পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२8 ફેં 跋 * . ." ఏకలిక છેઃ- D -- স্বরধবাৰু যাবার সময় বলে গেছলেন বটে, আপনি এসে তার বাড়ীতে থাকৃবেন। —ই, আমি ওই বাড়ীতে আছি । —আমরা আপনার পাশের বাড়ীতেই আছি। আমার কল করা উচিত ছিল, আপনি নতুন এসেছেন। কিন্তু আমার মেয়ে এ দু-দিন তেমন ভাল ছিল না, আজ একটু ভাল আছে, তাই বললে, বাবা, নদীর ধারে একটু বস্ব— – ও, খুব অস্বস্থ ? —ই, দেড় বছর ভুগছে, ডাক্তারেরা আশা দিচ্ছে, বুড়ো মানুষ, সবই বুঝতে পারি, তবু আশা-সন্ধো হয়ে এল, যুখির আর বাইরে থাকা ঠিক নয়, দেখিগে—আলাপ হয়ে গেল, একদিন আসবেন । —নিশ্চয় । প্রবীর বাড়ীতে ফিরে পথের দিকে বারান্দার এককোণে বস্ল ; মেয়েটি ধীরে বাবার সঙ্গে বাড়ী ফিরুল, সন্ধ্যার অন্ধকারে বসে দেখলে । তারপর যখন পাহাড়ের পাশ দিয়ে শুক্লা একাদশীর চাদ উঠল, জলশূন্ত নদীবক্ষের অন্ধকারে বাতাস হা হা করে বইতে লাগল, সে নদীর তীরে গাছের তলায় গিয়ে বসল। সে রাতে বহুদিন পরে সে একটি লিরিক লিখলে । পরদিন প্রভাতে প্রবীর তার রিফ্লেক্স ক্যামেরাট নিয়ে বার হল। দু-চারটে প্রাকৃতিক দৃশ্নের ফটাে তোলবার ইচ্ছা। কিন্তু ফটাে নেবার মত সুন্দর দৃপ্ত সে খুঁজে পেলে না। অকারণে পথে কিছুক্ষণ ঘুরে সে পাশের বাড়ীতে প্রবেশ করলে। মহেন্দ্রবাবু সামনের ঘরেই বলেছিলেন, সাদরে অভ্যর্থনা করে প্রবীরকে বারান্দায় বসালেন । —ভাবছিলুম আপনার ওখানে যাব, তা এলেন, ভালই হল। যুধি আজ বেশ ভালই আছে, জর নেই বললেই হয়, ৯৮. ডিগ্রী, ও আর জর নয়, তবে কাল সকালে টেম্পারেচার উঠেছিল ৯৯ ডিগ্রী।--ফটোর সখ আছে বুঝি ? —ক্ট, বহুদিনের সখ । —তা বেশ, ভালই হল। ভাবছিলুম ঘুথির একটা ফটো তুলিয়ে রাখব—ফাই ইয়ারে ওদের কি পার্ট হয়েছিল তার এক ফটো আছে তারপর আর ফটো নেই— —যখন স্থবিধা হবে বলবেন, আমি আনন্দের সঙ্গে তুলে দেব। এত শীঘ্ৰ যে মনস্কামনা পূর্ণ হবে, প্রবীর তা ভাবেনি । —আজ থাক, আপনার সঙ্গে দু'একদিন আলাপ হোক, বড় লাজুক মেয়ে। যুধির খাওয়া হল—দেখি, একটু বস্কন, একবার জিজ্ঞেস করে আলি, আজ ভালই আছে, আপনার সঙ্গে আলাপ করতে পারবে। মহেন্দ্রবাবু একটু পরে এসে প্রবীরকে পূর্বদিকের বারানায় নিয়ে গেলেন। বেতের এক সেজ লওতে বালিসে হেলান দিয়ে যুথিকা বসেছিল, যুদ্ধহেসে নমস্কার করে প্রবীরকে অভ্যর্থনা করলে । - প্রবীর ধীরে বললে, কাল সন্ধ্যায় আপনাকে চমকে দিয়েছিলুম। মেয়েটি হেসে উঠল, তার গজদন্তপীত কপোলে রক্তের লালিমা লাগল। সে বললে, সেইজন্তেই ত আজ সকালে আপনার দেখা পেলুম। তার কণ্ঠস্বর যেন কোন মানবকণ্ঠের নয়, যেন কোন তারের বাদ্যযন্ত্রের মিহিম্বর ; সেই স্বরটি প্রবীরের অনিৰ্ব্বচনীয় মনে হল। চেম্বারে বসে সে বললে, আপনাদের খোজ নেওয়া অনেক আগেই আমার উচিত ছিল, স্বরথ আমায় কিছুই বলে যায়নি। বৃষ্টিশেষে উজ্জল নিৰ্ম্মল শুভ্ৰমেঘন্বন্দর শরতের আকাশের মত ঝলমল করে উঠল মেন্থেটির মুখ, কিন্তু সে ঝলমলানি ক্ষণিক মায়, তার অস্বাভাবিক দীপ্তি প্রবীরকে মুদ্ধ করলে। —ম্বন্দর সকালবেল, কি ছবি তুললেন ? —ছবি তোলার মত বিশেষ কিছু পেলুম না। —কেন মুসৌরী পাহাড় কি মুন্দর দেখাচ্ছে ! —ই, ওটা তুললে হয় বটে, আর আপনার একখানি ছবি, আপনার বাবা বলছিলেন— —আমার ? আচ্ছা তুলবেন’খন, এখন নয় কিন্তু । প্রবীর চুপ করে, যুথিকার মুখের দিকে চেয়ে রইল ; শরতে কাশবনের উপর রৌদ্রছায়ার লীলার মত তার মুখে আলোছায়ার খেল, করুণ স্বন্দর। ।