পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- আমদানী হয়। উখন রেলপথ ছিলনা, কাজেই র দেশটিতে মানুষের উৎপাত ছিল নী, বংশানুক্রমে রাপদেই সেখানে ঘরকা করে এসেছিল। দেৱ সমুদ্রতীরবর্তী বড় সহরগুলির চেয়ে नौद्धि ধীরের সহরটি কোন অংশে হীন তা কেউ পারে না। জলের সঙ্গে তাদের পরিচয় এবং কারএকজন দক্ষ নাবিকের চেয়ে কম নয়। রাস্তাঘাট, এবং গুপ্তগুহ, কারখানা, বাণিজ্য,এবং ঐসম্পদে পরিপূর্ণ "থানান,াণ - সহরটি তৈরী করতে তাদের প্রায় মানুষের মতই অধ্যবসায় এই রকম করে কত যুগ কেটে গিয়েছিল, কোন এক সময়ে মাছৰ এই সুনিপুণ কৰ্ম্মনিষ্ঠ প্রাণীগুলির সন্ধান এসে উপস্থিত হল এবং দীঘির উপর জাল প্রাণীগুলির মখমলের মত কোমল চামড়াগুলি . o - মে বিক্রি হতে লাগল। রাস্ত ঘাট, গুপ্ত স্বরঙ্গ, ঘরবাড়ী সবই ফাদওয়ালাদের দোঁৱায়ো বে মেরামত হয়ে পড়েছে, শূন্ত নগরটি খ গ করছে। কিছুকাল পরে, একটি বিভার যার বিপদের o


o निकल्लेবৰ্ত্তী জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছিল তারা এক এক ཧྥུ་ཀཀ་༥ དག་པ་ ༧ করে তাদের দেশে ফিরে এল, fকন্তু তাদের অমন পরিপাটি নগরটর দুর্দশা দেখে বড়ই দুঃখ হল। যাহোক, তার দমে যাবার পাত্র নয়, দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার লাগিয়ে তাদের নগরট আবার নূতন হয়ে উঠল। ক্রমে তাদের সন্তান সন্ততিতে শূন্ত ঘরগুলি পূর্ণ হতে বিলম্ব হল না, এবং শিশু বিভারদের ক্রীড়ায় দীঘির জল আবার চঞ্চল হয়ে উঠল। o শীতকালের সময়টা বুড়া দ্বিভাররা আর বড় কিছু করে না—থেয়ে ঘুমিয়েই তাদের সময়টা কাটে। ক্রমে যখন বসন্তের হাওয়া দেয়, দীঘির ধারের গাছগুলি নূতন - চিপতায় এবং মুকুলে সবুজ হয়ে ওঠে, তখন তারা দেশ ভ্রমণে । বেরিয়ে পড়ে, তাদের বাড়ী থেকে আর উপরের ੋ পর্যন্ত খালকেটে তারা যে রাস্ত তৈরী করে, সেই রাস্ত দিয়ে তারা অনেক র চলে যায়। or দুর - - -- - -- -- } . . প্রবাসী – বৈশাখ, .৩১৭। l په ۰ ذ छांश | - SSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS ক্রমে গরম পড়ে এলে এক এক করে তারা বাড়ী । ফিরে আসে, কারণ তখন তাদের অনেক কাজ সামনে শীতকাল—থাবার সংগ্রহ করে রাখতে হবে, বাড়ীঘরগুলিও মেরামত করা দরকার । শিশু বিভারগুলি কিন্তু শীতের সময়টা বিশ্রাম করে না-তারা সৰ্ব্বদাই খুব পরিশ্রম করে। তাদের এখন বাড়বার সময়, বসে থাকলে কি গায়ে জোর হয়। বাপ মা, জমির উপর প্রকাও একটা শালগাচ করাতের মত দাত দিয়ে কুরে কুরে গুড়ি কেটে মাটির উপর পেড়ে ফেলেছে বিভার শিশুগুলি সেই কাঠ টুকরো টুকরো কেটে বাড়ীতে তাদের গোলাঘরে জমা করে । সমস্তদিন আনাগোনা ছুটোছুটি তাদের সেই ব্যস্তসমস্ত ভাবটি দেখতে বড়ই আমোদ লাগে। পরিশ্রমও বড় কম নয়। লোহার মত শক্ত সেই গুড়িতে দাত বসান কি সহজ ! তারপর আবার সেগুলি নিয়ে যাবার সময় রাস্তায়.কত ঢিবি, গৰ্ত্ত এবং কাটা ঝোপের মধ্যে তাদের বোঝাগুলি । आहे:क शाग्न-डश्वन निडाद्रनखान उाब त्रिइन निककाब দুই পায়ে ভর দিয়ে দাড়ায় এবং ভারসই লেজটির উপর ঠেকা দিয়ে তারা প্রাণপণ শক্তিতে কাঠটিকে ঠেলা দিয়ে । পার করে দেয়। কখনো বা গাছের ডালট। তারা পিঠের উপর চড়িয়ে নেয় এবং মাথাটি একবার এদিকে হেলিয়ে একবার ওদিকে হেলিয়ে মাটির উপর দিয়ে টানতে টানতে নিয়ে যায় । , অনেকদিন এই রকম নিরাপদে তাদের দিন কাটল, হঠাৎ একদল খুব চতুর ফাদওয়াল বিভারের সন্ধানে সেই দীঘির ধারে এসে উপস্থিত হল। জলের ধারে সরু সরু রাস্ত এবং গাছের গুড়িতে ধারাল দাতের দাগ দেখে তাদের বুঝতে বাকি রইল না যে সেখানে বিভারের বাস । জলের ভিতর ফঁাদ পেতে তার দূরে গিয়ে অপেক্ষা করে বসে রইল। দুটো স্প্রিংএর জাতিকল নিরীহ বিভারকে ধরবার জষ্ঠ জলের মধ্যে স্থা করে আছে। শরতের এক অন্ধকার রাতে, বিভারদের এক বুড়া প্রপিতামহ কাজকৰ্ম্ম সেরে বাড়ী ফিরছিল, নরম শুওলার ঘাসের বিছানাটির কথা স্মরণ করে সে খুব দ্রুতই সাতরে চলেছিল, এমন সময় কিসের ভিতর ডান পা থান ঢুকে গেল, আর অমনি ১ম সংখ্য। , , তাদের । সেটাকে - - - - ੋ। একেবারে বজের মত কলটা তার পায়ে অঁাকড়ে - ধরল। বিপদের আশঙ্কায় বিভার তাড়াতাড়ি জলের দিকেই ছোটে, সেদিনও যেমন সে ছুটতে গেল অমনি লোহার শিকলটা খানিকদূর গিয়ে তাকে আটকে রাখল। - মার ঘরে ফেরা হল না—সেই তার শেষ রাত্রি! ক্রমে বিভার-চামড়ার লোভে নানাদিক থেকে নানারকম ফন্দির কল নিয়ে সব লোক এসে দীঘির ধারে ঘুরে - বেড়াতে মুরু করল। একদিন একটা খুব অদ্ভুত রকমের ঘটনা হল। সেদিন রাতটা লুটুথুটে অন্ধকার ছিল, দীঘির ওপারের গাছের মাথায় খুব মেঘ করে এসেছে—বাতাসটি পর্যন্ত বন্ধ—থেকে থেকে দু এক পশলা বৃষ্টিও নামছে। এই রকম কাল পাথরের মত অন্ধকার রাত্রে, বিভারদের বড় পূৰ্ত্তি হয়। অন্ধকার যেন বন্ধুর মত তাদের ছোট ছোট নীড়গুলিকে শত্রর দৃষ্টি থেকে ঢেকে রেখে দেয়। সে রাত্রে তাদের কাজের খুব ধুম পড়ে গেল। কুটুকাৰ্ট, ੇ। দেখতে দেখতে অনেক কাঠ জড় হয়ে উঠল । কিন্তু কে জানত, হায়! এমন অন্ধকার রাত্রেও মৃত্যু তাদের জন্য ঘনিয়ে আছে। কিনারার কাছে, জল যেখানে বেশী নয়, একটা ফাদ পাতা ছিল, কখন একটা বিভারের হাত তার ভিতরে আটকা পড়ে গেল। তাড়াতাড়ি সে शङ ছিনিয়ে নিয়ে পালাতে যাবে, এমন সময় বিপদের উপর বিপদ, পিছন দিকে একটা আটার জল জল করে তাকিয়ে তারদিকে তাক করে বসে আছে। বিভারমাংস আটারের বড় প্রিয় খাদ্য। বেচারা বিভারের প্রাণের আশা ক্ষীণ দীপশিখা টুকুর মত নিভে গেল। কিন্তু তখন বড় একটা মজা হল। আটার যেমন বিভারকে ধরবার জন্য এগিয়ে আসবে অমনি মাঝখানে আর একটা কল ছিল তাতে সে একেবারে ধরা পড়ে গেল। বিভারের --- শাপে বর হল ; সে গতিক দেখে হাতটাকে প্রাণপণ শক্তিতে কল থেকে ছাড়াবার জন্য টানাটানি করতে লাগল। সে রাত্রে, অন্ধকার জলের ভিতরে সমস্তরাত ধরে প্রাণের জন্য যে কি পীড়ন ও যুদ্ধ চলেছিল তার - কাহিনী কেই বা লিখে রেখেছে। অবশেষে এক সময় তার হাতের কবজিটা পটু করে ভেঙ্গে গেল। যন্ত্রনায় সংকলন ও সমালোচন—বিভার।


م.۔م۔۔--۔-.ے۔


পেয়ে বাড়ী ফিরে গেল। কিন্তু অটার ভায় আর । ফিরিলেন না—রিভার মাংস খাবার সাধ তার সে জন্মে । অসম্পূর্ণ রয়ে গেল । - - --- . . ক্রমে ক্রমে অনেকগুলি লিভার ज्ठश অন্ত দেশে পালিয়ে গেল, কিন্তু বিভারবংশ সেইখানেই । - o লোপ হল না। হাতকাটা বিভারটি তাদের জীবিতদের । মধ্যে একজন। সে অন্য দেশে গিয়ে আর একটি সংগ্রহ করে নিল—কারণ তার পুত্র-পরিবার সবই | গিয়েছিল। সেই বিভাৱ জোড়াটিকে দেখলে বোধ কেহই স্বামী স্ত্রী বলে তফাৎ করতে পারত না যদি একাঁ ... হাতকাটা না থাকত। তারা দুজনেই দেখতে ীে ইদুরের মত, ছোট ছোট সোণালী কটারংএর উত্ত o . . . . . . চোখ-কাণ দুটি গোল ও লোমে ভরা, ঠোঁটের পাশ দি দুটি উজ্জ্বল শাদ রাজদন্ত (incisor) দেখা যায়, ছাঁ দেখলে ঠিক যেন মনে হয় দুটি যমজ ভাই! - - - o sa দেশ ছেড়ে পালিয়ে তারা নানা নদীর তল । .


করে বাড়ী করবার জন্ত সুবিধামত জায়গা। - অবশেষে একটা নীচু জল জমির উপর অন্ন জল বিশিষ্ট । একটা নদী তাদের পছন্দ হল তার তলার মাটিটা বে: শক্ত গোছের ছিল। বিভারের বাড়ী করবার প্রণালীটা এই। প্রথমে নদীর o স্রোতের মাঝখানে তার গাছের অনেক ডাল সংগ্রহ করে, । সেগুলি লম্বালম্বি রকমে সাজায় তার পরে সেই বেড়ার উপরে কাদা ও পাথর দিয়ে একটা বেশ মজবুত রকমের । প্রাচীর তৈরী করে। জলের স্রোত সেই কাদার প্রলেপটিকে । ধুয়ে ধুয়ে বেশ মন্থণ করে দেয়, আর গাথুনিটা এমন শক্ত । হয় যে সহজে সেটা কেউ ভাঙ্গতে পারে প্রাচীরটা জল থেকে অন্ন একটু উচু হয়, তার উপরেই তার বাসা তৈরী করে। প্রাচীরের মত তাদের বাস- গৃহটিও কাটকুটাে মাটি ও পাথরের গাথনি। ভিতরে শেবার | ছোট ঘর, ভাড়ার ঘরটি পাশেই এমন কি ੋ খাবার খাওয়া যায়। ঘরের মেঝে দিয়ে ছট স্বরঙ্গপথ - একেবারে নদীর তল পর্য্যন্ত চলে গিয়েছে। এই মাটির স্তপের ছাদটি তারা কাদার প্রলেপ দিয়ে বন্ধ করে দেয় -- o - - --- -