পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপ্রবাসী ; এই চিঠি তিনি তাহাকে লিখিতে পারিয়াছেন। অজয় আর বেশী ভাবিতে পারিল না, টেবিলে মাথা গুজিয়া নীরবে অশ্রীবর্ষণ করিতে লাগিল । তারপর অপরিচিত অন্ধকার দুর্ভাগ্যের জগতে তাহার অপরিসীম মুক্তি। কোনওদিকে সম্প্রতি কিছু ষে তাহার করিবার নাই, এই অভিনব উপলব্ধির মধ্যে কয়েকদিন সে বুক ভরিয়া নিঃশ্বাস লইল। চিরকাল ছোটবড় সমস্ত সংগ্রামের ক্ষেত্র হইতে সে পলায়ন করিত ; জাজও বুঝিল না, পিতা তাহাকে পরিত্যাগ করিয়াছেন এই চিন্তাও তাহার একট। পলায়ন । পিতার সম্বন্ধে সমস্ত দায়িত্ব হইতে নিজেকে অতি সহজে সে নিস্কৃতি দিল। . কিন্তু ভাগ্য তাহাকে নিষ্কৃতি দিল না। দুইদিন না যাইতেই অদূরবর্তী ভবিষ্যতের ভাবনা তাহাকে ঘিরিয়া ভিড় করিয়া আসিল । চিরকাল বাংলা উপস্থাসের নায়কদের মত নিশ্চিন্তমনে তর্ক করিয়া, বক্তৃতা দিয়া, নানা মনোলোভন মরীচিকার পশ্চাৎ পশ্চাৎ, ছুটিয়াই তাহার দিন কাটিয়া যাইবে, ইহাই হয়ত তাহার মনে ছিল । আজ জীবনের নগ্নতার রূপ, বিরূপতার রূপ, সহসা তাহার সেই নিশ্চিম্ভতার একেবারে শষ্যাপ্রাস্তে আসিয়া উপস্থিত হইল। কোনদিক্ দিয়া কি হইবে কিছুই সে বুঝিতেছিল না, অথচ হাতে বিশেষ কিছু चाब्र चबलिडे নাই ; স্বভদ্রের কাছে বাসা-খরচের ধার জমিতেছে এবং যেহেতু স্বভঙ্গের ধার দিবার ক্ষমতাও অফুরন্ত নয়, সেই ধার অন্যত্র স্বভজের হইয়া জমিতেছে। বাংলাদেশের পনেরো জানা শিক্ষিত কৰ্ম্মপ্রার্থী যুবক যাহা করে, সেও অতঃপর তাহাই করিতে লাগিল । প্রথমত: নিজের যোগ্যতা-সম্বন্ধে নিজের আবাল-পোষিত অত্যুচ্চ ধারণা হইতে করিবার মত কোনও কাজ সে খুজিরা পাইল না। তাহার পর এমন-সমস্ত স্থানে কৰ্ম্মপ্রার্থী হুইয়া উপস্থিত হইতে লাগিল যেখানে টেবিলের ধূলা ঝাড়িবার জন্তও তাহার প্রবেশাধিকার নাই। নিদারুণ অভাবের তাড়নায় কিছুদিনের মধ্যেই কল্পনার আকাশকুন্ত্রম রচনা ছাড়িয়া দিয়া বাস্তবতার ঘুড়িমাটির জগতে নামিয়া আসিতে সে বাধ্য হইল, কিন্তু সেঞ্চ ও মামুষের ভিড়ে কেহ তাহার দিকে ভাস্কাইল। নী । S99ళేు একমাস না কাটিতেই লে বুঝিতে পারিল, বিধাতার হাতের যেমন জয়টীকা ললাটে লইয়াই সে পৃথিবীতে আসিয়া থাকুক, আপাততঃ ত্রিশটাকা মাহিনার শিক্ষকতার কাজ পাওয়াও তাহার পক্ষে দুরূহ। এমন অবস্থায় আর যাই করা চলুক, প্রেম করা চলে না। তাহার দপী মন নিজের এই পরাজয়-লাঞ্ছিত ধূলিধূসরিত মূৰ্ত্তিটাকে কিছুতেই ঐজিলার চোখের সম্মুখে লইয়া গিয়া ধরিতে রাজি হইল না। নিজেকে বুঝাইল, যোগ্য হইয়া, মাজুষের মত হুইয়া প্রিয়ার সঙ্গে মিলিতে চাই বলিয়াই ত বিরহষাপনের এই তপস্তা আমার জীবনে, আমি ইহাতে কাতর হইব না। তাহার সম্বন্ধে ছোট ছোট লোভগুলিকে জয় করিয়া জীবনের সর্বজ্ঞ বড় করিয়া তাহাকে লাভ করিব । বীণার সম্বন্ধে মনকে এত সতর্ক হইয়া চারিদিক্ দিয়া বাধিতে হইত না। কৰ্ম্মহীন সন্ধ্যায় রহিয়া রহিয়া একটি দীপালোকিত কলহাস্তমুখর বিশ্রম্ভালাপের সভা মনে পড়িয়া তাহার বুকের মধ্যে হু হু করিতে থাকিত। ইতিমধ্যে বীণার নিকট হইতে একটি চিঠি পাইল । রাহু একজন বেহার সঙ্গে লইয়া চিঠিটি হাতে করিয় আসিয়াছিল, বলিল, “বড়দি বলেছে, আপনাকে কথখনো আমি নিয়ে যেতে পারব না, বদি পারি আমাকে ফিরপোতে খাওয়াবে।” g অজয় বলিল, “আমাদের বৈকুণ্ঠ ডিম-রুটি দিয়ে এমন খাসা বম্বে টোষ্ট তৈরি করে, ফির্পোর কোনো বাবর্চি তার কাছাকাছিও কিছু করতে পারে না। ও জগদীশ বোস, সাব নীলরতন, রবিঠাকুর, এদের খানসামাগিরি করে হাত পাকিয়েছে,—ফির্পোতে কেউ আছে যে ওঁদের তিনজন ছেড়ে একজনেরও খানসামা কোনোদিন ছিল ? তুমি বোসে, বড়দির সঙ্গে বাজিতে ছেরে গিয়েছ ব’লে একটুও তোমাৰুে দুঃখ করতে হবে না দেখে।” বৈকুণ্ঠকে ডাকিয়া চায়ের জোগাড় করিতে বলিয়া বীণার স্বন্দর হস্তাক্ষর সম্বলিত নীলরঙের খামটি সে খুলিয়। ফেলিল। চিঠির কাগজের পরিচিত জম্মুট সৌরভ 'ৰীণা লিখিছে, * . . 'इंजू श*ां९ ब्राद निरञ्च धूब cबtडtछ । छछबदांबूद्दक