পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७३० এখন প্রশ্ন হইতেছে, জ্ঞানের সহিত সত্তার, জানার সহিত থাকার, কোন সম্বন্ধ আছে কি-না ? সত্ত৷ সৰ্ব্বাপেক্ষা ব্যাপক পদার্থ। এমন কোন জিনিষ নাই, যাহার সত্তা নাই। জ্ঞানও যখন আছে, তখন জ্ঞানেরও সত্ত আছে বলিতে হয়। কিন্তু সত্তা থাকিলে কি জ্ঞানও থাকিবে? আমাদের নিজের সম্বন্ধে অনেক স্থলে বলিতে পারা যায় যে, আমরা থাকিলে আমাদের জ্ঞানও থাকে। মূছ ও স্বষুস্তি সম্বন্ধে হয়ত খুব জোর করিয়া বলিতে পারা যায় না যে, তখনও আমাদের কিছু-না-কিছু জ্ঞান থাকে। যদিইবা ধরিয়া লই যে, তখনও জ্ঞান থাকে এবং জ্ঞান ব্যতিরেকে আমাদের অস্তিত্বই সম্ভবপর নয়, তথাপি সকল স্থানে অস্তিত্ব থাকিলে জ্ঞান থাকিবে এমন কথা আমরা বলিতে পারি না। আমাদের সাধারণ বিচারে মনে হয় যে, যদিও জ্ঞান থাকিলে অস্তিত্ব থাকে, তথাপি অস্তিত্ব থাকিলে জ্ঞান থাকে, এ রকম কোন নিয়ম নাই । ঘটপটাদি অসংখ্য জিনিষ সসারে পড়িয়া রহিয়াছে, কিন্তু তাহাদের জ্ঞান আছে বলিয়া ত কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। এখানে প্রশ্ন উঠিবে ঘটপটাদির তাহাদের নিজের সম্বন্ধে নিজের জ্ঞান না থাকিতে পারে, কিন্তু তাহাদের সম্বন্ধে অন্ত কাহারও জ্ঞান থাক চাই ; তাহা ন হইলে সেই সকল পদার্থ আছে, এ কথাই বা কিরূপে বলি ? এই প্রশ্ন লক্টয়া দর্শনশাস্ত্রে জ্ঞানতান্ত্রিক ( idealist ) q<< zəgəstfq<ş ( realist )twa alt«] Azi বিরোধ। এই বিরোধের কিঞ্চিৎ আভাস দেওয়াই বর্তমান প্রবন্ধের উদ্দেশ্য । বস্তুতান্ত্রিকেরা মনে করেন, छांन दछद्र वर्षौन। छांन शक्tिउ श्झेल बलु शांक চাই ; তাহা না হইলে কিসের জ্ঞান হইবে ? কিন্তু বস্তু থাকিতে হইলে জ্ঞান থাকিবেই এমন কোন নিয়ম নাই। জ্ঞানতান্ত্রিকেরা এ কথা মানেন না। তাহার বলেন, জ্ঞাননিরপেক্ষ কোন বস্তু যে আছে তাহার কোন প্রমাণ नाहे । दछ शाकि८ङ झहे८ल डांशंद्र छांन शांक चांयश्छक ; জ্ঞান ছাড়া বস্তুর অস্তিত্বের কোন প্রমাণও নাই, অর্থও নাই। আমার বিশ্বাস, জগতের অধিকাংশ লোকই বস্তুতান্ত্রিক। সাধারণ বুদ্ধির লোকের পক্ষে জ্ঞানতন্ত্র মানিয়া ஐான் ত্ব - ఏ99áు লওয়া খুবই কঠিন। আর সাধাৰণৰুদ্ধি যে সকল সময় ভুলই দেখে, তাহাও নয়। অসাধারণবৃদ্ধির অভিমানে আমরা কখনও কখনও সাধারণ বুদ্ধিকে অবজ্ঞার চক্ষে দেখিতে পারি বটে, কিন্তু যে সাধারণ বুদ্ধি অধিকাংশ মানবের জীবনেই সময় এবং অভিজ্ঞতার নানা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া আসিয়াছে, তাহাকে সহজে ভ্রান্ত বলিয়া দূরে ফেলিয়া দেওয়া যায় না। তবে এ বিষয়ে কোন স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হক্টভে হইলে জ্ঞানতন্ত্রের যাহা বক্তব্য তাহা আমাদের সর্বাগ্রে প্রণিধানপুৰ্ব্বক বিচার করিয়া দেখা উচিত । বিশপ বার্কলী জ্ঞানতন্ত্রের একজন প্রধান পুরোহিত । তাহার মতে থাকা আর দেখা একই কথা ; কোন জিনিষ আছে এবং তাহার সম্বন্ধে জ্ঞান হইতেছে ইহা ছুই কথা নয়। কোন জিনিষের থাকার নামই আমাদের তাঙ্কার সম্বন্ধে জ্ঞান হওয়া। (Esse is percipi ) । এই বিশ্বে দৃশ্য ছাড়া আমরা আর কিছুষ্ট পাই না। দৃশ্য বলিতে চোখ দিয়া যাহা দেখি শুধু তাহাই বুঝিতে হইবে না। কান দিয়া যাহা শুনি, নাক দিয়া যাহার গন্ধ পাই, সেই সকলই দার্শনিক অর্থে দৃশ্য। বিভিন্ন ইন্দ্রিয়ের দ্বারা যাহার छांन झ्ञ उांशझे मृथा ।। ७३ मृथा चाभारमञ्च झर्नन बां জ্ঞানসাপেক্ষ। আমাদের দর্শন ছাড়া দৃশ্যের কোন चखि १ नोहे । eथभङ, मर्तन दाउँौड नृश्शब्र cष उ{ কোন প্রমাণ নাই, তাহাই নহে। দর্শণ ব্যতিরেকে দৃশ্যের কোন অর্থই আমাদের কাছে থাকে না। গদ্ধে ঘর ভরপুর হইয়া আছে, অথচ তার কোন অন্তৰ্ভুক্তি হইতেছে না, নানা স্বরে বিশ্ব মুখরিত হইয়া উঠিছে, অথচ তাহা কাহারও শ্রুতিগোচর নহে, এইরূপ কল্পনা আমরা করিতে পারি না । যে গন্ধের অস্ত্ৰিাণ নাই, যে-শস্ত্র কোন অবস্থাতেই শুনিতে পাওয়া যায় না, ষে-রূপ কিছুত্রেই দেখিবার নয়, সে গন্ধ, শস্ব ও রূপ শুধু কথামাই তাহাদের কোন অস্তিত্বের কল্পনা আমরা করিতে পারি না। 尊 | দ্বিতীয়ত, দৃশ্যের জ্ঞান ব্যতিরিক্ত নিজস্ব কোন গ | থাকিলে তাহা একই ভাবে সকলেই উপলব্ধি করিতে । পৱিত। কিন্তু আমরা দেখিতে পাই যে তাৰি