কাতিক দুঃখ ঘুচাইতে না পারিয়া অন্তের দুঃখে যাহারা অশ্রুতাগ করে মনে হইল, হেরম্ব সেই জাতের মানুষ । অস্তরের রিক্ততা যাহাজের অপরিমিত, তত্ত্বে এবং তর্কে তাহার। আপনাদিগকে ভরিয়া তুলিতে চায়। তাহারের সহিত যামিনীর সহানুভূতি নাই । হেরম্ব কহিল, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে তুমি ছেলেমাহুষ নও যামিনী, চোখ বুলিয়েই তুমি আমার সমস্তটা বুঝতে পেরেছ । আমি চিরদিন নিজের ধানধারণা নিয়েই আছি, নিজের দিকে চেয়েই আমার ক্লিন কেটেছে, অথচ তুমি যে আমার ঘরে আসবে, তোমার জন্তে আমার কোনো সংগ্রহই নেই। তাহার হাতের ভিত্তর যামিনীর হাতখানি স্থির হইয়। ছিল । মনে হইল সে-হাতে উত্তাপ আছে, কিন্তু উত্তেজনা নাই । যামিনী কহিল, ওঁদের নিন্দে করার এমন কিছু ত নেই, ঘরদের সংসার ওঁদের বেশ ফিটফট, সোঞ্জা লোক ; ধারও করেন না, দানও করেন না, খুব সাধারণ, এমনিই আমার ভাল লাগে। হেরম্ব নিৰ্ব্বাক হইয়া কিয়ংক্ষণ পড়িয়া রহিল। ঘরে আজি আলো জালিবার প্রয়োজন হয় নাই। শ্রাবণ মাসের রাত্রি হইলেও শুক্ল চতুর্দশীর চন্দ্রালোক দক্ষিণ দিকের জানালার ভিতর দিয়া বিছানার উপর আসিয়া পড়িয়াছিল। এমন স্বন্দর রাত্রে নিভৃত শয্যায় শুইয়া তাহাদের কেবলই মনে হইতে লাগিল, পাশাপাশি থাকিলেও তাহারা পরম্পর পরস্পরের নিকট হইতে বহু দূরে। কেহ কাহারও নাগাল পাইতেছে না। —যামিনী ? যামিনী সাড়া দিয়া কহিল, ঘুমোও নি এখনও ? ভাবলাম বুঝি— হেরম্ব কহিল, পিঠের তলায় কি ফুটচে, বোধ হয় ক্টাকর । —সে কি, বিছানা খুব পরিষ্কার করে ঝেড়েছিলাম उ ! হেরম্ব তাহার গায়ের উপর ডান হাতখান। প্রসারিত করিয়া দিয়া কহিল, ‘যামিনী ? বলিয়া তাহার গলার কাছে সে মুখ আনিল । অচল ዓው যামিনী হাসিয়া কহিল, তাহলে কাকর নয়, কেমন ত ? —ন কাকর নয়। আচ্ছা যামিনা, আজকের রাজে আমাদের এই আনেন, কিন্তু তাদের কথা ভাবলে কি এতই প্রলাপের মতই শোনাবে ? যামিনী বিস্মিত হষ্টয়া কহিল, কারের কথা গে৷ ? —এই পর এখন আশ্রয়হীন হয়ে যারা পথে-পথে ঘুরচে, কিংবা এই মহূৰ্বে যাদের জীবন চিরকালের জন্য ব্যর্থ হয়ে গেল, কিংবা-— - —তোমার যত আজগুবী ভাবন । যাদের দুঃগ পাবার কথা, সে তার পাবেই, আমরা কি করব ? হেরম্ব একটু হাসিল, কিন্তু সে-স্থাপি তাহার কেমন, তাহ। রেপিবর উপায় ছিল না । বলিল, যামিনী, ভাতের গ্রাস যারা মুখে তোলে, তার ডাদের জন্তে দায়ী যাদের অন্ন জোটেনি। —ত ব'লে তাদের জন্তে উপোস ক’রে থাকৃতে হবে ? —ত বালনে যামিনী, আমার উংসবের আনন্দ তখনি একেবারে চলে যায় যপন দেখি বাসর-ঘরের দরজাধু জড়িত সঙ্কোচে দাড়িয়ে রয়েছে উদাসীন বিধবা মেয়ে । ঘামিনী, বিধাতার এই বিপুল বিশ্বসৃষ্টির ਿੜ কোথায় যেন একটা ভয়ানক ভুল-চক রয়ে গেছে, নয় ? —ষ্ট্য", আমার ও তাই মনে হচ্ছে । এবার ঘুমোশ্ব — বলিয় যামিন: পশে ফিরিয়া হাসিয়া চোখ বুজিল । বিবাহ হইয়াছে বেশ লোকটির সহিত য: হে:ক । ভগ্নহার লিন এবং রান্ত্রি এমনি করিদ্ধাঙ্গ তাহাদের কাটে । ভন বউ একটু একটু করিয়া পুরাতন হুইয়া আসে । "াস আবেগ এবং বক্তৃতা হেরম্বর কমিয়া যায়। ঘামিনী এখন রীতিমন্ত সংসারী হুইয়া উঠিয়াছে । কিন্তু সাংসারিক ! আলাপ করিবার কোনো ইঞ্জিত পাইলেই হেরম্বর দুইটা চোখ উদাসীন হইয় ওঠে। মৃত বিচিত্র চিন্তু লইয়৷ তাঙ্গর কারবার। কোথায় হইল যুদ্ধ-বিগ্রহ, ধাতুসের নীচতা, শাঠ্য ও লোভ কোথায় উদ্ধত হইয়া আত্মপ্রকাশ করিয়ছে, পুথিবীর কেন কোণে ঈশ্বর ও ধর্মের নামে মনুষ্যত্ব ধূল্যবলুষ্ঠিত হইল, মহত্বর গ্ৰেম কোথায় হইয়াছে
