পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৭২ প্তপ্রবাসী স্ট S99శు BB DB S BBBBS BB BBB BB BBBD BBBB BB BBBBBB DBBB DBB DD না দেখে । ফিরাইয়া লইল। বউ সভাস্থলে বেশীক্ষণ বসিল না। “কি যে করেন অমূল্য দা !" বলিয়া সে পাশ কাটাইবার একটু চেষ্টা করিল বটে, কিন্তু উপহারদাতা ফুলের তোড়া ততক্ষণ তাহার হাতের উপর একেবারে আনিয়া ফেলিয়াছে, কাজেই যামিনীকে বাধ্য হইয়া সেটা হাতে লইতেও হইল, এবং দাতার দিকে একবার তাকাইয়া দেখিতেও হইল । অতি স্বদর্শন যুবক, যেমন গায়ের উজ্জল রং, তেমনি স্বন্দর নাক মুখ। অমূল্য আবার তাড়াতাড়ি পরিচয় করাইয়া দিল, “ইনি কুমারী যামিনী সরকার, ইনি ক্রযুক্ত সুরেশ্বর রায়।” যামিনীর লোকজনের সঙ্গে • আলাপ করা বড় একটা অভ্যাস ছিল না। অবিবাহিত যুবক যুবতীর মেলামেশা করার জ্ঞানদা মোটেই পক্ষপাতী ছিলেন না। ইহাতেই জগতে যত গোলমালের সৃষ্টি হয়। তবু আরক্তমুখে একটা নমস্কার যামিনী কোনোরকমে একটা সারিয়া লইল । এমন স্থানে কথোপকথন করিবার চেষ্টা করা বৃথা জানিয়া যুবকও সরিয়া গেল। যামিনী ফুলের তোড়াটা তরুর হাতে ঠশিয়া দিবার চেষ্টা করিতে লাগিল, বলিল, “এটা একটু ধর না ভাই ।” তরু দুষ্টামি করিয়া বলিল, “আমি বউয়েরটাও ধরখ তোরটাও খরব ? বেশ বাবা চিনির বলদ পেয়েছ ?” যামিনী মুখখানা আরও একটু লাল করিয়া বলিল, “আহা, চিনির বলদ আবার কি ? আমারটাও ত আসলে অমূল্যদার, আমার ত নয় ?” তরু বলিল, “আসলে যারই হোক, তোর হাতে দিতে পেয়ে ভদ্রলোক বৰ্ত্তে গিয়েছে। বেশ হল, একটা বৌভাতে আর একটা বিয়ের জোগাড় হয়ে রইল।” “কি যে বলিস তার ঠিক নেই, বলিয়া যামিনী ফুলের তোড়াটা এক রকম জোর করিয়াই তরুর হাতে গুজিয়া দিল । তাহার চোখে প্রায় জল আসিয়া *क्लिब्रांछ्लि । খানিক পরে একটু সামলাইয়া লইয়া সে আবার মুখ তুলিল। স্বরেশ্বর অল্প একটু দূরেই দাড়াইয়াছিল এবং খানিক পরেই স্বধা আসিয়া তাহাদের উঠাইয়া লইয়া গেল। ষামিনী এতক্ষণে হাফ ছাড়িয়া বঁচিল । তরু ভিতরে ঢুকিয়াই চীৎকার করিয়া জ্ঞানদাকে ফুলের তোড়ার বৃত্তান্ত শুনাইতে বসিল । তিনি শুনিয়া খুসি হইলেন কি বিরক্ত হইলেন, ঠিক বুঝা গেল না। গম্ভীরভাবেই জিজ্ঞাসা করিলেন, “স্বরেশ্বর রায় আবার কে ?” স্বধা বলিল, "ওম, ওদের নাম শোনো নি ? সম্ভবতঃ জমিদার যে ? সেদিন বাপের অত বড় সম্পত্তি পেল দুই ভায়ে ? ছোট ভাইট ত একেবারে বাচ্চা, স্কুলে পড়ে। আমাদের বাড়ীর কাছেই বাড়ী নিয়ে রয়েছে । আমার বসবার ঘরের জানলা থেকে দেখা যায়।” জ্ঞানদা বলিলেন, “ছোট ছেলের নাম শিশির নাকি ? খোকার সঙ্গে পড়ে, খোকা খুব গল্প করে। পণি ঘোড়া নাকি দেখতে যাবে বলে আজও জেদ করছিল " স্বধা বলিল, “এই হবে, ছোট ছেলেটার ভাল নাম কি তা জানি না, বুড়ো বুড়ে বলে ডাকে।” জ্ঞানদা আবার চুপ করিয়া গেলেন। স্বধা তাহার কাণের কাছে ফিস্ ফিস্ করিয়া বলিল, “দেখ না একবার । এখনও ত স্বরেশ্বর রায়ের বিয়ে হয় নি ? নিজেই কর্তা ।” জ্ঞানদা বিশেষ কোনো উৎসাহ প্রকাশ না করিয়া বলিলেন, “তুমিও যেমন বাছা। ওরা আমার মেয়ে নিতে চাইবে কেন ? হিন্দুসমাজের মানুষ। তা ছাড়া ও নিজে কৰ্ত্তাই বা কিসে? মা রয়েছে ত?” স্বধার বেশী গল্প করিবার সময় ছিল না। মেয়েদের এইবার পাত পাড়িবার ব্যবস্থা করিতে হুইবে । মেয়েদের হইয় গেলে তবে বাবুদের খাওয়া। সে উঠিয়া পড়িয়া বলিল, “কিসের ? মা আছে ঐ নামে মাত্র। কারো সাতেও নেই পাচেও নেই। স্বামী মরে গিয়ে অবধি কারো সজে কথা কওয়া অবধি বন্ধ করে দিয়েছে । শুনূছি নাকি শীগগিরই কাশী চলে যাবে। ছেলেরা ত যা খুলি করে বেড়ায়।”