পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] ছেলেদের পাত তাড়ি—রাজাড়ে ভোর Q రి(t പം പഠ . -്. ത് താ “বেশ। আর কোন কথা আছে ?” লোকটা রপ্লে, “হা, মহারাজ, আর এক কথা । আমার পুরস্কারটা সঙ্গে সঙ্গে দিতে হবে, আগ্রফিগুলো কাছে রেখে ঘুমুবেন ।” . রাজা-মশাই রাজি হলেন । তার পরেতে সেই অদ্ভুত লোকটা যেমন এসেছিল, ঠিক তেমনি ভাবে রাজাকে প্রণাম করে চলে’ গেল । রাজ্যে গুজব রটে গেল, আবার একজন লোক এসেছে রাজাকে স্বর্য্যোদয় দেখাতে। লোকটার বোকামি মনে করে অনেকে হায় হায় করতে লাগলো। আবার অনেকে বলতে লাগৃলে, “লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। লোভীকে দয়া কবৃন্তে নেই, সে পাপী ।” ● ভোর হতেই রাজবাড়ীর সিং-দরজার সামনে লোকে লোকারণ্য হয়ে গেল। এবারে আর তাদের কেউ ডাকে নি । এবারে তারা নিজেরাই এসেছে—দান নিতে নয়, মজ দেখতে। তার ভেবেছে লোকটা রাজাকে স্বৰ্য্য উঠতে দেখাতে ত নিশ্চয়ই পারবে না, আবার একটা লোকের গর্দান নেওয়া নিশ্চয়ই হবে । তাই দেথতে রাজ্যস্থদ্ধ লোক ভোর না হতেই আপন থেকে এসে জড়ো হলো । ক্রমে বেল বাড়তে লাগলো। রাজা মশায়ের ঘুম থেকে ওঠার কোন লক্ষণই নেই। লোকেদের মনেও * আর সন্দেহ রইল না যে, হতভাগা মাথাটা থোয়ালে । প্রথর রোদ বা বা করতে লাগলো। রাজা-মশাই রোজ যে সময়ে ওঠেন, সেই সময় এসে গেল । বাইরের লোকের গৰ্দ্ধান নেওয়া দেখবার প্রতীক্ষায় উদ্‌গ্ৰীব হয়ে উঠলো। এদিকে ঘরের ভিতর সেই লোকটী রাজার দিকে তাকিয়ে থাটের পাশে দাড়িয়ে রয়েছে। বেলা অনেকখানি হয়ে গেল, সে কিন্তু রাজাকে একবারও জাগাতে চেষ্টা করল না । তারপরে যথাসময়ে রাজা-মশাই উদখুদ করে নড়ে উঠলেন। তাই দেখে লোকটা আস্তে আস্তে রাজ্য মশায়ের মাথার কাছে গিয়ে তাকে ডাক দিল, “মহারাজ, উঠন, গুই দেখুন স্বর্ধ্যোদয়-স্থধ্য কেমন আকাশ রাঙা করে উঠছে দেখুন।” রাজামশাই ধড়মড়িয়ে উঠে জানলা দিয়ে চেয়ে দেখলেন । সত্যিই তো ! ওই সন্ধ্যেবেলার মত - রাঙা স্বষ্যিদেব উঠছেন ! মহারাজ ভারী খুলী । লোকটা বলে, “মহারাজ, এইবার আমার পুরস্কার ?” বিছানাতেই মোহরগুলো ছিল। রাজা-মশাই তক্ষুনি হাজার আসরফি গুনে লোকটাকে দিলেন । সে প্রণাম করে চলে’ গেল । বাইরে, এদিকে, লোকেদের মনে ভাবনার উদয় হ'ল। এত বেল হ’য়ে গেল, আজ এখনও কি রাজা-মশাই উঠলেন না ? মন্ত্রীদের মনে খট্কা লাগল। একজন বল্লেন, "তাই তো, সেই অদ্ভুত লোকটা রাত্রে রাজার ঘরে একলা ছিল, রাজা-মশায়ের কিছু অনিষ্ট করেনি তো ?” মন্ত্রীরা চমকে উঠলেন, “ঠিক তো !” তখনই তার দৌড়ে রাজা-মশায়ের ঘরে ঢুকে পড়ল্বেন। গিয়ে দেখেন, রাজা একদৃষ্টে পূব দিকের জান্‌লা দিয়ে কি দেথ চেন । সে ঘরে আর কেউ নেই। তাদের ঢুকতে দেখে রাজা ফিরে তাকালেন, হেসে বল্লেন, “আজ আমার ঘুম ভেঙেছে, ওই গে এখনও স্বৰ্য্য লাল রয়েছে।" র্তার জানলা দিয়ে তাকিয়ে দেখলেন, লাল সূৰ্য্যই বটে ! কিন্তু— কিন্তু কি ? তার জিজ্ঞেস করলেন, “মহারাজ, সে লোকটা কোথা গেল ?" রাজা বল্লেন, “কেন, পুরস্কার নিয়ে চলে গেছে,—তার কাজ করে’ ।” মন্ত্রীরা বল্লেন, “ন, মহারাজ, তার কাজ সে করেনি। এখন অনেক বেলা । তবে, সে আপনাকে ঠকিয়েছে। ওই দেখুন, জার্মুলাটার আগা-গোড়া একখানা পাতলা লাল রংএর কাচ আঁটা !” আঁ, সত্যিই তো ! ঠগ ! ঠগ ! ভয়ানক ঠগ ! চারদিকে.লোকটার খোজ