পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ জড়বুদ্ধি ছেলেমেয়েদের প্রতি আমাদের কৰ্ত্তব্য Q☾☾ সেই একই উদ্বেগু নহে কি—আমাদের জীবনযাত্রাটি শান্তিময় ও নিরাপদ করা ? এরূপ ছেলেদের দ্বারা সমাজের কোন ক্ষতিই হয় না, যদি আমরা ইহাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান স্থাপন করিয়া ইহাদের কল্যাণসাধন করি। ( ৪ ) আমরা এরূপ ছেলেমেয়েদের প্রতি কোনও কৰ্ত্তব্য ত করিই না বরং ইহাদের উপর, এবং ফলে সমাজের উপর ঘোরতর অবিবেচনাপূর্ণ অবিচার করি উহাদের বিবাহ দিয়া। প্রথমতঃ জড়বুদ্ধি পুত্ৰকস্তার বিবাহ দিলে দাম্পত্যজীবনের শাস্তি অধিকাংশ কিংবা সকল স্থলেই চুর্ণ হইয়া যায়। দ্বিতীয়তঃ–ষে পরিবারের মধ্যে ঐরূপ পুত্র বা কন্যার বিবাহ হয় সেই পরিবারবর্গের মধ্যেও দারুণ অশাস্তির স্বত্রপাত হয় । তৃতীয়তঃ—ইহাদেরও ঐরূপ পুত্রকন্যা জন্মিবার সম্ভাবনাই খুব বেণী থাকে এবং অধিকাংশ স্থলেই জন্মে, ও সমাজের গুরুভার আরও বৰ্দ্ধিত হয় । এই সব বিষয় ভাবিলেই আমাদের মনে এই প্রশ্নই আসে—এরূপ ছেলেদের কি উপায় করা যাইতে পারে ? ইহার উত্তর এই—ইহাদের ও সমাজের উভয়েরই কল্যাণের জন্ত ও পরম্পরের শান্তির জন্য ইহাদের এমন একটি স্থানে রাখা উচিত যেখানে তত্ত্বাবধায়কগণ ইহাদের মনোভাবের সহিত পরিচিত এবং ইহাদের প্রতি সহানুভূতিসম্পন্ন এবং যেখানে উহাদের স্বাভাবিক গতিবিধি বা জীবনধারণে যথাসম্ভব স্বৰ্গকর হয়, বা উহাদের আত্ম-নির্ভরতা-সংহারক কোনও রূপ ব্যবহার বা রূঢ়তা না হয়। এরূপ প্রতিষ্ঠানের মূলমন্ত্রই এই ৷ এইরূপ প্রতিষ্ঠানের মুখ্য উদ্যেশুই আত্মনির্ভরতা বৃদ্ধি করা। ইহার বৃদ্ধি শাসনে হয় না,—প্রেমে হয়, সদ্ব্যবহারে হয়, নিয়মিত প্রণালীসমূহের দ্বারা হয়। ইউরোপ ও আমেরিকার মন্থৰ্য্যসমাজ এরূপ বালকবালিকা ও পরিণতবয়স্ক জড়বুদ্ধিদের বুকে করিয়া তুলিয়া লইয়া প্রতিষ্ঠানে রাখিয়া কত প্রকমের বিদ্যাশিক্ষা ইহাদের দিতেছে,— কৃষি, স্বত্রধরের কৰ্ম্ম, কামারের কৰ্ম্ম, বয়নবিদ্য, ইত্যাদি নানা প্রকারের ব্যবসায় শিক্ষা দ্বারা ইহাদের স্বাবলম্বী করিতেছে। উহাদের এই সকল প্রতিষ্ঠান সাধারণের অর্থসাহাধ্যেই পরিচালিত হয়। আমাদের দেশেও ষে যোগ্য লোক নাই তাহা নহে। তবে এইরূপ প্রতিষ্ঠানের মৰ্ম্ম এ প্রয়োজন যে কি, তাহা পূৰ্ব্বে কখনও কেহ জানেন নাই বা কেহ বুঝাইবার চেষ্টা করেন নাই । এই বিষম অভাব দূরীকরণের জন্য গত বৎসর প্লাজ। যুক্ত নরসিংহ মল্ল দেল বাছাছুর (১৯৩২) ২৪শে এপ্রেল তারিপে “বোধন” সমিতি নামে একটি সমিতি গঠিত হইয়াছে। এরূপ জড়বুদ্ধি বালকবালিকা বা পরিণতবয়স্ক ব্যক্তিদের জন্ত প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা, আধুনিক বা অন্তান্ত উপযুক্ত প্রণালী মতে তাহদের উন্নতিসাধন করা বা উহাদের জন্য বিশেষ উপনিবেশ স্থাপন করিয়া উহাদের যাহাঙে শাস্তিতে জীবনধাত্রা নির্বাহ হয় তাহার ব্যবস্থা করা এই “বোধনা"র মুথ্য উদ্বেষ্ঠ। "বোধন” নামটি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ দিয়াছেন, এবং স্বপ্তচেতনার বিকাশ কাৰ্য্যই যে এই প্রতিষ্ঠানের মূলমন্ত্র, তাহ নামটিতে বেশ পরিস্ফুট হইয়াছে। এই সমিতির বিযয় পূৰ্ব্বে 'প্রবাসী ও অন্তান্ত প্রায় সকল সংবাদপত্রেই প্রকাশিত হইয়াছে। এরূপ ছেলেমেয়ের স্বভাবতঃই বড় রুগ্ন হয়। সেই