পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6 ob ছেলেবেলা হ’ভে ভাই ধরিয়৷ আমারি হাত অনুক্ষণ তুমি মোরে রাপিয়াড় সাথে সাথ । তোমার স্নেহের ছায়ে কত না যতন কোরে কঠোর সংসার হতে আবরি রেখেছ মোরে । সে স্নেহ-আশ্রয় ত্যজি যেতে হবে পরবাসে, তাই লিদায়ের আগে এসেছি তোমার পাশে। যতখানি ভালবাসি, তার মত কিছু নাই, তবু যাঙ্গ সাধ্য ছিল যতনে এনেছি তাই ! প্রবাসে যাইবার কথা উল্লেখ থাকায় মনে হয় যে ইহা বিলাত যাত্রা করিবার পূৰ্ব্বে লেখা। রবীন্দ্রনাথ যখন প্রথমবার বিলাত যাত্রা করেন তখন র্তাহার বয়স সতেরো বংসর, তাহার পূৰ্ব্বে লেখা হইয়া থাকিলে, "রুদ্রচণ্ড” নাটিকাটিকে ষোল সতেরো বৎসর বয়দের লেখা বলা যায় । অtখ্যানভাগ রুদ্রচণ্ড ইস্তিনাপুর-অধিপতি পৃথ্বীরাজের প্রতিদ্বন্দ্বী, যুদ্ধে পরাজিত হইয়া রাজ্য হারাইয়াছেন। এখন অরণ্যে অরণ্যে রুদ্ৰচণ্ডের দিন কাটিতেছে, একমাত্র প্রতিশোধপূহ। রুদ্রচণ্ডকে বাচাইয়া রাখিয়াছে। নাটিকা আরম্ভ হইয়াছে রাত্রির অন্ধকারে কালভৈরব-প্রতিমার সম্মুখে । নিজ সঙ্কল্প-সিদ্ধির উদ্দেশ্বে রুদ্রচণ্ড ভৈরব-পুজায় আসীন। भशंकाल डब्रब मूङि, শুন, দেব, ভক্তের মিনতি ! রুটাক্ষে প্রলয় তব, চরণে কঁপিছে ভব, প্রলয়-গগনে জ্বলে দীপ্ত ত্রিলোচন, তোমার বিশাল কায় ফেলেছে আঁধার ছয়, অমাবস্তা রাত্রিরূপে ছেয়েছে ভুবন। জটার জলদরাশি চরাচর ফেলে গ্রাসি, प्रशन-विक्ल९-विज्रा निशाख cशृळांग्न । তোমার নিশ্বাসে খসি, নিভে রবি নিভে শশী, শতলক্ষ তারকার দ্বীপ নিভে যায় । প্রচণ্ড উল্লাসে মেতে, জগতের শ্মশানেতে প্রেত-সহচরগণ ভ্ৰমে ছুটে ছুটে, নিদারুণ অট্টহাসে প্রতিধ্বনি কঁপে ত্রাসে, ভয় ভূমণ্ডল তারা লুফে করপুটে। अलब्र-भूब्रठि षज्ञ, थब्रश्न प्रब्र नग्न, চারিপাশে দানবের করুক বিহার, মহাদেব গুন গুন, নিবেদিন্থ পুনঃ পুনঃ, আমি রুদ্রচণ্ড, চও, সেবক তোমার। (১) রুদ্ৰচণ্ডের মনে শুধু এক চিন্তা—প্রতিহিংসা। রুদ্ৰচণ্ডের কন্যা অমিয়ার মনে কিন্তু এসব কোন ভাবনা নাই, সে ফুল তুলিয়া আনিয়া মালা গাথে, আপন মনে গান করিয়া - ( ১ ) রুদ্রচণ্ড, ১ম দৃপ্ত, পৃঃ ১-২ । প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩২৯ SAASAASAASAASAASAASAAMAMeMSeeAMSM AAAA AAAA AAAA SAS A SAS SSAS SSAS SSAS SS SS SS [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড যায়, তাহার এসমস্ত ছেলেখেলা রুদ্রচণ্ড একেবারেই দেখিতে পারে না। চাদকবি পৃথ্বীরাজের সভাসদ । তিনি অনেক সময়ে অরণ্যে আসিয়া অমিয়ার সহিত গল্প করিতেন, অমিয়াকে গান শিখাইতেন । পৃথ্বীরাজসম্পর্কিত কোন ব্যক্তি অমিয়ার সহিত আলাপ করিবে এ ধৃষ্টত রুদ্ৰচণ্ডের নিকট অসহ। রুদ্রচণ্ড অমিয়াকে কঠোরভাবে তিরস্কার করিয়া বলিয়া দিল, যে, চাদকবিকে পুনরায় অমিয়ার নিকটে দেখিতে পাইলে চাদকবির আর নিস্তার নাই । রাত্রির অন্ধ । 'রে কুঠারহস্তে অরণ্যের পাদপ কাটিতে কাটিতে রুদ্রচণ্ড ভাবিতে লাগিল পৃথ্বীরাজকে নিজ হস্তে যন্ত্রণা দিয়া অপমানের উপযুক্ত প্রতিশোধ কিরূপভাবে গ্রহণ করিবে। এইরূপ চিন্তায় অনেক সময় রুদ্ৰচণ্ডের সারারাত ঘুম হইত না, সে রাত্রিতেও রুদ্রচণ্ড ঘুমাইতে পারিল না। পরদিন প্রাতঃকালে রুদ্রচণ্ড আবার দেখিল যে চাদকবি অমিয়াকে গান শুনাইতেছে । তখন আর তাহার সহ হইল না, রুদ্রচণ্ড চাদকবিকে আক্রমণ করিল। রুদ্ৰচণ্ডের শরীরে আর পূর্বের ন্যায় বল নাই, দ্বন্দ্বযুদ্ধে তাহার পরাজয় হইল। কিন্তু রুদ্ৰচণ্ডের সংকল্প এখনও সিদ্ধ হয় নাই, রুদ্ৰচণ্ডের প্রতিহিংসা-তৃষ্ণা এখনও মিটে নাই, রুদ্রচণ্ড চাদকবির নিকট প্রাণ-ভিক্ষ চাহিল। কিন্তু এই প্র,ণ-ভিক্ষা চাওয়ার অপমান রুদ্র চণ্ডের মনে দারুণ শেলের ন্যায় আঘাত করিল। জীলন মাগিন্তে হল তোর কাছে আজি, শতবার মৃত্যু এই হইল আমার ! বন্দ্রচণ্ড যে মুহূৰ্বে ভিক্ষ মাগিয়াছে রুদ্রচণ্ড সে মুহূৰ্বে গিয়াছে মল্লির । আজ আমি মুত সে রুজের নাম ল'রে কেবল শরীর তীর, কহিতেছি তোরে— এখনে জীবনে মেীর অাছে প্রয়োজন ! ( ২ ) চাদকবি প্রাণ-ভিক্ষণ দিয়া চলিয়া গেল । কিন্তু অপমান ভুলিতে পারিল না। অনুগ্রহ করে মোরে চঙ্গে গেল চাদ ! গৃহে বসে ভাবিতেছে প্রসন্ন-বদনে রুদ্ৰচণ্ডে বাচালেন অনুগ্রহ ক'রে ? অনুগ্ৰহ! ক্লাচণ্ডে অনুগ্রহ করা রুদ্রচণ্ড (২) চও, ৩য় দৃষ্ঠ, পৃঃ ২• ।