লেপিয়া উহাকে শুষ্ক করিয়া লইতে হইবে। তাহার পর বোতল ভাঙ্গিয়৷ গলদেশে সংলগ্ন পারুক্লোরাইড় গ্রহণ করিতে হইবে। * এই উপায়ে রসপুষ্পেধ অন্যতম উপাদান কেলমেলকে (mercurous chloride) oftotators (mercuric chloride) পরিণত করা হইয়াছে। প্রথমে তুতে, ফটুকিরি এবং হীরাকস হইতে সালফিউরিক এসিড উৎপন্ন হয়, সেই এসিড সোরার সহিত সংযুক্ত হইয়া নাইটিক এসিড (nitric acid) উৎপন্ন করে । খানিকটা সাল ফিউরিক এসিড লবণ ও নিশাদলের সহিত সংযুক্ত হইয়! হাইড্রোক্লোরিক এসিড (hydrochloric acid) উৎপন্ন এই দুই উৎপন্ন এসিডের সংযোগে ক্লোরিন (chlorinc) নামক গ্যাস উৎপন্ন হইয়া কেলমেলকে পারক্লোরাইডে পরিণত করে । তলাগু (Holland) দেশে আজ পর্য্যন্ত এই উপায়ে পারক্লোরাষ্টড প্রস্তুত হইয় থাকে। যবক্ষার । করে । যবক্ষার চরক ও সুশ্রাতের সময় হইতে ব্যবহৃত হইয় আসিতেছে । যবক্ষারের অনেকগুলি প্রতিশব্দ আছে যথা— যবাগ্রজ, যবলাস, যবশৃফ, যবনালজ, যবজ, যবাপত্য। { এই সকলু প্রতিশব্দ হইতে বুঝা যায় যে যব ভস্ম করিয়া যে ক্ষার পদার্থ প্রাপ্ত হওয়া যায় তাহাকেই যবক্ষার বলে । “যবের গুয়া দগ্ধ করিয়া একসের পরিমিত সেই ভস্ম, ৬৪ সের জলে গুলিবে, এবং একখানি মোটা কাপড় দিয়া সেই জল ক্রমে ক্রমে ২১ বার ছকিয়া লইবে । তৎপরে সেই জল কোন পাত্রে করিয়া তীব্র অগ্নিতে জাল দিবে ; শেষে চূর্ণবৎ যে পদার্থ অবশিষ্ট থাকিবে, তাহারই নাম যবক্ষার।” ; এইরূপে প্রস্তুত ক্ষার অবশু অবিশুদ্ধ *tátaş są oùi" (Carbonate of Potash) sēta i কিন্তু অধিকাংশ অভিধানে যবক্ষারের অর্থ সোরা দেওয়া হইয়াছে, এমন কি উইলসন (Wilson) এবং মনিয়ার উইলিয়ামস (Monier Williams) প্রণীত সংস্কৃত-ইংরাজী

  • O'Shaughnessy's Manual of Chemistry, р. 289-29о.

+ बिचटकांब-दखकांब्र । কৰিয়াজী-শিক্ষা—প্রথম ভাগ, ৩৩৭ পৃঃ ।