পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਾਂ - --- - ਾਂ _ ਾਂ - ਾਂ o - “ o - - - - - - ... x 8 o' - প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৭ , ১০ ম ভাগ , - --l.-- ------------ --- ------ - -- - অত্যতি নিপ্রভ নক্ষত্রগুলির ছবি লইবার সময় তিন চার ঘণ্টাতেও কুলায় নাই সমস্ত রাত্রিই প্লেটগুলিকে অনাবৃত রাথিতে হইয়াছে । এরূপও ঘটয়াছে যে একই প্লেটকে আকাশের একই দিকে উপরি উপরি কয়েক বাত্রি ধরিয়া উন্মুক্ত রাখিয়া তবে ছবি পাওয়া গিয়াছে। যে নক্ষত্রগুলির ছবি লইবার জন্য এতদূর করিতে হইয়াছে সেগুলি দূরবর্তিতাবশতঃ কতটা নপ্রভ পাঠক বুঝিয়া লউন । একথা বলা বাহুল্য যে এই প্রকারে ছবি তুলিতে - হইলে প্রত্যেক তারাটির আলো সকল সময়েই প্লেটের - - ঠিক একইস্থানে পতিত হওয়া আবশ্যক। পৃথিবীর আহ্নিক গতির জন্ত নভোমণ্ডল সৰ্ব্বদাই পূৰ্ব্বদিক হইতে পশ্চিমদিকে ঘূরতেছে বলিয়া প্রতিভাত হয় ; কাজেই যদি আকাশের কোনো পদার্থের প্রতি নির্দেশ করিয়া, কোনো দূরবীণকে সেই অবস্থাতেই রাখিয়া দেওয়া যায় এবং তাহাতে ফোটোগ্রাফীর ক্যামের সংযুক্ত থাকে o তবে নক্ষত্রমণ্ডলী ক্রমশঃ সরিয়া যাইতে থাকাতে প্লেটের উপর উজ্জ্বল তারাগুলি একটি করিয়া লম্ব রেখা অঙ্কিত করিবে এবং তাহাতে অনুজ্জল তারাগুলিব কোনো - সন্ধানই পাওয়া যাইবে না । জন্য যাহাতে ছবি নষ্ট হইয়া না যায় তাহার ব্যবস্থা করিতে । হইবে। এ কার্য্যটি একটি ঘড়ির কলের হ্যায় যন্ত্রের সাহায্যে হইয় থাকে। যে দূরবীণ ক্যামেরাসংযুক্ত করিয়া কোনো নক্ষত্রপুঞ্জের উপর নির্দেশ করা হয় তাহারই সহিত এইরূপ একটি যন্ত্র সংযুক্ত করিয়া চালাইয়া দেওয়া । হয়। নভোমণ্ডল যতই পূৰ্ব্ব হইতে পশ্চিমে সরিয়া যায় । দূরবীণটিও ততই কলের সাহায্যে পূৰ্ব্ব হইতে পশ্চিমে ঘুরিয়া । থাকে, কাজেই প্লেটুপানির উপর প্রত্যেক নক্ষত্রের আলোক - ঠিক একই স্থানে পতিত হয়। তবে এইরূপ যন্ত্রের উপর o | সম্পূর্ণরূপে আস্থা স্থাপন করিয়া নিশ্চিন্ত থাকা যায় না। । | নক্ষত্রগুলির গতির সহিত যন্ত্রটির গতির সামঞ্জস্য রক্ষা - এইজন্য কাৰ্য্য আরম্ভ হওয়ার পর । বিশেষ সতর্কতার সহিত মাঝে মাঝে পরীক্ষা করার । করা বড়ই কঠিন । প্রয়োজন হইয়া থাকে এবং কোনো গোলমাল ঘটিবার - সম্ভাবনা উপস্থিত হইলেই যাহাতে তাঙ্গ তৎক্ষণাৎ সারিয়া o লওয়া যাইতে পারে সেরূপ ব্যবস্থাও পূৰ্ব্ব হইতেই রাথিতে হয় । করিয়া নক্ষত্রগুলির সংখ্যাই এই ছবিগুলির বিশেষত্ব । ডা: . আইজাক রবার্টস নক্ষত্র-লোকের ছবি তোলাপ জষ্ঠ খ্যাতি- । লাভ করিয়াছেন । তিনি বলিয়াছিলেন, যদি একথানি ফোটোগ্রাফীক প্লেট যথেষ্ট সময় বাপিয়া উন্মুক্ত রাখার । ব্যবস্থা করা যায় তাহা হইলে প্লেটের উপর এত তারার । ছবি পাওয়া যাইবে যে সমস্তগুলি একটির গায়ে আর একটি লাগিয়া একটি তারকপিণ্ডের ষ্ঠায় দেখাইবে ; প্লেটের একবিন্দু স্থান র্যাক থাকিবে না। ডাক্তার রবার্টস এবং তাহারই পথাবলম্বী অনেকে বহু তারা ও নীহারিকার ছবি তুলিয়াছেন সেগুলিকে একরূপ অদৃশুই বলা যাইতে পারে। অনেকেই বোধ হয় জানেন হালির ধূমকেতু দূরবীণে । দেখা যাইবার বহুপূৰ্ব্বে জ্যোতিষীরা ফোটোগ্রাফীর সাহায্যে তাহার ছবি তুলিয়াছেন। সে সময়ে ধূমকেতুটি এত ক্ষীণালোক ছিল যে একখানি ফোটােগ্ৰাফীক প্লেট বহুক্ষণ ধরিয়া তাহার দিকে ধরিয় তাহার ছবি লওয়৷ ছাড়া তাহার সংবাদ পাইবার আর কোনো উপায়ই ছিল না । অতএব নভোমণ্ডলের ছবি । তুলিতে হইলে তাহার পূর্ব হইতে পশ্চিমাভিমুখী গতিরি - নক্ষত্রপুঞ্জ। আমরা শুধু চোখে দেখিয়া কিম্বা দূরবীণ দিয়া দেখিয় তারাগুলির ঔজ্জ্বল্য সম্বন্ধে যেরূপ ধারণা করি ফোটোগ্রাফীর প্লেটে সেই নক্ষত্র গুলির ছবির সহিত তাহ মেলে না ; অর্থাৎ যেটিকে উজ্জ্বল তারা বলিয়া মনে হয় ছবিতে সেটি বেশ উজ্জ্বল নাও দেখাইতে পারে। আলোকরশ্মি নানা প্রকারের হইয় থাকে। কতকগুলিতে রাসায়নিক শক্তি বেশ আছে বলিয়া সহজেই প্লেটের উপর কাজ করে, আবার কতকগুলি জ্যোতির পরিমাণে অধিক হইলেও, - সেগুলিতে রাসায়নিক শক্তি অল্প থাকায় প্লেটের উপর তাহাদের ছবি উজ্জল হয় না। কাজেই যে উজ্জল তারাগুলির অালোকে রাসায়নিক শক্তিবিশিষ্ট রশ্মি কম সেগুলি ছবিতে উজ্জ্বল দেখায় না। কাজেই থালি চোখে দুটি তারা সমান উজ্জল বোধ হইলেও ছবিতে তাহদের মধ্যে পার্থক্য উপস্থিত হওয়া বিচিত্র নহে। এইজন্য দূরবীণের সাহায্যে আকাশের একটি অংশ যেরূপ দেখায় সেই অংশের ছবিটি ঠিক সেইরূপটি হয় না । - নক্ষত্ৰলোকের একখানি ফোটোগ্রাফ দেখিলেই জান। ਾਂ o – u -- - - - - - - - - - - - -- - o - - *- o --- -- ২য় সংখ্যা । ] সংকলন ও সমালোচন-—নক্ষত্র লোক । o ---------------------- ----------------- --~~ ------- -------------------- -- - --o - (মধ্যস্থলে ) - - o - যায় যে তাহার কোনো স্থানেই ফাক থাকে না এবং নক্ষত্রগুলি বড়ই এলোমেলোভাবে সাজানো । কোথাও । বা অসংখ্য তারা দলবদ্ধ হইয়া এরূপভাবে আছে যে তাহা - o হইতে বিন্দুগুলি ঠিক করা কঠিন। সমস্ত আকাশটায় এরূপ নক্ষত্রগুচ্ছ অসংখ্য অাছে। স্বাতিপথ বা ছায়াপথ কি সুন্দর। আমাদের সৌর । জগৎকে পরিবেষ্টন করিয়া এই জোতিৰ্ম্ময় বলয়টি শোভা পাইতেছে। এটি অসংখ্য তারকের সম্পাতে গঠিত। - ক্ষীণ জ্যোতিঃ বলিয়। তাহদের প্রত্যেকটিকে পৃথক করিয়া । দেখিতে পাই না তাই সমষ্টিবদ্ধরূপেই তাহারা আমাদের শুল আস্তরণের মত প্রতিভাত হয় । কিন্তু ক্ষীণ জ্যোতি: বলিয়া বোধ হইলেও এই তারাগুলিকে ক্ষুদ্র মনে করিবার হেতু নাই। ইহাদের প্রত্যেকটি আয়তনে ও আলোকে আমাদের সূর্য্যের সমান হওয়া অসম্ভব নহে । তারাগুলির দূরত্ব পরিমাণ করিতে গিয়া জ্যোতিষীরা হার মানিয়াছেন। কোটি কোটি তারার মধ্যে এমন । একশটি ও নাই যাহাদেব দুরত্ব পরিমিত হইয়াছে। . এই - - - - - - -- - - -