পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ίνο 3 ఏ99తు অন্ত স্বামীগুলিও উন্ট। গাহিতে আরম্ভ করিয়াছে। পোষ্টমাষ্টারের দ্বিতীয়া আসিয়া মুখ অন্ধকার করিয়া বসিয়া থাকে, বিন। কারণেই ‘বাপের ধাচ পাওয়া’র অপরাধে শিশুটিকে পিটিয়া দেয় এবং সুবিধা পাইলেই বড়গিল্পীকে লক্ষ্য করিয়া বলে—“বড়দি’র ঢিলেপনাতেই সব মাটি হ’ল...” তামাক-গিন্নী একেবারে বড়বাবুকেই লক্ষ্য করিয়া বলেন—“ঠিক ত, তুমি মাতব্বর, পায়ে থেংলাতে চাও থেৎলাও—অপর সবাইকে উসকে দেওয়া কেন ?-- খুনসুড়ি...” এর উপর তিন-চার দিনের মধ্যে আবার এও শোনা গেল যে, বড়বাবু পাশের জংশন ষ্টেশনের থিয়েটার-পার্টি দিয়া অমৃতলাল বস্থর “তাজ্জব ব্যাপার” পালা করাইবার উদ্যোগ করাইতেছেন । প্রমাণ পাওয়া গেল এখানকার দু-একজন পার্টও লইয়াছে । দুপুরবেল। মাঝে মাঝে ষ্টেশন থেকে যেঅট্টহাস্থ্যের রোল শোনা যায় সেটা রিহাসেলেরই । বড়বাবুর পিঠচাপড়ানিতে স্পৰ্দ্ধাটা বাড়িয়াই চলিয়াছে। মালবাবু না কি রাত্রে বাড়িতে আসিয়া পার্ট মুখস্থ করেন, শোবার ঘরে । স্ত্রী সবার সামনে নাক সিটকাইয়া বলিল,-“কি গেরো বল দিকিন ? রাত একটা পৰ্য্যস্ত কানের কাছে মেয়েলী টোনে ভেংচি কাট৷ ” সেদিন রাত আটটা পৰ্য্যস্ত মেয়েদের জমায়েৎ পুরাদমেই চলিয়াছে। সাতটার গাড়িতে পাশের ষ্টেশন থেকে বুকিং-ক্লার্কের বাড়ির মেয়ের আসিয়াছেন, অনেকগুলি । দুপুরবেলা তামাক-গিল্পী আসিয়াছিলেন, আটক পড়িয়া গেলেন । আজ আবার বেটাছেলেরা সব সাতটার গাড়িতে জংশন ষ্টেশনে গেল,—নিশ্চয়ই পূরা রিহাসেলের জন্ত । এমন কিছু সুখের কথা নয় ; কিন্তু আজ অন্ততঃ মজলিসট জমিবার পক্ষে খুব স্থবিধা হইয়াছে। সকলে প্রাণ খুলিয়া তাস, লুডে, হাসিঠাট্রায় মাতিয়৷ উঠিয়াছে। ষ্টেশনের চার্জে মার্কারবাবু ; সে এই সময়ট সিদ্ধিতে বুদ হইয়া থাকে, আর তা ভিন্ন খোট্ট।’ বলিয়া বাঙালী মেয়েদের কাছে আমলই পায় না। বেটাছেলেরা সাড়ে ন’টার গাড়িতে ফিরিতেই পারে না । সব আহার সারিয়া গিয়াছে—তাহার পরে সে-ই এগারট। একচোট হাসিঙ্গল্পার পর ঘরট। একটু ঠাণ্ড হইয়াছে। বুকিং-ক্লার্কের শালী মাথার কাপড়ট নামাইয়া দিয়া চুলের গেরোটা কষিয়া দিতে দিতে বলিল,—“যাই হোক বাপু,— এরকম থিয়েটার ক’রে মেয়েদের অপদস্থ করতে যাওয়৷ বড়বাবুর ঠিক হচ্চে না ; আমাদের বেনারস হ’লে কেউ সইত ন- .” কথাটা এমন কোমল স্থানে স্পর্শ করিল যে, মজলিসে অঙ্গ-সঞ্চালনের জন্য যে-আওয়াজটুকু হইতেছিল সেটুকু পৰ্য্যন্ত বন্ধ হইয়া গেল। মুধু পোষ্টমাষ্টারের প্রথম পক্ষ ভিতরে ভিতরে একটু খুশীই হইয়াছিলেন, প্রসঙ্গটিকে চালু করিবার জন্য প্রশ্ন করিলেন—“আচ্ছ, তাজ্জব ব্যাপারটা হচ্চে কি ?” তামাক-গিনীর বড়মেয়ে রেণুবালার বিবাহ । বেহারের পাড়াগা থেকে বাহির হইয়া সে আজকাল নভেল নাটকের একেবারে সপ্তম স্বর্গে বিচরণ করিতেছে, আর সেটা জানাইবার আগ্রহটাও খুব । বলিল,-“তুমি হাসালে দেখচি বড়বৌদি, অমৃতলাল হলেন নটরাজ তাজবব্যাপার’ তার একখানা নামজাদ বই, আর তুমি বলে বসলে কি-না.কোনদিন হয়ত বলবে প্রস্থন কুমারের প্রাণের বেসাতি’ও পড়নি, মন্তজবাবুর তরুণীর করুণা’ নাটকখানার নামই...” বাধা দিয়া পোষ্টমাষ্টারের গৃহিণী বলিলেন - “ক্ষ্যাম৷ দে ভাই, আমরা আদার ব্যাপারী জাহাজের খবর রাথি না.আসল কথাটা জানিস ত বল।” বুকিং-ক্লার্কের শালী বলিল,—“তাতে পুরুষেরা কুটনো কুটবে, বাটন বাটবে, সংসারের সব পাট ক’রবে ; আর মেয়েরা পাস দিচ্চে, রাজনীতি নিয়ে ঘাটাঘাটি করচে. --” তেতরীর ম৷ কলিকা সাজিয়া ছকায় বসাইয়া দিল ; ফুটে টান দিয়া তামাক-গিন্নী বলিলেন—“অতটা আবার ঠিক নয় ; ও যেন পুরুষকে ছাপিয়ে যাওয়া, কি বলিসু নূতন বউ ?” স্বচারু ভারিক্কে হইয়। বলিল,—“ত৷ নুতন বইকি ; তার