পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] . ' AMAMAeeMAeeMeAeeS SAAAASAASAASAAAS പ്പഫപTarunnoBot (আলাপ) ০১:২৬, ২১ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) করিয়া, মাধবীর দিকে চাহিয়া বলিল,—জাগে ওঁকে मि । O রমলা যেন একটু লজ্জিত হইয়া বলিল,—ঠক বটে indies first সে কাপুটা মাধবীকে দিয়া পরের কাপ্‌টা রজতের দিকে অগ্রসর করিতেই রজত আবার বলিল,—আপনি আগে নিন। রমল হাসিমাশ্বাস্থবে বলিল,—ন, guest first এবার । চা দিষ সবাইকে রুটিতে মাখন মাখাইয়া দিতে দিতে রমলা জিজ্ঞাসা করিল,—কাকাবাবু, আর-এক কাপ ? কাজী-সাহেব ? দাড়ি নাড়িয়া কাজী বলিলেন,—ন মা, আচ্ছা দাও, তোমার হাতে চা-টা আর-এক কাপ খেতে ইচ্ছে করছে। কাজী-সাহেবকে আর-এক কাপ দিয়া মাধবীর দিকে চাহিয়া রমলা বলিল—মাধু, চা ? আপনি ? রঞ্জত ধীরে কাজীর দিকে কটাক্ষ করিয়া বলিল,— আচ্ছা, দিন আর-এক কাপ ! রূপালী কাপে সোনালী - 51 | রমল হাসিয়া বলিল,-ব, ও তার চেয়ে কফি আরও স্বন্দর দেখায়, lovely কফি । আচ্ছা কাকাবাবু, আজ খেয়ে ওই ফাসী নিয়ে পড়তে পাবেন না, তার চেয়ে কোথাও বেড়াতে চলুন। কাপুটা মুখ হইতে নামাইয়া যোগেশ-বাৰু স্নিগ্ধনয়নে রমলার দিকে চাহিয়া বলিলেন,-আমার যে বাত মা, বেশী চলতে তে পারবে না, এ ক'দিন আবার বেড়েছে। কৌতুক ভরা চোপে সবাইয়ের দিকে চাহিয়া রমল বলিল,—বাত ! ও, আমি একটা বীতের ওষুধ জানি— এক হিমাচলের সূর্যাসীর স্বপ্নলব্ধ ঔষধ। কাজী-সাহেব পেয়ালাটার চা নিঃশেষ করিয়া প্লেটে রাখিয়া বলিলেন,-ভাই নাকি মা, বল তো। রমলা মাধবীর প্লেটে রুটি দিয়া বলিল,-ও সে য ভয়ঙ্কর,নিশ্চয় মাধবী ভয় পাবে। মাধবী ধীরে বলিল,—বলই ন বাপু । মাখন-মাখা, ছুরিট •নাড়িতে নাড়িতে রহস্যভর রমলা ২১১ -ി.സ്.സി.സി.സ സത്.സാ স্বরে রমলা বলিতে আরম্ভ করিল,—ণ্ডয়ন কাকাবাবু, কুড়িটা কালো কুঁাকৃড়া-বিছে, এ সাধারণ বিছে নয়, সে নাকি কোন পাহাড়ের জঙ্গলে পাওয়া যায়, সাপের মত বিষাক্ত, কেঁচোর মতু কুণ্ডলী পাকিয়ে থাকে, কুচ কুচে কালে,—চারটে ধুতরো-বিচি, এক তোলা গাজা, এক তোলা আফিম, আধ পো গরগরে লাল লঙ্কা, এই না দেড়সের সরষের তেলে ফেলে অীগুনে চড়িয়ে সেদ্ধ করতে হবে, তারপর তেল যখন ফুটবে ওই জীবন্ত বিছেগুলো ফেলে দিতে হবে—সেই তেল মরে মরে । অধিসের থাকৃতে নামতে হবে, তারপর তাই ছেকে যে কালো কুচকুচে তেল বেরোবে এ কয়েকদিন মাখলেই— এখন সে বিছে পাওয়াই মুস্কিল । حساسی রজত হাসিয়া বলিল,—সে বিছেও কোনো পাহাড়ে খুঁজে পাওয়া যাবে না, আর সে তেলও কেউ তৈরী করতে পারবে না । রমলা নিজের জন্য এক কাপ চা তৈরী করিতে করিতে বলিল,—কেন, হকুমান যদি এ যুগে থাকৃতে, তবে হুকুম দিলেই পাহাড় স্বদ্ধ এসে হাজির হোত । রজতের গও একটু লাল হইয়া উঠিল, সে নীরবে রুটি চিবাইতে লাগিল ; সে দিকে কোনো দৃকপাত না করিয়া রমলা চীৎকার করিয়া উঠিল,–এ মা, কি পিপড়ে জেলিটায়—কাকা-বাবু, আর রুটি ? না ? জেলির শিশি হইতে পিপৃড়ে ঝাড়িতে ঝাড়িতে রজতের দিকে চাহিয়া রমলা বলিল,—জানেন, একবার একদল লাল পিপৃড়ে আমাদের বোর্ডিং আক্রমণ করলে, সে এমন কাগু যে চিনি রেখে চা তৈরী করতে করতে চিনি উড়ে যেতে লাগলে । রঞ্জত রুটিখানি শেষ করিয়া বলিল,-ও, যেমন হ্যামলিন সহরে ইদুরের আক্রমণ করেছিল, কিন্তু ছেলেদের বোর্ডিংএ ভো অমন পিপৃড়ে হয় না— রমল উত্তর দিল,—র্তারা বিনা চিনিতে চা খান বলে', শুনুন না—সে এমন পিপূড়ে, কাজী ত শুনেছে— কাজী দাড়িতে হাত বুলাইয়া বলিলেন,—ই, আর । তার সঙ্গে ছারপোকা আর আরসোলার আক্রমণটা বাদ দিচ্ছে যে ?