Ծ ՑՆ S99*> ছেলে হয়েছে, তারই নামকরণ-নিন, এই আর একটি বাড়ল ! অযথা একটা নামের বোঝা ঘাড়ে করিয়া পুথিবীতে ভীড় জমাইয়া লোককে কি অস্ববিধাতেই ফেলিয়াছি জানিতে পারিয়া অপরাধীর মত মাথা নীচু করিয়া নিরুত্তর থাকি । কোনদিন হয়ত বা কথাটা পারিবারিক প্রসঙ্গে আসিয়া ঠেকিল ; গৌরীকান্তবাবু হঠাৎ প্রশ্ন করিয়া বসিলেন,—পুরুষে আত হাঙ্গাম ক’রে বিয়ে করে কেন মশাই ? এককথায় এত বড় সমস্তার কি সদুত্তর হইতে পারে ভাবিতেছি, গৌরীকান্তবাবু নিজেই বলিলেন,— একটু জুতসই ক’রে আহার করতে পাবে, এই তো—ন, আরও কিছু ! স্বস্তির সহিত বলিলাম,—কই আর কোন উদ্বেগু তো চোখে পড়ে না । ওঁরা কিন্তু মনে করেন স্বামীর সখের জ্যাম্ভ আসবাব ঘরে উঠলাম ; বিশেষ ক’রে যদি আবাম লোখাপড়ার বালাই থাকে। আমার মুখের দিকে একটু চাহিয়া রছিলেন ; সপক্ষে কি বিপক্ষে কোন রকম উত্তর না পাইয়া বলিলেন,—তবে গোড়া থেকে আপনাকে বলতে হয়। এ-পক্ষের ইনি আসবার অনেক দিন পৰ্য্যন্ত আশায় আশায় কেটে গেল ; কিন্তু রায়া খোলে না । তারপর টের পাওয়া গেল—কলেজ মাড়িয়ে এসেচেন । —আমি তো মাথায় হাত দিয়ে বসলাম রে দাদা । ক্রমে সব একে একে দেখা দিতে লাগলেন,—শরৎ চাটুজো, ডি. এল. রায়, রবিবাবু-কম্বিন কালে ধাদের সব নামও শুনিনি -একে একে সব ট্রাঙ্ক থেকে বেরুতে লাগলেন। তখন বুঝলাম ব্যাপারটা-রান্নার হাত দিন-দিন এমন হচ্চে কেন,—কোথায় দিন-দিন পাকবে, না...তা শাজাহান তেলমসলার খবর দেবে কেন ইয়ে বাবু, তখন থেকে তকে তন্ধে রইলাম ; যিনি বেরুচ্চেন ষ্ঠাকে আর ঢুকতে হচ্চে না,—বাড়ির ত্রিসীমানার বার করে এসে ট্রাঙ্ক হালকা ক’রতে লাগলাম। বেশী দিন আর লুকোনো রইল না কথাট। দিন-কতক রাগ, তৰী, বাপের বাড়ি,—অনেক রকম চলল—কুরুক্ষেত্ৰ কাণ্ড আর কি ! কলকাতার মেয়ে, তায় নতুন রক্তের তেজ-“আমি কিন্তু কড়া ক’রে রাশ টেনে রাখলাম। ক্রমে রসটি ম'রে এসেচে ; বলতে নেই, হেঁসেলেরও ঐ ফিরেচে—আমিও নিশ্চিন্দি হয়ে হাত-পা গুটিয়ে, আপনারা যাকে বলেন পবিত্র দাম্পত্য জীবন, তাই একটু ভোগ করব করব করচি এমন সময়---কি ? বড় দেরি হয়ে যাচ্চে, না ? আচ্ছা, থাকু তা’হলে ; এক দিন বলব’খন সব কথা, একখানি আস্ত মহাভারত রে দাদা, বলেন কেন••• ૨ সেদিন একটা কাজের হিড়িকে পড়িয়া প্রায় সন্ধ্যা হইয়া গেল বলিয়া আর বাহির হইলাম না। বাড়ির সামনে খোলা উঠানটিতে একটা আরাম-কেদারা বিছাইয়া পড়িয়া রহিলাম। পাশে একটি বাগান করিয়াছি। এতটুকু এক ফালি জায়গা—আমাদের তিনজনের সর্থে সখে একেবারে নিরবচ্ছিন্নভাবে পূর্ণ হইয়া উঠিয়াছে, বাড়ির একটি মাত্র মেয়ে যেমন অনেকের স্নেহের নিদর্শনে ভারাক্রান্ত হইয়া ওঠে। আমার গোলাপ আছে, ম্যায়োলিয়া আছে, বার মেসে ডালিয়া আছে, একটা কেয়ার ঝাড় আছে ; ওর আছে মল্লিক, যুী, মালতী, রজনীগন্ধ, গন্ধরাজ, আরও কত কি ; আর এরই মধ্যে মা’র গাম্ভীর্ধ্য আর সৌম্যতা লইয়া দাড়াইয়া আছে মা'র সখের লজনে গাছ, বক ফুলের গাছ, করঞ্চ গাছ, তাহাজের শত শত হস্তে ফলম্ভ কুমড়া, লাউ, ঝিঙা, উচ্ছের ভার তুলিয়া ধরিয়া । —বোধ হয় একটু পরিচ্ছন্নতার অভাব আছে। তা थोक ; ७थात्म खि चाभब्रा थाङ श्रृंख-दर्दू उिन खप्न সংসারের বাহিরে, এক প্রচুর মুক্তিরু মাঝে আর এক ভাবে মিলিয়া গিয়াছি••• গরমের এই সময়ট সব ফুল ফোটে। একটু বাতাস ছিল—যেন ফুলের গন্ধের নেশা ধরিয়াছে-ভারী, অলস, আর একটু দিকভ্রান্ত । সন্ধ্যা গাঢ় হইতে আকাশে টাটা
পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৭০
অবয়ব