পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

TF কষ্টিপাথর-দেশীয় সাময়িক পত্রের ইতিহাস &☾ কানাইলাল ঠাকুর একটি প্রেস করিয়া দিয়াছিলেন। ‘সম্বাদ সুধাকর" gারি বৎসর চলিয়াছিল ... 粤 ৬ । সমাচার সভা রাজেন্দ্ৰ—মুসলমান-সম্পাদিত প্রথম বাংল। সংবাদপত্র। বাংলা ও ফার্সীতে প্রকাশিত এই সাপ্তাহিক পত্রখনির প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১৮৩১ সনের ৭ই মার্চ ( ২৫ ফাল্গুন ১২ ১৭ ) তারিখে । ইহার সম্পাদক-শেখ আলীমুল্লা... । ‘সমাচার সম্ভা রাজেন্দ্র দীর্ঘকাল স্থায়ী হয় নাই। ৭ । জ্ঞানান্বেষণ—কলিকাতার চোরবাগান হইতে এই সাপ্তাহিকখনি প্রকাশ করিবার জন্ত সরকার ১৮৩১ সনের ৩১ মে তারিখে দক্ষিণানন্দন মুখোপাধ্যায়কে (পরে দক্ষিণারঞ্জন’ নামে খ্যাত) লাইসেন্স দেন। পরবর্তী জুন মাসের ১৮ই তারিপে ইহা প্রথম প্রকাশিত হয় | দক্ষিণানন্দন মুখোপাধ্যায়ের পর ‘জ্ঞানান্বেষণ’ পরিচালন করেন,-- প্রসিককৃষ্ণ মল্লিক এবং মাধবচন্দ্র মল্লিক । ১৪১ নং চোরবাগান হইতে ইংরেজী ভাষাতেও এই সাপ্তাহিকখানি প্রকাশ করিবার উদেখে আবেদন করিলে সরকার ১৮৩৩, ১৫ই জানুয়ারি তারিখে ঠাহীদের লাইসেন্স মঞ্জুর করিয়াছিলেন। লাইসেন্স পাইবার কয়েক দিন পর হইতেই 'জ্ঞানান্বেষণ ইংরেজী ও বাংল—উভয় ভাষাতেই বাহির হইতে থাকে । ১৮৩৯ সনের মার্চ মাসে ‘সম্বাদ ভাস্কর সংবাদপত্র বাহির করিবার পূৰ্ব্বে গৌরীশঙ্কর তর্কবাগীশ জ্ঞানান্বেষণ’ পত্রের বাংলা-বিভাগ সম্পাদন করিয়াছিলেন।...জ্ঞানান্বেষণ’ পত্রের শিরোভূষণ কবিতাও তর্কবাগীশের রচিত । তিনি উদারমতাবলম্বী পণ্ডিত ছিলেন। ১৮৪৯ সনের ২৬এ মে তারিখের সম্বাদ ভাস্কর’ পত্রে তিনি বাটনপ্রতিষ্ঠিত বালিক-বিদ্যালয় সম্পর্কে যে-সম্পাদকীয় মন্তব্য করিয়াছিলেন তাহার কিয়দংশ উদ্ধৃত করিতেছি,— “আমরা কলিকাত নগরে উপস্থিত হইয় রাজা রামমোহন রায়ের সহি ত প্রথম সাক্ষাৎ করি এবং তৎকালেই ব্যক্ত করিয়াছিলাম স্বদেশের বু প্রথা ও সহমরণ নিবারণ এবং বিধবাদিগের বিবাহ, স্ত্রীলোকদিগের বিদ্যাভ্যাস ইত্যাদি বিষয় সম্পন্নার্থ প্রাণপণে চেষ্টিত আছি, তাহাতেই রাজ রামমোহন রায় অামারদিগকে নিকট রাখেন, এবং সহমরণ নিবারণ বিষয়ে যথাসাধ্য পরিশ্রমে উক্ত রাজায় আনুকুষ্ঠা করি তাহাতে কুতকাষীও হইয়াছি, সহমরণ পক্ষাবলম্বি পাচ ছয় সহস্র পরাক্রান্ত লোকের সাক্ষণতে গবৰ্ণমেণ্ট হোসের প্রধান হালে লার্ড বেণ্টিঙ্ক বাহাদুরের সম্মুথে সহমরণের বিপক্ষে দণ্ডায়মান হইতে যদি ভয় করি নাই তবে এইক্ষণে ভয়ের বিষয় কি, এখন আমরা আপনাদিগকে স্বাধীন জ্ঞান করি ইহাতে দানবকেই ভয় করি না মানব কোথায় আছেন, আর সদ্বংশ্য যুব হিন্দুগণ র্যাহার বালিকাদিগের শিক্ষালয় স্থাপনে উল্লসিত হইয়াছেন তাহারাও কি স্মরণ করেন না জ্ঞানান্বেষণ পত্র যন্ত্রীরাঢ় হইলে পর জানান্বেষণের শিরোভূষা কবিতা করিতে তাহারাই আদেশ করিয়াছিলেন, তাহাতে আমরা যুব বান্ধবগণের সম্মুথে দণ্ডায়মানাবস্থায় যে কবিতা করিয়াছিলাম সেই কবিতা জানান্বেষণের শিরোভূষ হয়, তাহার অর্থই আমারদিগের অভিপ্রেত, সে কবিতা এই 'এহি জ্ঞান মনুষ্যাণ মজ্ঞান তিমিরংহর। দয়াসত্যঞ্চ সংস্থাপ্য শঠতামপিসংহর’ গৌড়ীয় ভাষার পরারে ইহায় অর্থও তৎকালেই ব্যক্ত করিয়াছি বাঞ্ছা হয় জ্ঞান তুমি কল্প আগমন। দয়া সত্য উভয়েকে করিয়া স্থাপন । লোকের অজ্ঞান রাপ হর অন্ধকার। একেবারে শঠতারে করহ সংযুর। এই কবিত। দ্বারাই আমারদিগের ভাব ব্যক্ত হইয়াছে এইক্ষণেও সেই b-8ーソ a ভাবের ভাষক আছি, সহস্র২ কি লক্ষ২ লোক যদি আমারদিগের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করেন, তথাচ আমরা বালিকাদিগের বিদ্যালয়ের অনুকূল বাকাই কহিব...।” স্বনামধন্য রামগোপাল ঘোষ জ্ঞানান্বেষণ’ পত্রের সহিত বিশেষভাবে সংশ্লিষ্ট ছিলেন , তাহার অনেক রচনা ইহাতে স্থান পাইয়াছিল। প্রায় দশ বৎসর চলিবার পর, ১৮৪০ সনের নভেম্বর মাসে ‘জ্ঞানান্বেষণ’ পত্রের প্রচার রহিত হয় । ৮ । অমুবাদিক]---১৮৩১ সালের আগষ্ট মাসে প্রকাশিত হইয়াছিল। ইহাতে রিফৰ্ম্মায় পত্রে প্রকাশিত ইংরেজী প্রবন্ধের বঙ্গণমুবাদ বাহির হইত। রিফৰ্ম্মীর’ ও অনুবাদিকা---উভয় কাগজেরই স্বত্বাধিকারী ছিলেন প্রসন্নকুমার ঠাকুর । এক বৎসর পূর্ণ হইতে-না-হইতেই "অমুবাদিকা’র প্রচার বন্ধ হয় । ৯ । সম্বাদ রত্নাকর- ১৮৩১, ২২এ আগঃ ( ৭ ভাদ্র ১২৩৮ ) তারিখে কীগঞ্জখানি প্রকাশিত হয় ...১৮৩২ সনের জানুয়ারি মাসেই ইহার প্রচার রহিত হয় । , ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের লেখা হইতে জানা যায়, এই সাপ্তাহিক পত্রের সম্পাদক ছিলেন –--রামচন্দ্র পাল । সম্বাদ সারসংগ্রহ---বাংলা ও ইংরেজী ভাষায় এই সংবাদপত্রথনি প্রকাশ করিবার জন্ম ইহার স্বত্বাধিকারী ও প্রকাশক--সিমলার বেণীমাধব দে সরকারের নিকট আবেদন করেন। ১৮৩১ সনের ৯ই সেপ্টেম্বর তারিখে উাহাকে লাইসেন্স দেওয়া হয়। পল্লবৰ্ত্ত ২৯এ সেপ্টেম্বর তারিখে ( ১৪ আশ্বিন ১২৩৮) ‘সম্বাদ সারসংগ্রহ-এর প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়।...সেম্বাদ সারসংগ্ৰহ কিছুদিন প্রকাশিত হইয়। লুপ্ত হয় । ১১ । সংবাদ রত্নাবলী---বঙ্কিমচন্দ্রের লেথা হইতে ‘সংবাদ রত্নাবলী’ সম্বন্ধে এইটুকু জানা যায় :--- > * | “প্রভাকর-সম্পাদক দ্বারা ঈশ্বরচন্দ্র সাধারণ্যে খ্যাতি লাভ করেন । তাহার কবিত্ব এবং রচনাশক্তি দর্শনে আন্দুলের জমাদার বাবু জগন্নাথপ্রসাদ মল্লিক, ১২৩৯ সালের ১০ শ্রাবণ { ২৪ জুলাই ১৮৩২ } ‘সংবাদ রত্নাবলী' প্রকাশ করেন । ঈশ্বরচন্দ্র সেই পত্রের সম্পাদক হয়েণ। ১২৫৯ সালের ১লা বৈশাখের প্রভাকরে ঈশ্বরচন্দ্র লিখিয়াছেন, ‘বাবু জগন্নাথপ্রসাদ মল্লিক মহাশয়ের আনুকূল্যে মেছুয়াবাজারের অন্তঃপাতী বঁাশতলার গলিতে সংবাদ রত্নাবলী আবিভূর্ত হইল। মহেশচন্দ্র পাল এই পত্রের নামধারী সম্পাদক ছিলেন। উহার কিছুমাত্র রচনাশক্তি ছিল না। প্রথমে ইহার লিপিকাধ্য আমরাই নিম্পন্ন করিতাম রত্নাবলী সাধারণ-সমীপে সাতিশয় সমাদৃত হইয়াছিল। আমরা তৎকৰ্ম্মে বিপ্লুত হইলে, রঙ্গপুর ভূম্যধিকারী সভার পূর্বতন সম্পাদক vরাজনারায়ণ ভট্টাচার্য সেই পদে নিযুক্ত হন ।” সংবাদ রত্নাবলী প্রায় দুই বৎসর কাল স্থায়ী হইয়াছিল। ১৮৪৫ সনের ১৫ই নভেম্বর ( ১ অগ্রহায়ণ ১২৫২ ) ভারিখে ব্ৰজমোহন চক্ৰবৰ্ত্তীর সম্পাদকত্বে ইহা পুনঃপ্রচারিত হয় । ১২ । সংবাদ পুর্ণচশ্রোদয়--ইহার প্রথম সংখ্য চান্তজ্যৈষ্ঠমালীয় সমাচারীরূপে ১৮৩৫ সনের ১০ জুন (২৮ জ্যৈষ্ঠ ১২৪২, বুধবার } প্রকাশিত হয় । 彎