পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓፄ ኃ ধ্ৰু প্রবাসনা ; ఏ99ళేు বৌ-ঠাকুরুশকে যে সব কি চোখেই দেখেছ জানিনে। ওর সবই গুণ দেখ খালি। ঘরটা একটু পরিষ্কার করতে এলুম তাতে আবার বেী ঠাকুরুণের ছোয়াচ কি দেখলে ? আমার আমন নকল ক’রে ক’রে বেড়ান সাতজন্মে আভোস cनद्दे । ब्रहेण घब्र, थांक ना नटफ़, चांभांद्र कि ? ८ठीभांब्रहे স্ববিধের জন্তে করতে এলুম ; তা আমার ভাল ত চোখে পড়ে না কিছু। এই যদি বৌদি করছে দেখে আসতে ত ইনিয়ে-বিনিয়ে কত ব্যাখ্যান করতে দেখতাম।” অৰ্দ্ধসমাপ্ত গৃহসংস্কার ছাড়িয়া দিয়া ছমছম শব্দে রমা চলিয়া যায় , শাশুড়ীকে গিয়া বলে, “মা, আপনার ভাড়ার ঘরটায় জিনিষপত্রগুলো বার করে দিয়ে ঘরটা একবার ধুয়ে দিলে হয় না 7 বডড ময়লা হয়েছে ।” সেদিন বৈকালে কেশব যখন বাড়ি আসিল তখন দিদি বাড়ি চলিয়া গিয়াছেন, রমা রহিয়া গিয়াছে, সন্তোষ নাকি সন্ধ্যাবেল আসিয়া তাহাকে লইয়া যাইবে। সারা ছুপুরট। দিদির নিকট খোট খাইয়া ইন্দিরার মেজাজ প্রসন্ন ছিল না । স্ত্রীর মুখ দেখিয়াই কেশব কারণটা ঠিক না বুঝিলেও মনের অবস্থাটা বুঝিল এবং “কি রে রম, কখন এলি" বলিয়া ঘরে ঢুকিয়া গুইবার ঘরের গাটের উপর কোট ও কামিজ এবং মেজেতে, জুতা ও মোজা সশব্দে ফেলিয়া ধড়াস করিয়া বিছানায় গুইয়া পড়িয়া উদেশে স্ত্রীকে বলিল, “এক পেয়ালা চা দেবে ? আর কিছু খাব না আজ এখন ।” চা হাতে লইয়া কিছুক্ষণ পরে ইন্দির গৃহে প্রবেশ করিয়া দেখিল ঘরের মধ্যে জুতা মোজা গড়াগড়ি যাইতেছে। জুতা হইতে কাদাধুলা ছিটকাইয়া ঘরের মেঝের ছড়ান-কামিজটা মাটিতে পড়িয়া,কোটটা পড় পড় অবস্থায় খাটে ঝুলিতেছে। ইতিমধ্যে খোকা ঘুম হইতে উঠিয়া কখন হামাগুড়ি দিয়া এ ঘরে আসিয়া বাপের জুতার একখও লইয়া মহা আগ্রহে তাহার রসাস্বাদনে ব্যাপৃত । খাটে ভইয়া কেশব পার্থে উপবিষ্ট ভগিনীর সহিত গল্প করিতেছে । স্বামীর হাতে চা দিয়া ছেলেটাকে টানিয়া তুলিয়া ইন্দির বলিল, “কতদিন বলেছি যে, জুতোমোজাগুলো একটু হাত বাড়িয়ে ঐ বারান্সার তাকে দয়া করে তুলে রেখেী—তা কি যে তোমাদের মাখা কাটা যায় জামার একটা কথা শুনলে তা তোমরাই জান ।” অল্প সময়ে কেশব এরূপ কথা প্রায়ই শুনিয়া থাকে এবং নিঃশব্দে গলাধঃকরণও করিয়া থাকে। কিন্তু এক ত बाफ़ि चानिcउहे चांब जौब्र बूथब्र श्रृंखौब्र खांब cनर्थिब्र তাহারও মেজাজ খুব স্বপ্রসন্ন ছিল না। তাহার উপর বয়ঃকনিষ্ঠ ভগিনীর সম্মুখে কৰ্ম্মক্লান্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরিয়া সারাদিনের পর স্ত্রীর নিকট হইতে এইরূপ সম্বোধন পাইয়া তাহার রাগ চড়িয়া গেল । উচ্চস্বরে বলিল, “না হয় তুমিই রাখলে তুলে—তাতেও কিছু মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না।” ইন্দির উত্তর দিল, “আমি ত রাখি রোজই । তোমার হাতে ঘর পরিষ্কার রাখবার কোনো কাজ ছেড়ে দিলে এ ইছরের গৰ্ত্তয় আর টিকতে পারা যেত না, সেটা জেন । যাকৃ, নোংরামি ত তোমাদের ভাইবোনেদের মতে মস্ত একটা গুণেরই সামিল, সে-কথা নিয়ে আর নালিশ করে কি হবে—তবে ছেলেট জুতোরগুলো খেয়ে বেড়াচ্ছে সেটা দেখেও ত জুতোটা তুলে রাখতে পারতে।” বোনের সম্মুখে স্ত্রীর মুখে ভাইবোনের কথার উল্লেখে কেশব আরও চটিয়া বলিল, “ঘর-সাজানোর জাকেই গেলে । ভারী দুটো টেবিল চেয়ার ফুলদানী ঘরে রেখে তুমি ভাৰ ষে তুমি যেমন সংসার করছ এমন আর কেউ করে না। স্থখের চেয়ে আমাদের স্বস্তিই ভাল—তোমার ঘর পরিষ্কার রাখবার জালায় নিজের বাড়িতে আমার ত এখান থেকে ওখানে নড়ে বসবার জো নেই। তোমার টেবিল উলটে যাবে, সেখান aথকে আবার একটু নড়তে গেলে তোমার ঐ ছেড়া স্থাকড়ার কাপেট সরে যাবে। কাঠের পুতুলের মত সাজান ঘরে বসে খেকে ষে কি স্বধ তা তুমিই বোৰ, আমাদের ভাইবোনের আর বুঝে কাজ নেই।” ইন্দিরা অত্যন্ত রাগিল । একে ত কাহারও সামনে স্বামীর সহিত ৰকাৰকি তাহার একেবারেই পছন্দ নয়, তাহার উপর প্রাণপাত পরিশ্রম করিয়া সকলের স্বর্থস্বাচ্ছন্দ্ব্যের জন্যই এই গরিবের ঘর কয়টিকে সে বখাসাধ্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখিতে চেষ্টা করে। বাড়িতে একটি