পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বিন ঠিকানা রাখে না ; আজ এখানে, কাল সেখানে, এমনি করিয়া ঘুরিয়া বেড়াইতে হয়। যাইতেছে নেন। গঞ্জে, তিনদিন সেখানে থাকিবে- ভারপর সেখান হইতে লাইবে আবার বেগমপুরে । তারিণীর কি যেন মনে হইল। মনে হইল জয়। কোনও যাত্রীদলে ঢোকে নাই ত , বলা যায় না, ছোটবেলা হইতেই ত তাহার গানবাজনায়ু ঝোক । তাহীদের গ্রামেরই সথের যাত্রায় কতবার সে সেপাই সাজিয়াছে। মধু বলিল—কি নাম বললে ? জয় ?...সে-ই ত আমাদের মাষ্টার! অভিমন্ত্য সাজে। নতুন এসেছে, কিন্তু বেড়ে এক্টো করে মাইরী, অামার গলায় হাত দিয়ে কাদকjদ হয়ে বলে—দেখে| এই এমনি করে বলে— লে। উত্তর । ৪ মুখ-চন্দ্রম হেরি মিথ্য গণি সব ; কুরুক্ষেত্র-যুদ্ধে আজি জিতি কিম্ব হারি নাহি লাজ তাহে কিন্তু প্রিয়ে. সব কথ। তারিণীর কানেও গেল না, পৈঠা ছাড়িয়া “তারিণী তখন নীচে নামিয়াছে। ঔষধটি আশ্চৰ্য্য ফলপ্রদ সুলিতে হইবে ...জয়ার ত সন্ধান দিয়াছে ! মধু বলিল-মাষ্ট্রর এতক্ষণ সেখানে ফলার সাটছে সায়েস ক'রে—দেখে নিও— তারিণী দেহে যেন নূতন বল ফিরিয়া পাইল । মধু বলিল—তুমি আমাদের সঙ্গে যাবে নাকি ? বেশ ই, চল না-মাষ্টর কেউ হয় বুঝি তোমার ? তারিণী বলিল—সে আমার ছেলে যে ? এক-একজন পুটুলিট করিয়া পেয়ার লইয়া তখন গন্তব্য পথে চলিতে শুরু করিয়াছে। তারিণী বলিল-স্বরে, ম, তুই তাহলে চড়িয়ে দে আজ, তাকে আর ছড়িচি নে, সঙ্গে ক’রেই নিয়ে আসব একেবারে — · সকলে দল বাধিয়া চলিল, কেহ গান গায়, কেহ গল্প করে— তারিণী মধুকে বলিল-ওহে ও ছোকরা-শোন ইদিকে-জয়। এখন সেই রকম রোগ অাছে নাকি ? —ই –তুমিও যেমন, মাষ্টার আবার রোগা হ’ল ८अंश्र ब्रॉहै। وهي بي سيt কবে—থেয়ে গেয়ে ইয়া হচ্ছে—অধিকারী খুব ভালবাসে মাইরী-মাষ্ঠীরও তেমনি দমবাজ–তিন টাকা মাইনে ছিল দুটাক আরও বাড়িয়ে নিয়েছে— তারিণীর ত হাসি আসল। অ, পাচ টাকা মাইনে মাসে—মন্দ কি ? বেশ ত চাকরি জোগাড় করিয়াছে ! জয় আসলে মন্দ নয়—বুদ্ধি আছে—সবই আছে— শুধু তাহার সহিত (কন সমস্ত সংস্রব ত্যাগ করিয়াছে, কে জানে । —আর সেই গায়ের ঘা-গুনা-মে-গুনে কেমন ? —ঘা? সেই দুটে ফোড় হয়েছিল—কবে সেরেছে! অধিকারী আবার সেই জন্য দাবানল মলম কিনে দিয়েছিল— তারিণীর মনে হইল-যাক ছেলেট। তবু মামুযের মত হইতে পারিয়াছে ! মধু বলিয়া চলিল--মাষ্টারের তিন ভিনটে জাম বুঝলে,-দুটো পাঞ্জাবী একটা আলপাকার কোট—আর পায়ে সেই ফোকর-অল চট—আর মিগ্রেট মুথে লেগে আছে ত লেগেই আছে— - তারিণীর মনে হইল—ত থাকৃ—সিগারেট থাইতে আর দোষটা কি ! টাকা উপায় করিতেছে যখন, তখন গাইবে বইকি ! সারাদিন খাওয়া নাই—বুকের রক্ত কতটা চলিয়। গিয়াছে-পা তাহার আর চলিতেছে নী—কিন্তু তারিণীর সেদিকে গ্রাহাই নাই । পীর সাহেবের রূপায় জয়ার যখন সন্ধান মিলিয়াছে তখন একটা দিন না-হয় উপবাসেই গেল-ক্ষতিটা কি ? জয়, জয় অার জয় ! জয়া মোটা হইয়াছে—জয়৷ ইহাদের মাষ্টার-জয়া মাসে পাচ টাকা রোজকার করেজয় জামা কাপড় পরিয়া বাবু হইয়াছে—জয় সিগারেট খায়--- তারিণীর মনে হইল-যাহাকে সে নেহাৎ অপদার্থ ভাবিয়াছিল অfজ আর সে তাহ নয়—আজি সে বড়লোক হইয়াছে! তাহারই এককালের বন্ধুর—সদানন্দ, মাখন —আজও তাহার বেকারের মত ময়লা কাপড় পরিয়৷ টাে টাে করিম বেড়ায়—জার তাহার ছেলে ཨཱ་ཙཱརྱ་ན་ས་