পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\రించి S99ఖి থাকিতে র্তাহারা প্রতিযোগিতায় ৰােগতম হইবার बिनडे द। शैनदल झईब्रांtछ् क्-िनां । আমর দেখাইবাছি যথাসাধ্য চেষ্টা করিতে উদ্বদ্ধ হইবেন মনে হয় না। “অবনত”দের জন্ত কতকগুলি পদ রাখিবার একটি কারণ এই, যে, তাহা না রাখিলে তাহারা সন্দেহ করিবেন, যে, উচ্চ হিন্দুরা র্তাহাদিগকে ব্যবস্থাপক সভায় ঢুকিতে দিবেন না। অন্যদিকে আবার এই সংরক্ষণ নীতি যতদিন থাকিবে, ততদিন উক্ত সন্দেহ ও অবিশ্বাসকে জিম্বাইয়া রাখা হইবে। এই হেতু সংরক্ষণ নিয়মটা রদ হইবার একটা মিয়াদ নির্দিষ্ট করিলে ভাল হইত। তাহাতে *অবনত”দের কোন ক্ষতি হইত না। কারণ, এ পর্য্যস্ত বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় তাহাদের জন্য স্বতন্ত্র একটি নির্বাচিত প্রতিনিধি পদও নির্দিষ্ট না থাকা সত্ত্বেও, “অবনত” শ্রেণীর কয়েক জন হিন্দু অন্য সব হিন্দু প্রার্থীদিগকে সম্মিলিত নিৰ্ব্বাচনক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় পরাস্ত করিয়া নিৰ্ব্বাচিত হইতে সমর্থ হইয়াছেন। - প্রধান মন্ত্রীর ব্যবস্থার এবং হিন্দু নেতাদের মীমাংসার একটি প্রধান দোষ এই যে, বহুসংখ্যক হিন্দুকে “অস্পৃশু” “অনাচরণীয়” বা “অবনত” বলিয়া আত্মপরিচয় দিতে হইবে, তবে তাহারা সংরক্ষিত পদগুলির জন্য নিৰ্ব্বাচক ও প্রার্থী হইতে পারিবেন। এরূপ পরিচয় অস্পৃশুভ ও অনাচরণীয়তার সম্পূর্ণ বিনাশে বাধা ও বিলম্ব জন্মাইবে। তা ছাড়া, এরূপ পরিচয় অপমানকর ও মনুষ্যত্বহ্রাসকারী । প্রধান মন্ত্রীর পুনা-চুক্তিতে সম্মতির কারণ মণ্টেগু-চেম্স্ফোর্ড শাসনসংস্কারবিধি অনুসারে বর্তমান ব্যবস্থাপক সভাগুলি গঠিত। তাহাতে অক্ষুন্নত শ্রেণীসমুহের ও নারীদের স্বতন্ত্র প্রতিনিধি স্বতন্ত্র নির্বাচন করিবার অধিকার নাই। কিন্তু প্রধান মন্ত্রী তাহার ব্যবস্থায় তাহাদিগকে স্বতন্ত্ৰ নিৰ্ব্বাচন দ্বারা মনোনীত আলাদা প্রতিনিধি দিয়াছেন। অর্থাৎ ভারতবর্ষের লোকদের মধ্যে যতটা ভেদ আগেকার শাসন-সংস্কার বিধিতে ছিল, তাহা অপেক্ষা আরও বেশী ভেদের ব্যবস্থা করিয়াছেন। প্রধান মন্ত্ৰী হিন্দু নেতাদের পুন-চুক্তি কেন अंश्नं कब्रिबांटाइन, डांशंब्र कांब्र१ चश्मांन कब्रिटङ हदेष्ण স্থির করিত্যুে হইবে, যে..তাহার.ভেম্বনীতি ঐ চুক্তিারা অনগ্রসর ও অগ্রসর হিন্দুদের মধ্যে ভেদ পুন-চুক্তি দ্বার সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয় নাই, এবং ঐ ভেদ প্রধান মন্ত্রীর মীমাংসা অনুসারে যত শীঘ্র দূর হইত, পুন-চুক্তিতে তাহা অপেক্ষা বিলম্ব হইতে পারে। স্বতরাং প্রধান মন্ত্রী যদি মনে করিয়া থাকেন, যে, পুন-চুক্তি দ্বারা তাহার ভেদনীতি অনেকটা সফল হইবে, তাহা হইলে তাহাকে ভ্রান্ত বলা शृांध्र न ! পুন-চুক্তিতে তাহার রাজী হইবার আর একটি কারণ সম্ভবত: এই, যে, উপবাসে মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যু হইলে সম্ভবতঃ ভারতবর্ষে যেরূপ অশান্তি উৎপন্ন হইত এবং পৃথিবীর অম্বুজও তাহার যে ফল ফলিত, ব্রিটিশ গবন্মেণ্ট তাহার দায়িত্ব গ্রহণ করিতে প্রস্তুত ছিলেন না। সেই জন্তও পুন-চুক্তি প্রধান মন্ত্রীদ্বারা শীঘ্ৰ গৃহীত হইয়া থাকিবে। মহাত্মা গান্ধী শীঘ্ৰ যাহাতে উপবাস ভঙ্গ করেন এবং তাহার দ্বারা যাহাতে ব্রিটিশ গবন্মেটিকে তাহার আসন্নমুতু্য রূপ গুরুতর সমস্তার সম্মুখীন হইতে না হয়, সেইজন্য গবন্মেণ্ট হিন্দু নেতাদিগকে জেলে র্তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিবার অনুমতি দি থাকিবেন। পুন-চুক্তিতে ব্রিটিশ গবন্মেন্টের রাজী হইবার আরও একটি কারণ হয়ত ছিল। “উচ্চ“শ্রেণীর হিন্দুদের মধ্যে ব্যবস্থাপক সভার সভ্য হুইবার উপযুক্ত শিক্ষিত ও স্বাধীনচেতা যত লোক আছেন, “অমুন্নত” শ্রেণীসমূহের মধ্যে তত নাই। এইজন্ত “অমুন্নত” শ্রেণীসমূহের সভ্যের সংখ্যা পুন-চুক্তিতে অনেক বৃদ্ধি পাওয়ায় গবষ্মেন্টের ভারতীয়স্বরাজবিরোধী নীতিতে প্রবল বাধা দিবার লোক ব্যবস্থাপক সভাসমূহে কিছু কমিবে। এই সম্ভাবনা গবন্মেন্টের পক্ষে অপ্রীতিকর হয় নাই। বন্ধতঃ, বাংলা দেশেও (যেখানে “অস্পৃশ্যতা”র প্রকোপ কম) ও• জন “অমুন্নত” শ্রেণীর প্রতিনিধি নিৰ্ব্বাচনার্থ তাহার চারিগুণ ১২• জন যোগ্য প্রার্থী পাওয়া খুব সহজ হইবে না। অন্তান্ত প্রদেশেও যথেষ্টসংখ্যক যোগ্য অকুন্নত” প্রতিনিধিপদপ্রাধা পাওয়া সহজ হইবে না।