পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ऋष्ठन्स cषॆणiषद्म \ు?S সম্রাজ্ঞীর মত একটি চমৎকার ভঙ্গীতে গ্রীবাটি সরাইয়া মধুর হাসিতে চোখ দুটি উজ্জল করিয়া মাধবী বলিয়াছে, “ছাই দেখাচ্ছে। এ আমি এক্ষুনি তুলে ফেলব।’ কিন্তু তুলিয়া সে ফেলে নাই। নিরালোক নিন্তব্ধ জীর্ণ বাড়িখানির একটি নিতান্ত ছোট গৃহস্থালীর মধ্যে) একটি নিরাভরণ ঘরে যেন দূরাগত অশ্বখুরধ্বনিকে বন্দী করিয়াছে। রাজকন্সার আয়ত গভীর দুটি খ সেই অপার বারিধির অতলস্পশী নীলিমা, ख्बउशैर्ष नानिकाब ध्यन-शैष्णब फेब्रम शक ! শ্রাবণ-রাত্রির ছায়ান্ধকারে চিরন্তন বর্ষণধার। যখন ঝমৰম করিয়া ছাদের উপরে বাজিতে থাকিত, বাহিরের ছোট বাগান হইতে রজনীগন্ধা আর হেনার গন্ধ সমস্ত ঘরে মুগনভির মত অবিশ্রাম ঘুরিয়া বেড়াইত, বীরেন তখন নিম্পলক চোখে সেই রূপকস্তার মুখের দিকে মুখउitद कांश्ञिा थकिउ ; भाषबौ चउाख घृश् भधूब कté আবদারের ভঙ্গীতে বলিত, ‘একটা গল্প বলবে আজ ? বীরেন বলিত, “আগে যদি আস্তে আস্তে একটা গান જile i’ রাগ করিয়া মাধবী সরিয়া গিয়া বলিত, তবে যাও, তোমার যত ৰাজে কথা,—” তারপর অনেকক্ষণ ধরিয়৷ মান-অভিমানের পালা চলিতে থাকে । শেষ পৰ্য্যস্ত গান মাধবীকে গাহিতেই হয় । তারপর এক অপূৰ্ব্ব মধুর সম্ভাবনায় মাধবীর দেহে একদিন আসন্ন জননীর আনন্দ-বেদনা মেদুর হইয়া উঠিয়াছে। বাহিরে সেই অজস্র মাধবীলতার রক্তিম সমারোহ, রাত্রির নিম্পন্দ নিঃশ্বাস, আর এইখানেই অপরিমেয় ক্ষ৭-রোমাঞ্চে মাধবীর সমস্ত শরীর র্কাপিয়া উঠিত ! বীরেন একবার কানের কাছে মুখ লইয়া গিয়া জিজ্ঞাসা করিয়াছিল—“কি নাম রাখবে ? তাড়াতাড়ি ডান হাতের তজ্জনী দিয়া বীরেনের মুখ চাপিয়া ধরিয়া লে বলিয়াছিল,—চুপ! এখন নয়। श्शूब श्रृंप्लांहेब्र कथम बिकांzलग्न ८कांभण झांब्रां नाभिब्र আসিন্ধাছে, বীরেনের মোটেই খেয়াল নাই। পড়ম্ভ রৌদ্রের একটি নিস্তেজ মুমুধু আলো বীরেনের বইগুলির উপর আসিয়া পড়িয়াছে। বাহিরে অবিশ্রাস্তভাবে একটানা ঘুঘুর ডাক বস্তৃক্ষণ ধরিয়া সমানে চলিয়াছে । অঙ্কমমস্কভাবে বীরেন সামনের টেবিল হইতে একখানা বই টানিয়া লইল। পাতা উলটাইতেই একখানি অসমাপ্ত চিঠি তাহার চোখে পড়িল । মাধবী তাহার বিশেষ বন্ধু রেবাকে লিখিয়াছে :– ভাই রেব, কলেজের ছুটি ত তোদের এসে পড়লে । কতদিন ধরে আসবে। আসবে বলছিল, একবার ত কই এলি না ? এখানে সমবয়সী কেউ নেই ভাই—ঐটুকুই যা কষ্ট। একেবারে ভুলে গেলি নাকি ? উনি ত প্রায়ই ঠাট্টা করেন, বলেন বন্ধুর খবর কি, হিংসে হবে বলেই আসেন না বোধ করি। আর না হয় ত নানা ব্যাপারে ব্যস্ত আছেন। আর পারা গেল না ভাই ! অস্থির করে মারে । তুই এসে একবার খুব ক’রে শুনিয়ে দিয়ে যেতেও পারিস ত ? তোর ত সে-সম্বন্ধে বেশ স্বনাম আছে ? এই পৰ্য্যম্ভই লেখা হইয়াছে। তারিখ দেখিল, পাচ দিন আগের। বন্ধুকে সে পাচ দিন আগেও-এই অসমাপ্ত চিঠিখানি লিখিয়া রাখিয়া গিয়াছে । তাহার হাতে ষে এ-চিঠি আর কোনদিনই শেষ হইবে না সেও বোধ করি তাহা ভাবিতে পারে নাই। ছুটিতে রেব আসিলে তাহার সন্তানকে দেখিতে পাইবে, সেই প্রচ্ছন্ন ইঙ্কিতটুকুও অভাগিনীর হাতে নিত্যকালের জন্তই অলিখিত রহিয়া গেল । বীরেন আর ভাবিতে পারে না । অসহ যন্ত্রণায় কপালের শিরাগুলি তাহার টন্‌টন করিতেছে। আসন্ন সন্ধ্যার এই ভয়াবহ অন্ধকারে সে আপনার নিদারুণ একাকীত্ব কল্পনা করিয়া শিহরিয়া উঠিল। ভাঙা দেয়ালের ফাটলে অশ্বখের ছোট চারাগুলি বির-ঝির করিয়া কাপিতেছে। হেমস্ত কালের ঠাণ্ডা বাতাস হু-হু করিয়া ভাসিয়া আসিতেছে। সিড়ির উপরে মাকড়সার জালের কাছে কালে-কালে বাছুড়ের ডানা অস্পষ্ট অন্ধকারে ছলিতেছে, মাঝে মাঝে টিকটিকির শব্দও শোনা যায়। ',