পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

११९ প্রবাসী--"শুদ্রি, গুঙ২৯ { ২২শ ভাগ,১ম খণ্ড SSASAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS MA SAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA AAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA M ASA AAAA SAAAAA MAMSAAAAAAASAAAA AAAA MAMMSAAA MAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAMAeeSAeSAeeAMS MA MAMA AMAeAMAeM AeeAe Ae AMAeSeSeAeS eS eS eS eS ASAMe AeSAeSAMeAA AAAASAAAA ডাকাত তাড়াইতে বা ধরিতে পারে নাই, ঙাকাঙদের হাতে কেবলই বৃক্ষসৰ্ব্বস্ব, হত ও জাহত হইয়াছে। কোন কোন বাঙালী জাতভায়ীকে পরাস্ত করিয়াছে, ইহা সত্য কথা । কোন কোন গ্রামের লোক ডাকাত তাড়াইয়াছে ও ধরিয়াছে, ইহাও সভ্য কথা । সাহসের সহিত ডাকাত তাড়ন ও গ্রেপ্তার করার জন্য অনেকে গবর্ণমেণ্ট কর্তৃক পুরস্কৃত হইয়াছেন, "ইহাও সত্য কথা । এইসব সভ্য ঘটনা ‘সঙ্কলন করিয়া যদি খবরের কাগজে ও পুস্তকাকারে প্রকাশ করা যায়, তাহ হইলে অনেক স্বফল হইতে পারে। কিন্তু সাবধান হইতে হইবে, ঘটনার বৃত্তান্তে ধেন একটুও অত্যুক্তি, মিখ্যার ভেঞ্জলি বা অস্ফিালন না থাকে । বিবরণগুলি 'ইইতে আমরা , কেবল এই উপদেশ ও অতুপ্রাণনা লাভ করিতে চেষ্টা করিব, যে, অন্য বাঙালীরা যেরূপ মনুষ্যত্ব দেখাইয়াছেন, “আমরাও যেন সেইরূপ মহুষ্যত্ব অর্জন করিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হই। বাঙালী কি “ঘরকুনো” ? [ শ্রাবণের প্রবাসী হইতে উদ্ভূক্ত ] নানা দেশের ও প্রদেশের লোকেরা বঙ্গে আসিয়া অর্থ-উপার্জন করে, ও অনেকে ধনী হয় । তাহার মধ্যে দৈহিক-শ্রমজীবীর সংখ্যাই অধিক । দৈহিক শ্রম দ্বার। রোজগার করিয়া খাইবার নিমিত্ত, ওঁড়িয়া, হিন্দু স্থানী, বিহারীদের মত হাজার হাজার বাঙালী ঘর ছাড়িয়া অন্যত্র যায় না। তাহার কারণ কি ? অাগে 'ইঙ্কত এ কথা বলা যাইত, যে, জমীর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ও উর্বরতা বশতঃ বঙ্গের সাধারণ লোকদের অবস্থা ভাল বলিয়া তাহার ঘরেই থাকে। কিন্তু এখন ত সেকথাও জোর করিয়া বলা যায় না। এখন কোন কারণে বঙ্গে অল্পৰ্কষ্ট হইলে অন্যান্ত প্রদেশের লোকদের ট্রাদার উপর বিপন্ন লোকদের প্রাণধারণ নির্ভর করে । তবে সাধারণ বাঙালী খাইতে না পাইলেও ক্ষেন বাংলা ছাড়িয়া অন্যত্র যায়-না ? ইহার কারণ অফুপঞ্জন করা কওঁধ্য। একটা কারণ এই মনে হইতে পারে, যে, বাঙালী ঘরকুনে, কিন্তু লেখাপড়াঙ্গনা, বা "খ্রিষ্ঠাষ্ঠী বাঙালী ত পৃথিবীর নানা দূরদেশে যায় । সম্ভবতঃ সাধারণ বাঙালী জনিশ্চিভের উপর ততটা নির্ভর করিতে চাষ না । কোন একটা আশ্রয়, যেমন কেরাণীগিরি র অন্য চাকরী, মিঞ্জিলে বাঙালী দূরতম স্থানে যাইতে রাজী হয়। কিন্তু বড় বা ছোট ব্যবসা, কিম্বা কারিগরী বা দৈহিক শ্রমরূপ অনিশ্চিত রোজ গারের আশায় বাঙালী হয়ত খুঁহ ছাড়িয়া দূরে যাইতে চায় না। ইহা হয়ত বাঙালী-প্রকৃতির একটা স্থূর্বলতা। কিন্তু এই কুৰ্বলভ যে সকলেরই আছে, তাহা rনয়। কারণ, চাকরী না লইয়াওতে অনেক লিখন-পঠনক্ষম বাঙালী ওকালতী প্রভৃতি করিবার নিমিত্ত দূরদেশে যায়। বহু প্রবাসী বাঙালীর জীৰন-চরিত হইতে ইহা জানা যায় । সম্ভবতঃ বঙ্গের বাহিরের জগতের জ্ঞান বে-বাঙালীর যত কম, উক্ত স্থৰ্ব্বলতা তাহার তত ষেশী, যাহার ঐ জ্ঞান যত বেশী, তাহার এই কুৰ্ব্বলতা তত কম। বাংলা দেশের উর্বরতা বশতঃ বহু শতাব্দী ধরিয়া সাধারণ বাঙালীর জীবিকা-অন্বেষণে কোথাও না-যাওয়ায় যে অভ্যাস জন্মিয়া থিস্থাছে ও যে অজ্ঞতা সঞ্চিত হইয়াছে, অনশনক্লিষ্ট আধুনিক বাঙালীর সেই অভ্যাস ও অজ্ঞতা রহিয়া গিয়াছে। ইহা দূর করিতে হইবে। সম্ভবতঃ অন্যান্য প্রদেশ-সকল অপেক্ষা বাংলা দেশ অধিকতর গ্রামবহুল বলিয়া অধিকাংশ বাঙালী পাড়াগেয়ে, এবং পাড়াগোঁয়ের প্রকৃতিগত দুৰ্ব্বলতা ও অজ্ঞত তাহীদের অধিক। কলিকাতা, হাবড়া ও ঢাকা বাদ দিলে বঙ্গে শহরের মত শহর, লক্ষাধিক মানুষের শহর; -নাই ; অন্য অনেক প্রদেশে বিস্তর আছে । সাধারণ বাঙালীর ঘরকুনো ভাব ঘুচাইতে হইবে । পৈত্রিক ভিটার মায়ায় না-খাইয়াও সেখানে পড়িয়া থাকিলে চলিবে না। পূৰ্ব্ববঙ্গের মুসলমানদের এ মায়া কম ; তাই তাহার নূতন চরের আবাদ করে, জাহাজে চাকর হয়, নানা সাহসের কাজ করে। এই জন্য তাহীদের অনেকের অবস্থা ভাল। গ্রাম্য বাঙালীকে মধ্যে মধ্যে ঠাই-নাড়া করিলে হয়ত তাহার কিছু উন্নতি হইতে পারে। " বাঙালীর অবাঙালীর একটি প্রভেদ জামর জনৈক বৎসর ধরিয়া "ধাঙ্গীতে এৰাসী