পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ದೀಹಿ সুইডেম ృlyసి রিসাধনে আগ্রহ প্রকাশ করেন না ; পরস্তু তাহার করণ লইয়। মন্দির বা মসজিদ নিৰ্ম্মাণ করেন। এ ময়ে জৈনগণ পৃষ্ঠানদিগের প্রথাবলম্বী—কোন জৈন যদি . ন মন্দির নিম্মাণ করিতে না পারেন, তিনি পুরাতন মন্দির-সংস্কার পুণাকার্য বলিয়| বিবেচনা করেন। কলিকাতাবাদী শ্ৰীযুক্ত পুনামচাদ শেঠিয়াও তাঁহাই করিয়াছেন । তিনি লক্ষাপিক টাক ব্যয় করিয়া জল-মন্দির মৰ্ম্মরাস্তৃত করিয়৷ ইহার সংস্কার সাধন করিয়াছেন। তিনি এই কাশ্যে ভারতীয় মৰ্ম্মর প্রস্তর ব্যবহার করিয়াছেন । দমধ্যে অবস্থিত অমল ধবল মৰ্ম্মরাস্তুত এই মন্দির এখন শিল্পকাস্যে ও সৌন্দর্যে অন্যান্য জৈন মন্দিরেরই মত প্রসিদ্ধি লাভ করিবে । সুইডেন শ্ৰীলক্ষ্মীশ্বর সিংহ ইউরোপের দেশসমূহের মধ্যে বৰ্ত্তমান সুইডেন শিক্ষা ও সভ্যতায় আজ এক বিশেষ স্থান অধিকার করিয়৷ আছে । এই সুইডেনবাসীদের প্রাচীন ইতিহাস নানা যুদ্ধবিগ্রহ ও বীর ত্বকাfহনীতে পূর্ণ । এক সময় তাহাদের প্রতাপে সমস্ত ইউরোপবাসী ভয়ে সম্বস্ত থাকিত । কিন্তু সেই সুইডেনৰ সা গত এক শত বৎসরের উপর অর্থাৎ ১৮১৪ সনের পব হইতে আর কোনও যুদ্ধবিগ্রহে যোগদান করে নাই। ঠহার ফলে সুইডেনবাসীদের সামাজিক, আর্থিক ও নতিক দিক খুব একটা স্বাভাবিক ক্রমঅস্থায়ী গড়িয় উঠিবার স্বযোগ পাইয়াছে এবং এই কারণেই বোধ হয় সুইডেন আজ অনেক বিষয়েই খুব অগ্রণী। এই দেশটি "ায়তনে ইউরোপের অন্য অনেক দেশ অপেক্ষ বড় ইহলেও ইহার লোকসংখ্যা মাত্র যাট লক্ষের কিছু লশ । বর্তমানে আমরা যে-সুইডেন দেখিতেছি ইহ বিজ্ঞান, সাহিত্য, কলা—এক কথায় মানবসভ্যতার সকল ক্ষেত্রেই অনেক প্রতিষ্ঠাবান মনীষী ও কৃতী },স্থানের জন্মদান করিয়াছে। তাহ ছাড়া শাস্তিআন্দোলনেও সুইডেনের আন্তরিকতার যথেষ্ট পরিচয় ওয়া গিয়াছে, যখনই অন্ত কোন দেশের সঙ্গে কোনো প্রকার স্বার্থের সংঘর্ষ ঘটিয়াছে তখনই সুইডেন সশস্ত্র যুদ্ধে লিপ্ত না হইয়া অন্য উপায়ে তাহার মীমাংসার পথ খুজিয়াছে। ১৯০৫ সনে সুইডেন এবং নরওয়ের মধ্যে যে-কলহের স্বষ্টি হয় বিনা রক্তপাতে তাহার মীমাংস৷ হইয়াছিল ;