পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্রোতে চালিত যন্ত্র। প্রকৃতি হইতে শক্তি সংগ্রহের আর একটি উপায় জল প্রপাত কিম্ব নদ নদীর স্রোত । এষ্ট ব্যবস্থাটির দিন দিন উন্নতি হইতেছে ; অনেকে আশা করেন কালে ইহা সকল স্থানেই গৃহীত হইবে। পূৰ্ব্বে স্রোতের সাহায্যে কল - - - o কা প্রোয়ারের জলে চালিত যন্ত্র। চালাইয়া ময়দা প্রভৃতি প্রস্তুত করা হইত, কিন্তু আজকাল অধিকাংশ ময়দার কলই পাথুরিয়া কয়লার সাহায্যে চালিত o হয়। আজকাল তাবার সেই পুরাতনটিকেই লোকে গ্ৰহণ করিতে আরম্ভ করিয়াছে। একটি একটি করিয়া অনেক স্থানেই স্রোতে চালিত যন্ত্র প্রস্থত হইতেছে। নাগ্রা জলপ্রপাত হইতে শক্তি সংগ্ৰহ করিয়া যে তাড়িৎ উৎপন্ন প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩১৭ ইহাতে প্রপাতের কোনে ক্ষতি হয় না, জলের পরিমাণও ১০ম ভাগ । করা হয় তাহা দ্বারা বাফেলো ও তাহার নিকটবৰ্ত্তী অনেকগুলি নগর তাড়িতালোকে আলোকিত করা হইয়া থাকে । কমে না, এদিকে এত বড় একটি কারখানা চলে । আরো দুই চারিটি যন্ত্র বসাইলেও এই এক জলপ্রপাত হইতে আরো কত শক্তি সংগ্রহ করা যাইতে পারে তাহার ইয়ত্ত নাই। । নায় গ্রায় এই স্রোতের শক্তিতে তাড়িৎ উৎপাদন যন্ধের সাহায্যে তড়িৎ উৎপন্ন করিয়া তাহ প্রায় ৫০০ মাইল দূরবৰ্ত্তী নিউইয়র্ক সহরে লইয়া যাওয়া যাইতে পারে। কালিফৰ্ণিয়ায় স্তান ফ্রান্সিসকো সম্বর ১৫০ মাইল দুৰ হইতে তাড়িং বহিয়া আনিয়া আলোকিত করা হইতেছে। অনেকে - আশা করেন, কালে আমেরিকার অনেক সচরেই নায়ঞ্জা । প্রপাতের সাহায্যে তাড়িতালোকের ব্যবস্থা করা যাইবে । সুপিরিয়র হ্রদ হইতে একটি অতি প্রবল জলস্রোত বাহির হইয়াছে, অল্পদিন হইল সেখানে নায়াগ্রার যন্ত্রটি অপেক্ষাও বৃহত্তর একটি যন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করা গিয়াছে ; শীঘ্রই - তাহার অপর দিকে আরো একটি সেইরূপ যন্ত্র প্রস্তুত । হইবে । জোয়ার ভাট হইতে শক্তি গ্রহণ। স্রোতস্বর্তীদের নিকট হইতে শক্তি লইয়াও যদি আমাদের না চলে, আমরা সমুদ্র চাইতেও কিছু কিছু পাইতে পাৰিব। প্রতিদিনই সমুদ্রতীরে জোয়ার ভাটার জল উঠে ও নামে এবং এই জল তীরের উপর কতই না তরঙ্গ উৎপন্ন করে । এই জলতরঙ্গ হইতে শক্তি সংগ্রহের বাবস্থা করিতে পারি ল আরো একটি শক্তির আধার পাওয়া যায়। এইটি লষ্টয়া বহুদিন পূৰ্ব্বেষ্ট কিছু কিছু চেষ্টাও হইয়৷ গিয়াছে। রুকলিনে প্রায় শত বর্ষ পুরাতন তিনটি কল দেখিতে পাওয়া যায়, জোয়ার ভাটার জলে সে গুলি চালিত। ব্যবস্থা ও কার্য প্রণালীও বেশ সহজ ছিল । একটি খাদের মুখে বাধ দিয়া তাহাতে একটি হুয়ার বসানো ছিল, | জোয়ারের জল উচু হইয়া উঠিয়া থাদের মধ্যে প্রবেশ করিত ও দুয়ারটি বন্ধ হইয়া যাইত। তার পর যখন সেই জল । ভাটায় ফিরিয়া যাষ্টত তপন একটি সঙ্কীর্ণ পথ দিয়া ফিরিত ও সেই সময় একটি চাকা ঘুরাইয়া দিয়া যাইত । কলগুলি ১ম সংখ্য । ] SSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS এইরূপেই চলিত। শুনা যায়, এই কলগুলির একটিতে এখনো কাজ চলে এবং তাছা হইতে নিকটবর্তী স্থানের কৃষকেরা চাষে অনেক সাহায্য পাষ্টয়া থাকে। * কালিফৰ্ণিয়ায় একটি নুতন যন্ত্র প্রস্বত হইয়াছে, তাঙ্গর কার্য প্রণালী কিছু নূতনতর এবং তাছাতে কাজও বেশ সুন্দর হয়। চিসাব করিয়া দেখা গিয়াছে যে জোয়ার ভাটীৰ জল হইতে শক্তি সংগ্ৰহ করিয়া তাঙ্গারই সাহায্যে তাড়িৎ উৎপন্ন করিয়া দশ হাজার তাড়িতালোক জালা যাইতে পারে এরূপ একটি যন্ত্র প্রস্তুত করিবার ব্যয় প্রায় ৩ লক্ষ টাকা । তার পর এই যন্ত্র চালাইবার ব্যয় কয়লা পোড়াইয়া জলীয় বাম্পের সাহায্যে কলটি চালাইতে হইলে যে বায় হই ন তাহা অপেক্ষা অনেক কম। শক্তির অক্ষয় ভাণ্ডার । . উপরে যেগুলির কথা বলা হইল সেগুলি ছাড়া সকল শক্তির আধার সূর্য রহিয়াছে। এই কয়লা যে আমাদিগকে এত শক্তি দেয়, কোথা হইতে এই শক্তি পাইল ? বহুকালপুৰ্ব্বে যে সকল বন স্বর্য্যের তেজ গ্রহণ করিয়া বৃদ্ধি পাইয়াছিল সেইগুলিই না মৃত্তিকায় প্রোথিত থাকিয়া পাথুরিয়া কয়লায় পরিণত হইয়াছে। বহু শতাব্দী ধরিয়া স্বর্যের তেজ মৃত্তিকার ভিতর প্রোথিত হইয়া আছে, আমরা এখন পাথুরিয়া কয়লা পোড়াইয়া সেই সঞ্চিত স্বর্যোর তেজকে কাজে আনিতেছি । এটা সুর্য্যশক্তির পরোক্ষ ব্যবহার । আমরা একেবারে স্বর্যা হইতেই শক্তি সংগ্ৰহ করিয়া তাহার দ্বারা যন্ত্রাদি চালাষ্টয়া লইতে পারি। রৌদ্র যখন খুব বেশী হয় তখন প্রতি বর্গগজ স্থানে যে রৌদ্র পতিত হইয়া নষ্ট হয় তাহা বড় কম নহে, ঐ শক্তিটুকুকে কাজে আনিতে পারিলে তাহার দ্বারা প্রায় ১২৪০ এক ফুট উত্তোলন করা যাইতে পারে। ১২ বিঘা কোনো জমির উপর দুপুরবেলায় যে রোঁদ পড়ে তাহার শক্তি নায় গ্রা প্রপাত হইতে এখন যে শক্তি · সংগৃহীত হইতেছে প্রায় তাহারই সমান। একখানি জাহাজের ডেকে যে রৌদ্র পড়ে তাছাই কুড়াইয়া লইয়া জাহাজখানিকে চালানো যায়। মন ভার সমগ্র পৃথিবীতে বৎসরে প্রায় ৮০ কোটা টন ( এক টন uM S সংকলন ও সমালোচন—রৌদ্র, জল এবং বায়ুব শক্তির ব্যবহার । . -------- ------------------- S M S M S M MM - - - - প্রায় ২৮ মন ) কয়লা পোড়ে, তাহার প্রায় দশ ভাগের । এক ভাগ ব্যবহারের দোষে বৃথা যায়। এদিকে এক । সাহারা মরুভূমির উপর যে স্থৰ্যতেজ প্রতি বৎসর મ o হইতেছে তাহ ঐ ৮০ কোটা টন কয়লা হইতে যে শক্তি পাওয়া যাইতে পারে তাহার সমান । * শত শত বৎসর ধরিয়া বৈজ্ঞানিকের কেমন করিয়া । এই সূর্যের শক্তিকে কাজে আনা যায় তাহাই চিন্তা - করিয়াছেন। আর্কমেডেস সাইরাকিউজের বন্দরে কতক । গুলি দর্পণের সাহাঘো শত্রর জাহাজের উপর স্বর্যকর । - - -- *= - - _ _ so- T- - -------> - - - - - --- - o - -

o

- o 偲 - সাহায্য গ্রহণ করিয়৷ ১৮৭০ খৃঃ অব্দে একটি স্বৰ্য্যকর চালিত যন্ত্র প্রস্তুত করিয়াছিলেন। তার পর ১৪ বৎসর - ধরিয়া তিনি তাহার যন্ত্রটির উন্নতির জন্ত চেষ্টা করিয়া- o ছিলেন। কতকগুলি দর্পণের সাহায্যে একটি জলপূৰ্ণ । - বয়লারের উপর স্বাক্ষর প্রতিফলিত করিয়া তিনি জলীয় । বাষ্প উৎপন্ন করিতেন, সেই বাম্পে কল চলিত। তিনি -