পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAASSS S SS S প্রবাসী—মাঘ, ১৩১৭ SAASAASAASAASAASAASAASAASAAeAASAASAASAAهره ه» می ۰۰خمینیهAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAeSAeAMAeAAASAASAASAASAASAASAASAAAS স্তন্ধরাত্রে যাহা আভাসিত—তুমি তাই ! কণ্ঠ তব জন্মান্তরশ্ৰত গীতিসম মায়াবীণা-ঝঙ্কারিত মায়াসিন্ধু পারে। তব মুখখানি যেন লোকান্তরস্থতি, যেন তারি লাগি প্রাণ সঁপেছে কে কবে, যেন তারি লাগি গান রচেছে কে কোথা ! অস্ত-শৈল-শিখরের অপরূপ মোহ, সিন্ধুপ্রাস্তে দিগন্তের ছায়ামান মায় - আছে ওই মুখে । তব কাছে জাগে মনে দূর দেশ, দূর কাল, দুর জন্ম যত, কত না জ্যোতিষ্কলোকে কত জীবলীলা । অয়ি কান্তি ঐকান্তিকী, প্রদীপ সমান পরিস্ফুট, এ আঁধার পৃথিবী প্রদেশে ! তুমি মোর ব্যথা, মোর প্রথম আলোক, মোর গীতধ্বনি ম্রিয়মাণ !” সুরদাস এতেক কহিতেছিল যবে—মঞ্জুলার নিঃশ্বাস বহিতেছিল উদ্ভিন্ন অধরে, হেলিতেছিল সে ক্রমে আকাশের মাঝে বাষ্পাকুল আঁখি, যেন স্বপ্লনিমগন । অবশেষে লয়ে কর মানব যুবার আপনার করতলে----কহিলা তপনে — “হে অস্ফুট নিশাস্তের ধীরে বিকশিত শতদল ! তব তাপ কবর ভেদিয়া মৃতেরে পরশ করে ; হে উষার অন্তরাত্মা, ওগো ফুলকাননের কুলপুরোহিত, কি মোহনরূপে তুমি যাও অস্তাচলে অনন্তু আলয় পানে করি আকর্ষণ উৎসুক অন্তর,—পৃথিবী নারীর পতি, আচম্বিতে উঠ মর্ত্যে-—তোমা তরে পাতা’ বরশয্যাপরে যেন হে অধীর বর ! তব দিব্য রথযাত্রা দেখিবারে চাহি, তব পরাভূত ভৃত্য মহাসমুদ্রের মহাদৃগু,—মানবের বিচিত্র প্রয়াস লোকালয়ে, এসিয়া চরণে প্রসারিত ঐশ্বৰ্য্যের প্রাচুর্য্যে অলস ; কেশপাশে AeSAeAMeMAeAAASAASAASAASAASAAAS [ >०म छांग, २ध्न थ७ প্রচ্ছন্ন আফ্রিকা ; ভারত সমাধিমগ্ন । আকাশে কিরণপুঞ্জ বিকীর্ণ করিয়া ছড়াতে নীরব হর্ষ বড় সে মধুর ; আরো সে মধুরতর বন সীমান্তরে ফলেরে করিতে পুষ্ট, ভূ-সমাধি হতে শ্রাবণের স্নেহধারা-লালিত গোধুমে জাগাইতে পুনর্জন্মে স্বর্ণ মহিমায় ;– চঞ্চল মুহূৰ্ত্তগুলি শাস্ত কাল সনে যত কাৰ্য্য করে তারি সাথে যোগ দিতে । সব চেয়ে প্রিয় কাজ—উদ্ধে চাহে যারা মৃতের শিয়রে বসি, তাদের ললাট উদ্ভাসিতে, হতাশেরে সঁপিতে আলোক ; ধ্যানরত রমণীর বিরক্ত রজনী করি দিতে অবসান, বিকার রোগীর অাক্ষেপ করিতে শাস্তু স্নিগ্ধ শুশ্ৰষায় । কিন্তু মোর মর্ত্য আশা মর্ত্য ভাষা শুনি নাছি নিয়ে অপরাধ। তুমি গাহিতেছ অমৃতের জয়গান, ভূমি হতে তুমি উদ্ধে মোরে তুলি মম সদ্য মুকুলিত দেহকাস্তি নিতে চাও মৃত্যু হতে কাড়ি । জানিনা এখনো আমি দুঃখ কারে বলে, জলতলে পদ্মসম কাটায়েছি দিন, বিধাতার ঝড় মোরে বিধির রূপায় করেনি পরশ, শুধু মৃদ্ধ মলয়ের সোহাগের ধন আমি । স্থলবাসী যথা শীতের আগুন ঘিরে পান্থশালে বসি সাগরবিহারক্লাস্ত বণিকের মুখে শুনে প্রবাসের কথা—সেই মত আমি ভবের তরঙ্গক্ষুব্ধ প্রবীণের কাছে স্বদুর দুঃখের বার্তা শুনিয়াছি কানে । গুনেছি কতনা তরী দুঃখসাগরের বন্দরে রয়েছে বাধা, সে কাহিনী গুনে কানে পশিয়াছে মোর নিদ্রাহীন রাতে ভবদুঃখ-বারিধির কল্লোল-আভাস। মনে পড়ে, শুনিয়াছি—বিশ্বাস সঁপেছে