পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిఫిE S99శు. “গত ৪ঠা এপ্রিল ২২শে চৈত্র তারিখে [ আমেরিকার ) কংগ্রেসেব প্রতিনিধিসভায় ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জকে আট বৎসরের মধ্যে স্বাধীনতা দিবার অঙ্গীকার আইন পাস হইয়াছে। ইহ। বৰ্ত্তমান সময়ে পৃথিবীর সকলের চেয়ে সুসংবাদ । কারণ, যদিও এখনও বিলটির সেনেটে পাস হইয় প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর পাইতে বাকী আছে তথাপি সৰ্ব্বাপেক্ষা কঠিন যে প্রারম্ভিক পরীক্ষা, তাহাতে উহ। উত্তীর্ণ হইয়াছে । আমরা ইহা ধরিয়া লইয়। এই সব মস্তব্য করিতেছি, যে, খাটি স্বাধীনতা ফিলিপিনোর পাইবে।” গত এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে রয়টার আমেরিক হইতে যে টেলিগ্রাম এদেশে পাঠায়, তাহাতে ছিল, “গত ত্রিশ বৎসর ধরিয়া আমেরিকার কংগ্রেসে যাহ। তর্কবিতর্কের বিষয় ছিল তাহার শেষ মীমাংস। হইল।” রয়টার এরূপ লেখা সত্ত্বেও আমরা অনুমান করিয়াছিলাম, শেষ মীমাংসা এখনও হয় নাই, ফিলিপিনোদিগকে স্বাধীনতা দান বিষয়ক আইন এখনও সেনেটে পাস হয় নাই, এবং উহ। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের স্বারা অমুমোদিত ও স্বাক্ষরিত হইতেও এখনও বাকী আছে। এই অল্পমান ঠিক । ১৩ই এপ্রিল তারিখের নিউইয়র্কের নিউ রিপাব্লিকে দেখিতেছি, ফিলিপিনে স্বাধীনত বিল প্রতিনিধি-সভায় ৪৭ ভোটের বিরুদ্ধে ৩০৬ ভোটে পাশ হইয়াছে। উহার সপক্ষে এত বেশী ভোট হওয়া সত্ত্বেও নিউ রিপাব্লিক মনে করেন, কাৰ্য্যতঃ অবিলম্বে উহ। ফলপ্রদ হইবে না ; সেনেট যদি স্বাধীনতার পক্ষপাতী হয় তাহা হইলেও আটের পরিবর্তে পনর বৎসর পরে স্বাধীনতা দিতে চাহিবে, যদি আমেরিকার ব্যবস্থাপক সভা কংগ্রেসের উভয় কক্ষই একমত হয়, তাহা হইলেও প্রেসিডেণ্ট হুভার সম্ভবতঃ বিলটি নামঞ্জুর করিবেন। তাহার না-মঞ্জুরী সত্ত্বেও উহাকে আইনে পরিণত করিতে হইলে উভয় কক্ষের যে দুই-তৃতীয়াংশ সভোর অনুমোদন আবশ্যক তাহ পাওয়া কঠিন হইবে । আমেরিকান কাগজখানির এই মন্তব্য, শ্রেয়ের পথে যে বিঘ্ন অনেক, এই সংস্কৃত প্রবাদবাক্যের সত্যতা প্রমাণ করে। যাহা হউক, নিউ রিপাব্লিকের অন্য এই কথা হইতে কতকটা আশ্বাস পাওয়া যায়, যে, "প্রতিনিধি-সভার এত সভোর অনুকূল ভোট অভিদ্যোতক (significant)— তাহা হইতে এই আশা ন্যায্য মনে হয়, যে, অদূর ভবিষ্যতে, যে-পথ স্বাধীনতার দিকে লইয়া যায়, ফিলিপিনোদের চরণ সেই পথে স্থাপিত হইবে।” “সাবিত্রী’র ও “দেবী”র ভাগ্য একটি আইরিশ স্ত্রীলোক, এখন বয়স ৫০, মিস্টার জাফর আলী নামক একজন মুসলমানকে বিবাহ করিয়া মিসেস জাফর আলী হন । তিনি এলাহাবাদে একটি ফৌজদারী মোকদ্দমায় বিচারাধীন আছেন। মোকদ্দমার এক দিনের শুনানীর বিবরণে দেখিলাম,তিনি ফিক বেগুনী রঙের শাড়ী এবং কপালে সি দুরের ফোটা পরিয়া আদালতে হাজির হইয়াছিলেন । ভারতীয় মুসলমানের ইউরোপীয় পত্নীকে হালফ্যাশন-হ্রস্ত হইতে হইলে সি দুর পরিতে হয় কিনা জানি না। কিন্তু দেখিতেছি, এই স্ত্রীলোকটির হিন্দুনারীদের অন্য দুটি জিনিষেও লোভ আছে । তিনি নাম লইয়াছেন “সাবিত্ৰী” এবং পদবী লইয়াছেন “দেবী”। এই নাম ও এই পদবী উভয়ই বেওয়ারিস্ ! সাবিত্রীর পিতামাত যখন এই নাম রাখিয়ছিলেন, তখন র্তাহারা ভাবেন নাই, তাহাদের প্রাতঃস্মরণীয়া কন্যার নামের এমন অংশীদার জুটিবে এবং যাহার প্রথমে নিজেদের মহিলাদিগকে “দেবী” আখ্যা দিয়াছিলেন র্তাহারাও ভাবেন নাই সিনেমায় ও অন্যত্র উহার নানা রকমের এত দাবিদার খাড়া হইবে। বাংলাকে বরাবর কম প্রতিনিধি দান ইংরেজ রাজত্বের আরম্ভ হইতে দীর্ঘকাল পর্য্যস্ত প্রধানতঃ বাংলা দেশের রাজস্ব হইতেই ভারতবর্ষে ইংরেজের রাজ্যবিস্তার হইয়াছে এবং অন্য অনেক প্রদেশের শাসন-ব্যয়ের ঘাটতি বঙ্গের রাজস্ব হইতে পূরাইয়া দেওয়া হইয়াছে। তথাপি দেখা যায়, বাংলা দেশের লোকসংখ্যা, এখান হইতে সংগৃহীত রাজস্ব, শিক্ষা সভ্যতা ও কৃষ্টি বিষয়ে বঙ্গের অবস্থা ইত্যাদি যে-কোন মাপকাঠি অনুসারে বাংলা দেশকে ব্যবস্থাপক সভায়