পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

AS o ○○○な> ছিলেন, এবং সিন্ধুদেশের স্কাচার্যাল হিষ্ট্রী সোসাইটর সভ্য ছিলেন। করাচীতে কংগ্রেসের অধিবেশনের সময় আমরা তাহার সহিত পরিচিত হই । তিনি ও র্তাহার সহধৰ্ম্মিণী রবীন্দ্রনাথের পারস্যযাত্র উপলক্ষ্যে র্তাহার সম্বৰ্দ্ধনা করিয়াছিলেন। তাহার পূৰ্ব্বে শ্ৰীমান কেদারনাথ চট্টোপাধ্যায় পারস্যযাত্রার পথে তাহাদের সৌজন্যে পরিতৃপ্ত হইয়াছিলেন।

  • a*

কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রনাথের ংবৰ্দ্ধনা রবীন্দ্র-জয়ন্তীর সময় কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক রবীন্দ্রনাথের সংবৰ্দ্ধনা হইবার কথা ছিল । কিন্তু তখন তিনি অমুস্থ হইয়া পড়ায় উহ। স্থগিত রাখা হয় । সম্প্রতি যথাযোগ্য আড়ম্বরের সহিত তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাদৃত ও সম্মানিত হইয়াছেন । আটর্স ফ্যাকালটির ক্লাবেও অধ্যাপকগণ তাতার সংবৰ্দ্ধনা করিয়াছেন । উভয় সংবৰ্দ্ধনা উপলক্ষ্যে তিনি অনেক স্মরণীয় কথা বলিয়াছেন। তিনি নিজে যে বাল্যকালে স্কুলের প্রতি বীতরাগ ছিলেন, এই কথাটির আভাস বা উল্লেখ তাহার কোন কোন বক্তৃতায় থাকে। বক্ষ্যমান ংবৰ্দ্ধনা উপলক্ষ্যে যাহা বলিয়াছিলেন তাহাতেও তাহা ছিল। তাহাতে স্কুলপলাতক নিৰ্ব্বোধ ছাত্রদের মনে হইতে পারে কি-না, যে, স্কুল বয়কট করা রবীন্দ্রনাথ হইবার একটা সোজা উপায়, তাহা আলোচনা করিবার আবশ্যক নাই । কিন্তু স্কুলের সহিত বাল্যকালে র্তাহার আড়ি সম্বন্ধে কবি যাহা বলেন, তাই। হইতে যদি কেহ মনে করে, যে, তিনি লেখাপড় শিখিবার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের চেয়ে কম পরিশ্রম করিয়াছেন, তাহা হইলে বলিতে হইবে, যে, রবীন্দ্রনাথ অজ্ঞাতসারে নিজের প্রতি অনিচ্ছাকৃত অবিচার করিয়াছেন । প্রকৃত কথা এই, যে, বাংলা র্যাকরণ ও সাহিত্য তিনি বাল্যকালে সেইরূপ যত্ন ও পরিশ্রম সহকারে পড়িয়াছিলেন, বাংলা স্কুলের ছাত্রেরা পরীক্ষা পাস করিবার জন্য যেরূপ যত্নসহকারে উহ! পড়িয়া খাকে । সংস্কৃত ব্যাকরণ ও সাহিত্যও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়েঞ্জ ছাত্রদের চেয়ে কম পড়েন নাই। ইংরেজী C - বহির অমুবাদ তিনি কৈশোরে যেমন করিতেন, তাহার মত পরিশ্রম করিয়া কয়জন ছাত্র সেরূপ করেন জানি না । বিদ্যার নানা শাখার এত বেশীসংখ্যক বহি তাহার মত যত্ন করিয়া পণ্ডিত বলিয়া বিখ্যাত অল্পসংখ্যক লোকেই পড়িয়াছেন । সুতরাং পড়াশুনা না করা, পরিশ্রম না করা, রবীন্দ্রনাথ হইবার একটা উপায় নহে। অবশ্য তাহ বল। কবিরও অভিপ্রায় নয়। তিনি বলিয়াছেন, শুধু প্রবেশিকায় নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর সব রকম শিক্ষাতেও বাংল। ব্যবহৃত হওয়া উচিত। এ বিষয়ে আমরা আগে আগে যাহা বলিয়াছি তাহার উল্লেখ অনাবশ্যক। আষাঢ় মাসের প্রবাসীতে লিখিয়াছিলাম "বিশ্ববিদ্যালয়ে নীচে হইতে উপর পর্যান্ত বাংলা চলা উচিত।” তাহার সপক্ষে যুক্তি এবং নজীরও আমর ঐ সংখ্যায় দিয়াছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতম শিক্ষা .ে আমাদের মাতৃভাষার মধ্য দিয়া দেওয়া উচিত এবং তাহ করা যে অসাধ্য নহে, তাহ বোম্বাইয়ে গত জুন মাঠে ভারতীয় মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধিদান সভায় আমার অভিভাষণে আমি দেখাইয়াছিলাম। ঐ বক্তৃতা জুলাই মাসের মডার্ণ রিভিউ কাগজে ছাপা হইয়াছে। রবীন্দ্রনাথের অধ্যাপকতা রবীন্দ্রনাথ যে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক দুই বৎসরের জন্তও হইয়াছেন, তাহা আনন্দের বিষয়। কিন্তু যিনি একদা স্তর উপাধি বর্জন করিয়াছিলেন, তাহার চাকুরির মঞ্জুরী বিশ্ববিদ্যালয়কে গবন্মেণ্টের নিকট লইতে হইবে, ইহ বাঙালী জাতির পক্ষে সন্মানকর নহে। তাহাকে যে বেতনে অধ্যাপক নিযুক্ত করা হইয়াছে সেই পারিশ্রমিকে রীডার নিযুক্ত করিলে গবষ্মেণ্টের অনুমোদন চাহিতে হইত না । তিনি সাহিত্য সম্বন্ধে কয়েকটি বক্তৃতা করিবেন। কিন্তু ইচ্ছা করিলে বাংলা শব্দতত্ত্ব এবং বাংলা ব্যাকরণ সম্বন্ধেও তিনি অনেক নূতন কথা বলিতে পারেন। বহু বৎসর পূৰ্ব্বে যখন অন্ত কেহ বাংলায় শব্দতত্ত্ব বিষয়ে আলোচনা করিতেন না, তিনি তখন তাহা করিয়াছিলেন। বাংলা