○brbア শ্রেণীর ছাত্রগণকে ইংরাজীতে শিক্ষা প্রদান করা হইয়া থাকে। এই শ্রেণীর ছাত্রগণ ইচ্ছা করিলে সিটি গিল্ডস্ লণ্ডন #faße (City Guilds London Institute ) পরীক্ষা বিলাতে না যাইয়া বোম্বাই সছরেই দিতে পারে এমন বন্দোবস্ত আছে। ঐ পরীক্ষা যাচাতে বাঙ্গলাদেশ হইতেও দেওয়া যাইতে পাবে তাতার উদ্যোগ করা হইতেছে। কার্য্যে কি হইলে বলা যায় না। এক্ষণে নিম্নশ্রেণীতে যে প্রকার শিক্ষার বু্যবস্থা আছে তাহাষ্ট বলিব । এষ্ট শ্রেণীতে তত্ত্ববায়গণষ্ট ভৰ্ত্তি হইয়া থাকে। ইহার নানাবিধ তাত পরিচালন শিক্ষা করে । আরও তাতাদের যন্ত্রের সাহায্য ব্যতীত চিত্রাঙ্কন ও বস্ত্রবয়ন শিক্ষা করিতে হয়। অবশু যে বস্ত্র বাজারে বিশেষ কাটতি এমত বস্ত্রই বুঝিয়া লইতে হইবে। উচ্চার বিশ্লেষণও সামান্ত কিছু শিক্ষা করিবার নিয়ম আছে । এষ্ট বিদ্যালয়ই যে কেবল বিদ্যমান আছে আর দ্বিতীয়টি কৃষ্টবার উপায় নাই তাত নহে । বাঙ্গলাদেশে আরও পাচটি বয়নবিদ্যালয় শীঘ্রই খুলিবার কথা হইতেছে। সেই বিদ্যালয়সমূহের ইতাই কেন্দ্রস্থানীয় হইবে এবং এই প্রধান বিদ্যালয়ই সেইগুলিকে পরিচালিত করিবে । ত্রীরামপুরে যে প্রকার উচ্চ ধরণের শিক্ষা প্রদান করা হইতেছে ঐ সকল বিদ্যালয়ে তদ্রুপ উচ্চ শিক্ষা আদবেই প্রদান করা হইবে না। এই বয়নবিদ্যালয়গুলি স্থাপন করিয়া তত্ত্ববায় শ্রেণীর শিক্ষার পথ প্রসারিত করাই মুখ্য উদেত। যদ্যপি এই ক্ষুদ্র বিদ্যালয় ইষ্টতে অতি বুদ্ধিমান ছাত্র প্রাপ্ত হওয়া যায় তাঙ্ক। ১ষ্টলে তাঙ্কাকে গ্রীরামপুরের বিদ্যালয়ে প্রেরণ করিবার ব্যবস্থাও করা হইবে। তথায় তাহাকে উচ্চ শিক্ষা প্রদান করা হইবে । এই সকল বিদ্যালয়ে বঙ্গভাষায়ষ্ট শিক্ষা প্রদান করা হইবে । এই স্থানে প্রায় চারিমাস শিক্ষার কাল নিদিষ্ট আছে। নিয়শ্রেণীর বালকগণ ও তত্ত্ববায়সস্তানগণকে বয়ন বিষয়ে উপদেশ প্রদান করিবার জন্তই কেবল ভৰ্ত্তি করা হইবে । গ্রীরামপুর বা অপর প্রস্তাবিত বিদ্যালয়সমূহে বিন বেতনে ছাত্ৰ ভৰ্ত্তি করা হইবে। ছাত্রগণকে উৎসাহ প্রদান করিবার জন্ত ৪ টাকা হইতে ১৫ টাকা পৰ্য্যস্ত ৮০টি इजबूखि अनान कज्ञा इश्व, श्ञिौङ्गउ श्रेश:इ। क्रुि প্রবাসী—পৌষ, ১৩১৭ { ১০ ম ভাগ, ২য় খণ্ড বাঙ্গলাদেশের ছাত্র চইলে তাহাকে বোর্ডিং ভাড়া করিয়া থাকিতে হইবে। পশ্চিম দেশীয় ( অযোধ্যা, বিহার প্রভৃতি দেশের ) ছাত্রগণকে বোর্ডিং থরচ দিতে হইবে না । উচ্চ এবং নিম্নশ্রেণীতে শ্রীরামপুর বয়নবিদ্যালয়ে মোট ৯০ জন ছাত্র শিক্ষা লাভ করিতেছে । এই বিদ্যালয়ের কার্য অতি স্বচারুরূপে নিৰ্ব্বাচিত হইতেছে । ইহা ভারতবাসীর পক্ষে মুখের সংবাদ বটে। ভারতের প্রিয় চিকীযুগণ গভর্ণমেণ্টর দ্যায় স্থানে স্থানে এইরূপ বয়নবিদ্যালয় স্থাপন কবিয়া নিম্নশ্রেণীর জনগণের মধ্যে শিক্ষাপ্রভাব বিস্তার করিলে বহু ইষ্ট সাধিত হইতে পারে । শ্ৰীগণপতি রায় । আসামে আহোম মানব জাতির মঙ্গোলীর শাখাভূক্ত তাতার, হুন, লিচ্চিবি, শক প্রভৃতি জাতির পশ্চিমোত্তর ভারতে সময়ে সময়ে প্রবেশ করিয়া যেরূপে আপন মাপন আধিপত্য বিস্তার পুৰ্ব্বক পরিশেষে ভারতীয় চষ্টয়া গিয়াছে –পূৰ্ব্বোত্তর ভারত প্রান্তেও এক জাতি আসিয়া তন্দ্রপ হৃষ্টয়াছে। এই জাতি আহোম নামে অভিহিত । ৮রায় গুণাভিরাম বড়ুয়া বাহাদুর তাঙ্গর আসাম বুড়ঞ্জির ২৮ পৃষ্ঠায় আহোমদিগের বিষয় যাহা লিখিয়াছেন, নিয়ে তাহা উদ্ধৃত হইল। —“প্রায় ৬৫০ বছর হল এই জাতি শ্ৰাম দেশর পর আহি এই দেশ অধিকার করে। ইহঁতর অনেকে হিন্দু ধৰ্ম্ম গ্রহণ করি বড় নিষ্ঠাপর হিন্দু হইছে। ইহঁতে এতিয়া পৰ্ব্বত বাস ন করে—” ত্রয়োদশ শতাবিতে উত্তর ব্রহ্মের শান প্রদেশ হইতে একদল বলশালী শান ভারতের পূর্বপ্রান্তস্থিত পৰ্ব্বতমালা উত্তীর্ণ হইয়া ব্ৰহ্মপুত্র-উপত্যকায় প্রবেশ ও রাজ্য স্থাপন করে। সুবিস্তৃত উপত্যকাভূমিতে আসিবার সময় মিথি ( মনিপুরী ) নাগ প্রভৃতি জাতিদিগের বাধা অতিক্রম করিয়া আসিতে হইয়াছিল এবং উপত্যকাস্থিত তাৎকালিক জাতিদিগের সহিত সংঘর্ষ করিতে না হইয়াছিল এমন নহে । অনুমান হয়, কেননা তখন বিশেষ তেজস্বী জাতি শিবসাগর কিন্তু সেই সংঘর্ষ সহজেই দমিত হইয়াছিল ।
পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩০৪
অবয়ব