SS Mee SS AASAA SAe SAAAAA S AAA S AAA AAAM SAAAAA SAA AAAA AAAA S ১ । বাঙ্গলার বিশেষত্ব মুসলমান যুগে বঙ্গদেশ কয়েকটি কারণে নিজের বিশেষৰ রক্ষা করিতে পারিয়াছিল—তাহার মধ্যে ভাষা ধৰ্ম্ম ও জমিদার এই তিনটি প্রধান । বাঙ্গলার বাভাস ভেজা ও গরম, জমি অসংখ্য নদী-খাল-নালায় কাট, গম ও বুট জয়ে না, লোকে উর্দু, এমনকি হিন্দী পৰ্যন্ত বলে না। স্বতরাং উত্তর-ভারতের ভদ্রশ্রেণীর হিন্দু মুসলমান সকলেই বাঙ্গলায় কাজ করিতে নারাজ ছিলেন । র্তাহার এই প্রদেশকে “রুটপূর্ণ নরক’ বলিতেন ; রাজকৰ্ম্মচারীদের অনেক সময় শাস্তির জন্য এখানে পাঠান হইত এবং তাহারাও শীঘ্ৰ বদলি হইবার জন্য বাদশাহের দরবারে স্বপারিশ খুজিতেন। ভারত-বাহিরের ভদ্র মুসলমান এখানে পুরুষানুক্রমে বসতি করিতে চাহিতেন না। কয়েকজন মাত্র জমিদারী পাইয়া এখানে আবদ্ধ হইয় शृॉन ॥ ·爱° স্বতরাং উর্দুভাষা-ভাষী উত্তর-ভারতীয় মুসলমানসভ্যতার কেন্দ্র বাঙ্গলায় স্থাপিত হইতে পারে নাই। স্থানীয় ভদ্রলোকের বাঙ্গল ভাষা ও সাহিত্যের চর্চা _করিতেন, তাহাই ভাবের আদান-প্রদানের, মানসিক আমোদ ও শিক্ষার, সামাজিক মিলনের, উপাদান ছিল । তাহার পাশে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী উর্দু সাহিত্য, বঙ্গীয় মুসলমানদের মধ্যেও, গড়িয় উঠে নাই । " জার, বৌদ্ধ ধর্থের অবসানের পর চৈতন্তের বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম অতিদ্রুত সমস্ত প্রদেশকে, ধনী দরিদ্র, ব্রাহ্মণ চণ্ডাল, সকলকে এক করিল। শাক্তও যথেষ্ট ছিল, কিন্তু এই দুই ধৰ্ম্ম পাশাপাশি শাস্তিতে বাস করিত, ইচ্ছামত এক ভাই শাক্ত আর-এক ভাই বৈষ্ণব হইতেন। কোটি কোটি বাঙ্গালী হিন্দু ও বৌদ্ধ তিনশতাব্দীতে (১২••১৫•• ) মুসলমান হইয়াছিল ; কিন্তু উপযুক্ত পুরোহিতের অভাবে এবং বাহিরের মুসলমান জগতের সহিত কম সংশ্ৰব থাকায় তাহারা ইসলামের প্রাথমিক পবিত্রত রক্ষা করিতে পারে নাই। প্রথমতঃ, তাহারা আরবী ও ফারসী জানিত না বলিলেই হয় ; তাহাদের পুরোহিতগণের প্রবাসী--ভাদ্র, ১৩২৯ SAAA SAAA AAMA AeeA AMAAA AAAA AAAA AAAASAAAAeeAAA AAAA AAAA ASASASAeASAMAAASAAAA বাঙ্গলার স্বাধীন জমিদারদের পতন ' . [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড
- ^^*
দশাও প্রায় সেইমত,-কুরান ও হদিস পড়িবার ও ব্যাখ্যা করিবার মত জ্ঞান ছিল মাত্র। সুতরাং ঐ দুই গ্রন্থ ভিন্ন পশ্চিম-ভারতের ও আরব পারস্যের বিরাট মুসলমান ধর্থ-সাহিত্য র্তাহাদের অপঠিত অঙ্গত ছিল । দ্বিতীয়তঃ, নানা কারণে ইংরেজ যুগের পূৰ্ব্বে दांबली झझेरङ अङि कभ झांढौ भकांग्न ग्रांशेङ ७द२ মক্কা হইতে কম শিক্ষক ও সাধু বঙ্গদেশে আসিতেন— পশ্চিম-ভারত হইতে আরবে ইহার অনেক বেশী ধাতায়াত ছিল । স্বতরাং বাহিরের বৃহৎ মুসলমান জগৎ হইতে নুতন ভাবের স্রোত আসিয়া বঙ্গের মুসলমান সমাজের পুরাতন আবদ্ধ জলকে বিশুদ্ধ সতেজ করিতে পারিত না । যুগে যুগে ইসলামের অনেক ংস্কারক উঠিয়াছেন ; কালক্রমে যে-সব কুসংস্কার পাপ কদাচার, প্রেরিত-পুরুষের ধৰ্ম্মকে পরিবর্তিত ব্যাধিগ্রস্ত করে, তাহারা তাহার বিরুদ্ধে মাথা তুলিয়া সেই প্রাথমিক যুগের পবিত্রত ফিরাইয়া আনিবার জন্য যুদ্ধ করেন। কিন্তু বৃটিশযুগে ওয়াহাবী ও ফরাজী সম্প্রদায় ভিন্ন, মুসলমানযুগে বন্ধের ইসলামে ধে কোন সংস্কার-চেষ্ট হইয়াছিল তাহ ইতিহাসে পাই না। স্বতরাং বঙ্গীয় গ্রামবাসী ও সাধারণ মুসলমানগণ হিন্দুদের আমোদ আহলাদ গান কথকতা স্ত্ৰত প্রভৃতিতে যোগ দিত, পূজা-পৰ্ব্ব দেখিত ; গ্রাম-দেবী, ব্যাধিদেবীকে মানত করিত, মেলায়, প্রতিমা-ভাসানে যাইত। এসব কাজ যে ইসলামের কঠোর পবিত্র তার বিরোধী এ কথা তাহারা জনিত না ; কখন কখন একজন তেজীয়ান মুল্লা বা গোড়ী নবাৰ তাহাদিগকে ধর্শ্বভ্রষ্ট বগিয়া ধম্কাইতেন, কিন্তু তাহাদের উপদেশ কোটি কোটি লোকের জীবন পরিবর্তন করিতে পারিত না, তাহার। তাহা দুদিনে ভুলিয়া যাইত। ( অবস্থাপন্ন বাঙ্গালী মুসলমানগণ, এবং শহরবাসী কৰ্মচারীদের দোভাৰী হইতে হইত ; তাহারা অন্তঃপুরে হাট-বাজারে বাদলা বলিতেন, আর কাচারীতে বৈঠকখানায় এবং সরকারী চিঠিতে
