পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইহাও আবার বুঝাষ্টয়া বলিতে হুইবে । যামিনী একটুখানি স্নান হাসি হাসিল, তারপর সে-হাসি থামাইয়া বলিল, কাজ কিছু করা দরকার। তুমি কেন কাজ করতে যাবে, যামিনী ? উত্তর দিতে গিয়: যামিনীর গলা কঁাপিয়া উঠিল। বলিল, কেন তা সে তুমি বুঝবে না। তোমার কি আছে বল ত ? স্বপ্ন ? আদর্শ? আমি যে এমন ক’রে থাকৃতে পারিনে, আমার যে সব চাই ; কি আমার আছে, কি পেলাম ? ঘর ছাড়িয়া সে উঠিয়া বাহির হইয়া গেল। আলোচনা মক্তব-মাদ্রাসার বাংলা ভাষা BBB BB BBBB SBBBBD DBBBBS BB BBYKB SBBBBS মাদ্রাসার বাংলা ভাষা" প্রবন্ধের এক স্বানে বলিয়াছেন—“হিন্দু বাঙালীর স্বৰ্য্যই হুধা আর মুসলমান বাঙালীর অধ্য তাম্বু” ইত্যাদি। আমার কাছে "মক্সব বাল্যশিক্ষণ” নামক একখানি পুরাতন পুস্তক আছে । এই প্রসঙ্গে তাহার কয়েকটি বিষয় উল্লেখ না করিয়া থাকিতে পারিলাম না। এই পুস্তকে “দিক্‌-লিগঞ্জ” নামক একটি পাঠ আছে। সকলেষ্ট পূর্বদিক হইতে আরম্ভ করিয়া দিক্‌-নির্ণয় করেন, ইহাই জানিতাম। প্যারীচরণ সরকার ও লেথব্রিজ সাহেলের বইয়ে উদীয়মান সুৰ্য্যের দিকে মুপ করিয়া একটি বালক দুই হাত মেলিয়া দাড়াইয়া আছে, এই চিত্র বালাকালে দেখিয়াস্কি, এখনও মনে পড়ে। “ফাক্ট বুক" হিন্দু মুসলমান উভয়ের গুই লেখা হইয়াছিল। কিন্তু মক্তব বাল্যশিক্ষা"য় চিক্-নির্ণর পশ্চিম দিক হইতে আরম্ভ । যথা – গল্পের প্রথমেই ) "ওস্তাদ—পশ্চিম কোন দিক তুমি জান ? সাগরেদ—ষ্ঠ। সাহেব, আমি জানি, যেদিকে মাফহাল গুরুত্ব হয় এবং আমরা যেইদিকে মুখ করিয়া নমাজ পড়ি। ও–আচ্ছা তুমি পশ্চিমদিকে মুখ করিয়া গাড়ী হও, তোমার ডাইন হাত বিস্তার কর, বল, তোমার চাইন স্থাত কোন দিকে” ” इंडjांलेि । আবার—“ও—শাবাশ ! এখন বল তোমার পিঠ কোন দিকে ? সা—পূর্বদিকে, যে দিক্ হইতে আফতাব উঠে।" সমস্ত গল্পের কোন জায়গায় ভ্ৰমেও "সূৰ্য্য" কথ1ল্যবহার করা হয় নাই। স্বতরাং দেখা যাইতেছে, কে "গঙ্গু, কেত "আফতাব" লিগিয়া দুর্যোর গল্প র্যাচাইতেছেন । এই পুস্তকখানিতে স্বঙ্কর পরিচয় হইতে সংযুক্তবর্ণ পর্যাপ্ত শিপান হইয়াছে। যে পুস্তকখানি আমার কাছে আছে, তাহার মলাটের উপর চতুর্দশ সংস্ক :ণ প'লমঞ্জিয়" লেখা আছে। ১৯২২ সালে সরকারী পাঠ্যপুস্তক সমিতি স্বারা উহ। অমুমোদিত, প্রেসিডেন্সী লাইব্রেরী, ঢাকা হইতে প্রকাশিত ও হাজি আবদুর রহিম কর্তৃক প্ৰণত। ইহার নাকি খুব গুগল হইয়াছিল, এরূপ শেষের মলাটে লেখা আছে । এই পুস্তক এখনও প্রচলিত কি-না জানি না, কিন্তু . ইহার ভাব-প্রকৃত্তি যে অস্ত পুস্তক সকলেও প্রচলিত, তাহাতে সন্দেহ করিবার কারণ নাই। আকার উকার স্থাদি স্বরের বানান করিয়া শিশুরা পড়িতে স্থারস্তু করিল – "এখন ছাড়া পড়িল । ( ভাড়া= শীত ) সুরদ হাওয়া বহিতেছে । (xqw =žfsi ) আফতাব ডুবিল। (আফতাব=স্বৰ্য্য) ওব (সাৰনাস্) পড়িতেছে। (ওষ=শিশির) ফজরের সময় জড়িা থাকে। পানি বরফের মত সরদ।" এই বালকের— “ফজরে রাজাই ছাড়িয়া" উঠে, এবং "লেইবি গায়ে দিয়া” নমাঞ্জ পড়ে। একটি গল্পে আছে—“দুনিয়াতে মা বাপের দরজা সকল হইতে বড়" এ কথার অর্থ বাঙ্গালী পাঠক বুঝিতে পারিবেন ত ? নতুবা— “তোমরা মনে রাখিও যে ওস্তাদের দরক্ত মা বাপ হইতে কম নহে।” ইহাও বুঝিবেন না। সাধারণ বাঙ্গালী কাঠের রক্ত। ব্যবহার করে। উক্ত দরজা বঙ্গদেশীয় কোন কাঠের, ল। জার-বদেশীয় কোন কাঠের, হাঁঞ্জি সাহেব তাহ বলেন নাই ( দরভ1= মর্যাদা ) এই পুস্তকে “बूक्लयरन ब्र নাম”—“বাবাঙ্গান, স্বাম্মাজান, খালু, খাল, ফুঃ, ফুল্পী” ইত্যাদি এবং “মুসলমানী বারের নাম” “মুসলমানী বারমাসের নাম” “ কাবুলী দেশেয় মেওয়ার নাম” ও “পুৰ্ব্ববঙ্গে মুসলমানের সংখ্যা অনেক বেশী” এই সবও আছে। শ্রীরমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।