পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৯০ ধরা পড়লেও সে কথা অস্বীকার করতে ইতস্তত: করেনি। শিল্পীরা যে রকমের আবহাওয়ার ভিতর রসস্থষ্টি করেছে— • সব সময় তা মুক্ত বা সহজ ছিল না, নানা বুজঘোষ ও আগ্নেয় সংঘর্ষের ভিতর শিল্পী আশ্চৰ্য্য ধৈর্য্য ও নিপুণতার সহিত নিৰ্ভয়ে সোনার স্বপ্ন বুনে গেছে। সমাজবিধির অনুশাসনে মাতুষ নিজের চোখ বেঁধে ইন্দ্রিয়কে যেমন হিতোপদেশে দুর্বল করতে উৎসাহ পেয়েছে—তেমন নিজের ভিতরকার অন্তরতম প্রেরণাকেও সে ইচ্ছা করে এমন অস্বচ্ছ ও স্থল করে তুলেছে যে তার পক্ষে সৌন্দর্ঘ্যের সূক্ষ্ম ভাবাবেশ অনুভব করা সকল সময় সম্ভবও হয় নি। হয়ত এ জন্যই–এরকম কঠিন বলেই--রসাস্বাদকে এ দেশ অপরূপ মৰ্য্যাদা দিয়েছে— ব্ৰহ্মাস্বাদ-সহোদরঃ রসাস্বাদ-লোকোত্তর | আশ্চর্যোর বিষয়, এদেশে—এদেশে কেন, বোধ হয় সব দেশেই—ব্ধপরসজগতের পথে অরূপ জগং বাধা দিয়েছে। অরূপ জগতের ধ্যানেও অপারারূপী রূপরসগন্ধের প্রলোভন ত একটা না-হলে-নয় ব্যাপারই হয়ে পড়েছিল, এদেশের কাব্যে ও পুরাণে । এজন্য রসচর্চার গোড়াতে এই রকমের একটা বিচার ও আলোচনা দরকার হয়ে পড়ছে। রসাস্বাদ ও রসস্থষ্টিকে কষ্টিপাথরে কষে দেখা অনিবাৰ্য্য হয়ে পড়েছে। চোখে দেখা ও চোখে পাওয়া—এ দুটিতে অনেক তফাৎ। চোখের উপর দুনিয়ার অনেক জিনিষ পড়ছে ও ভাস্ছে—কানেও অহরহ অনেক আওয়াজই আসছে— সে-সব কোন ধূসরিত পথে চলে যায় তার ঠিক নেই। কোকিলের আওয়াজ, আম্রমুকুলের গন্ধ স্বষ্টির আদি হতেই ত মানুষ পেয়ে আসছিল—কিন্তু কলার ইন্দ্রজালেই তা লোকের ইন্দ্রিয়াহুভূতিকে প্রথম আবিষ্ট করে—সেসুব কালিদাস ও জয়দেবের মত কবির অপেক্ষায় ছিল— তারা শোনেন নি মাত্র-তারা পেয়েছেন এবং সে-সবকে সৌন্দৰ্য্য-লোকের চিরন্তন অধিকারী করেছেন। তেমনই বর্ষাগমে ময়ুরময়ূরীর মত্ত কেকাধনি, রক্তচক্ষু খঞ্জনের রম্যনুত্য—এ সব মানুষের রপহদয় অধিকার করে বসেছে শিল্পের ভিতর দিয়ে—এক অপরূপ-রূপ পেয়ে গেছে সার্থক রসস্থষ্টির ভিতর।" এজন্যই পশ্চিমে উনবিংশ শতাব্দীকে প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩২৯ [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড MSMAAA AAAA AAAA MMJSAAJJJJSYJAMJAJAMJYJASJSJAMMSAMSMAAAA ব্যাল্জাকের (Balzac) স্বষ্টি বলে। ব্যালঞ্জাকের রসস্থষ্টির ভিতর নরনারী ও সমাজব্যবস্থা এমন এক রূপ পেয়ে গেছে যে, তিনি যে রসের রসিক ছিলেন সে ভাবের ভাবুক না হয়ে ফরাসী জাতি পারে নি—এখানেই হচ্ছে সৌন্দর্ঘ্যের জয় ! দেশকালের প্রাকৃত বন্ধনকে ছিম্ব করে কলা এই রকমেই জগৎকে উন্নীত ও রূপান্তরিত করে। কোন পশ্চিমের লেখক পশ্চিমের রসসাহিত্য ও কলায় জাপানের যে মূৰ্ত্তিটি পাওয়া গেছে, তা যে একেবারে ললিতকলার স্তষ্টি, তা দেখাতে গিয়ে বলেছেন :– , வ The Japanese people are the deliberate self-conscious creation of certain individual artists. If you set a picture, by Hokusai or Hokkai or any of the great native painters, beside a real Japanese gentleman or lady, you will see that there is not the slightest resemblance between the two. The actual people are not unlike the general run of English people...... One of our most charming painters went ecently to the land of Chrysanthemum in the foolish hope of seeing the Japanese. All he saw—all he had the chance of painting were a few lanterns and some fans. He did not know that the Jananese people are simply a mode of style—an exquisite fancy of art. কাজেই চোখে যা পাওয়া যাচ্ছে -তা চোখে যা মাত্র দেখা যায় তার চেয়ে স্বতন্ত্র । সৌন্দয্যের মায়াঞ্জন চোখে দিতে হয়—চিত্তের সঞ্চিত আবেগ রসসিক্ত করতে হয়—তবেই রূপজগতের অলৌকিক ধারা চোখে পড়ে। উচ্চতর সৃষ্টির উপলব্ধির পথে সাধন চাই। সৌন্দৰ্য্যলক্ষ্মী সাতমহল হৰ্ম্ম্যের অগণ্য সম্ভারে বেষ্টিত হয়ে রূপরসরাগের অজস্র উৎসের মধ্যে রূপকথার রাজকন্যার মত সোনার খাটে ঘুমিয়ে আছে—কোন দিন বাজপুত্র সমস্ত বাধা চূৰ্ণ করে তারুণ্যের উদ্বেগে বাইরের বাধাকে রম্যমন্ত্রে বিপৰ্য্যস্ত করে সোনার কাঠি ছুইয়ে তাকে