পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২% S AASAASAASA SAAAAS AAAA SSS JSSS SSAS SSAS SSAS প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩২৯ [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড SS CS CS MSeSAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS A SAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS ঙ্গিকে এই সার্টিফিকেট দেখাইতে হইবে, যে, তাহার নিয়মিতরূপ দৈহিক শিক্ষা লাভ করিয়াছে। ইহা গৃহীত হয় নাই। কলিকাতার জন্ত ব্যবস্থা আপাততঃ স্থগিত রাগিয়া মফঃস্বলের সকল স্কুলের জন্তু এই নিয়ম এখন করিলে ভাল হইত। জানি, দেশের দারিদ্র্য নিবারণ দ্বার পুষ্টিকর যথেষ্ট খাদ্যের ব্যবস্থা এবং ম্যালেরিয়া বিনাশ না করিলে ছাত্রদের স্বাস্থ্যের সম্যক্ উন্নতি হুইবে না ; কিন্তু নিয়মিত অঙ্গচালনের ব্যবস্থা থাকিলে কিছু উন্নতি হইত। এবং শরীর পটু হইলে মনের জোর ও সাতসও কিছু বাড়িত। দমন নীতি আইনভঙ্গ নিবারণ কর। গবর্ণমেণ্টের একটি কাজ । এইজন্য দমননীতি অবলম্বন করা কখন কখন আবশ্যক । গবর্ণমেণ্ট যে জাতির যে মানুষগুলির সমষ্টি, ভাঙ্গদের চরিত্র ও প্রযোজন গল্পসারে আইন ভাল হয়, মন্দও হয় । সুতরাং কোন কাজ আইনসঙ্গত হইলেই তাঙ্গ। নির্দোষ, এবং আইনবিরুদ্ধ হইলেই তাহ মন্দ হয় না। তথাপি খুব খারাপ আইন অনুসারেও যদি দমন ও দলন কাৰ্য্য চলে, তাহা তত অনিষ্টকর ও ভীষণ হয় না, শাসকদের স্বেচ্ছাচুরিত ও বেআইনী দলন ও দমন কার্য যত অনিষ্টকর ও ভীষণ হয়। কারণ আইন খুব পারাপ হইলেও তাহাতে শাস্তির প্রকার ও পরিমাণ নিদিষ্ট থাকে। কিন্তু রাজকৰ্ম্মচারীদের স্বেচ্ছাচারের প্রকার, মাত্রা, প্রণালী, পরিমাণ, কিছুই নির্দিষ্ট নাই, থাকিতে পারে না। বর্তমান সময়ে ভারতবর্ষের সকল প্রদেশে আইনসঙ্গত ও বেআইনী উভয় প্রকার দলন ও দমন কাৰ্য্য চলিতেছে। দৃষ্টান্তস্বরূপ এক প্রকার দলন কাৰ্য্যের উল্লেখ করিতেছি । কংগ্রেসকে গবর্ণমেণ্ট কোন আইন দ্বারা বা অনুজ্ঞা দ্বারা বেআইনী বলিয়া ঘোষণা করেন নাই ; এই হেতু এ বিষয়ে গবর্ণমেণ্টের ব্যবহার সভ্যজগতের নিকট লেফাফাদুরুস্ত আছে। চরখ ও হাতের তাতের দ্বারা খদ্দর উৎপাদন, এবং তাহা বিক্রয় ও পরিধান গবর্ণমেণ্ট কর্তৃক আইনবিরুদ্ধ বলিয়া ঘোষিত হয় নাই। তাহাতেও গবর্ণমেন্টের আচরণের বহিরা বরণের শোভনতা রক্ষিত আছে। কিন্তু রাজকৰ্ম্মচারীরা নানাস্থানে কংগ্রেস-কমিটির আফিস অন্বেষণ ও লগুভগু করিয়া, খদ্দর উৎপাদন প্রচলন আদি সম্পূর্ণ আইনসঙ্গত কাজের ব্যবস্থাপকদিগকে কোন-না-কোন অছিলায় দণ্ডিত করিয়া, কংগ্রেস-পক্ষের খবরেরকাগজওয়ালাদিগকে কোন-না-কোন প্রকারে । দণ্ডিত করিয়া, এবং আরও কোন কোন উপায়ে কংগ্রেসকে ও উহার জাতিগঠনমূলক আইনসঙ্গত কাৰ্য্যাবলীকে বিনষ্ট করিবার চেষ্টা করিতেছেন। অপ্রতিহত ক্ষমতাশালী শাসকদের রীতি অবস্থা-বিশেষে পুথিবীর সর্বত্র এইরূপ হইয়া আসিতেছে বটে। দুঃখের বিষয়, রাজকৰ্ম্মচারীরা ইহার অনিষ্টকারিত এবং পরিণামে ব্যর্থত। বুঝিতে পাবেন নাই। তদপেক্ষা দুঃখের বিষয় এই, যে, আমাদের স্বদেশবাসী বহু রাজনৈতিকও ইহার প্রতিবাদ করেন না, এবং বহু দৈনিক কাগজ ৪ এসকলের সংবাদ পর্য্যন্ত মুদ্রিত করেন না । দলম ও দমনের এই পথ বিপ্লব উৎপাদন করিয়া থাকে, তাহা সম্ভবত: কর্তৃপক্ষের অগোচর নহে । কিন্তু তাহার বোধ হয় ইহা জানিয়াও এই পথ এই কারণে পরিত্যাগ করেন নাই, যে, সশস্ত্র বিপ্লবের সামর্থ্য ও যথেষ্ট প্রবল প্রবৃত্তি ভারতবর্ষের নাই, এবং শাক্ত বিপ্লব-চেষ্টা তাহারা সহজেই দমন ও নিষ্ফল করিতে পরিবেন। আমাদেরও ধারণা সেইরূপ বটে। অধিকন্তু আমরা বিশ্বাস করি, যে, শাসকদের জাতির, শাসন-যন্ত্রের ও শাসনপ্রণালীর আমূল পরিবর্তনের নিরস্ত্র ও সাত্ত্বিক চেষ্টা ব্যর্থ করা গবর্ণমেণ্টের পক্ষে তত সহজ নয় । এইজন্য মনে করি, দেশের লোক এই পথে অটল থাকিলে সিদ্ধকাম হইবেন । কিন্তু তাহার জন্য সৰ্ব্বাগ্রে কোন কোন জাতি শ্রেণী ও সম্প্রদায়ের প্রতি অবজ্ঞা চিন্তায় কল্পনায় কথায় ও কাজে ত্যাগ করিতে হইবে। পরস্পরের প্রতি হিংসা দ্বেষ ছাড়িতে হইবে, ইহাও সত্য। কিন্তু তাহারও আগে অবজ্ঞাকে ছাড়িতে হইবে। শক্রতা মারামারি কাটাকাটি অপেক্ষাও অবজ্ঞা মৰ্ম্মে-মৰ্ম্মে বেশী বিধে । শত্রুত মারামারি কাটাকাটি সমানে, সমানে হয়, কিন্তু