পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্য। ] বাধ্য-বাধকতা.ও, পৃষলা আছে, তাকেরাধ ধায় এবং এ-রকমে বেঁধে মানুষ তাকে নানাভাবে কাজে লাগাচ্ছে । কিন্তু যেখানে জীবনের সম্পর্ক সেখানে গেলে মনে হয় •যেন এক অসীম ও অকুল সাগরে পৌছন গেল। অ নিত্য চঞ্চল, তার ক্রম-হিল্লোল এক মুহূর্ভের জন্য অপেক্ষা করছে না,—ত ওতপ্রোত ও অখণ্ড, এজন্য তাকে পাওয়া মুস্কিল, দেখা মুস্কিল। দুনিয়াকে টুকরো টুকরো করে দেখা যায়, কিন্তু তা হলে সে ত দুনিয়া আর “বকে না ! এজন্য এমন লোক চাই যার চোখ আছে, যে দেখিয়ে দিতে পারে। সে চোখ অন্তর-নিরপেক্ষ নয় । সে চোখ যার আছে সে দেখতে জানে। বার্গসে বলেন, এ-রকমে দেখতে জানে যারা তারাই হচ্ছে আর্টিঃ । “From the beginning of humanity there have been men whose peculiar office has been to see and to make other mert see that which without their aid would never have been discovered. They are artists.” এই সৌন্দৰ্য্য উদঘাটন বা সৌন্দৰ্য্যারোপকে বার্গসে। অনেকটা জন্মগত সংস্কার বলেছেন । • এ যেন অসীমের রূপ-সংস্পর্শের সহিত মনের একটা আদিম বন্ধন, যাতে শিল্পী বাধাও পড়েছে—মুক্তও হয়েছে। ' এ অবস্থাটিকে আমাদের গীতাকারের মতে অনেকটা বিভূতুি যোগের, ফল বলতে হয়। শুধু সংস্কার নয়— চর্চারও দরকার হয় সংস্কারেরই খাতিরে। ‘নামরূপ’ যেমন অগ্রসর হওয়ার সোপান, তেমনি বাধাও । গীতাকার আর-একটা উচ্চতর অবস্থার কথা বলেছেন, যে অবস্থায় বিশ্বরূপদৰ্শন হয়। সেটা বিভূতি-যোগের পরের অবস্থা। এ প্রসঙ্গে কথাটি মনে করা ভাল । এদেশের শাবা- ও ইন্দ্ৰিয়-জ্ঞান সম্পর্কে একটা স্ফোটবাদ অনেক কাল হতে চলে আসছে। তাত্ত্বিকদের মতে প্রত্যুেক জিনিষের পিছনে একটা অনাদি শব্দবন্ধার ঝড়ের মত ভাবের হিল্লোল উপস্থিত করে—যা-কিছু দেখছি তা অর্থযুক্ত করে তোলে। না হলে ইন্দ্রিয়জ্ঞান বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ত। শারীরিক স্বত্রের বিচারে শঙ্কর পূর্বপক্ষের দিক হতে এ বিচার করেছেন । একটা কথাকে অক্ষরে বিভক্ত রসস্থষ্টিতে ইন্দ্রিয়ের ইন্দ্ৰজাল SAASASAAAM SAA AAAA SAAAAA AAAA SAAAAA SAAAAA AAAA SAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAAMJSS S SSSM MMSMS SMSM SMeM SAS AA SAAA AAAA AAAAMeMMeS MJeMMee MeMAM AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAA AAAA SAAAAASA SAASAASAASAASAASAASAAAS సెరీ یحیهای خیعه ۹ جمیعت بی جای ۳۰ مهر ۶۳۹جی করা হলে কোনও অক্ষরে সমস্ত বাক্যের মানে নিহি থাকে না, কিন্তু একে একে শেষ অক্ষর উচ্চারণ হতেই সমস্ত কথাটি হঠাৎ জাগ্রত ও জীবন্ত হয়ে উঠে। এ স্ফোটকে বার বার বাক্যটি উচ্চারণ করলে পাওয়া যায়। এজন্য তাকে অনাদি বলা হয়েছে। এমন কি বলা হয়েছে, দুনিয়া সার্থক ও পরিস্ফুট হচ্ছে এরকমের একটা অসীমতা তাকে অর্থযুক্ত করছে বলে। তর্ক ছেড়ে সহজে শিল্পীর এ অবস্থাটিকে আমরা একটা রসের স্ফোটবাদ বলে কল্পনা করলে, অনেকটা বার্গসের কল্পনার সাম্নে এসে পড়ি। শিল্পীর ভিতর একটা অনাদ্যস্ত রসরূপ এমনিসংস্থারকে সার্থক করে তোলে। সে যাক। ইন্দ্রিয়ের ইন্দ্রজাল-প্রসঙ্গে ঐন্দ্রজালিকের প্রসঙ্গ এমনিভাবে উঠছে। চোখে দেখার পিছনে যে দেখছে তার প্রশ্নই বার বার উঠছে। স্রষ্টা বা শিল্পী ইন্দ্রিয়স্থানীয় মনেরও অতীত। শুধু মনকে এদেশের তত্ত্ববিদরা ইন্দ্রিয়ের অন্তভুক্ত করেছেন—একাদশ ইঞ্জিয়ের ভিতর মনকে অন্যতম ইঞ্জিয়স্থানীয় করা হয়েছে, স্কুল থেকে ক্রমশঃ স্বল্পতর অবস্থার দিকে বিচার করে’ । এজন্য মানুষের পঞ্চকোষাত্মক জীবাত্মার কথা বলা হয়েছে —অল্পমর কোষ, প্রাণময় কোষ, মনোময় কোষ, বিজ্ঞানময় কোষ ও আনন্দময় কোষ । ৯ ইন্দ্ৰিয়াত্মক মনোময় কোষের অধিকার সামান্ত । বুদ্ধি 's fostato (conceptual sheath ) cotto: একটা প্রয়োজনীয় স্তরের ভিতর দিয়ে গেলে—তবেই আনন্দময় কোষে ব্ৰহ্মাম্বাদ লাভের আনন্দ ঘটে । কাজেই মনকে ছাড়িয়ে আরও গভীরতর ਾਂ গেলে দেখা যায় তা অতলস্পর্শী—সে গভীর আনন্দহ্রদে যারা পড়েছে তার বেরোবার পথ পায়নি । তারা যা চায় তা পেয়েছে, জীবনের বহুমুখ রসসংস্পর্শের ভিতর দিয়ে অগ্রসর হয়ে পরম কৈবল্য লাভ করেছে। কাব্যচর্চায় ও ক্লাব্যের রসভোগেও এ-সমস্ত স্তর সম্বন্ধে অঙ্গগুলি না হোক অন্ততঃ কয়েকটা প্রশ্ন এ যুগে ভাল রকমেই উঠেছে। চিত্রেও সে জটিলতা সম্মুখীন হয়েছে। o ( আগামী সংখ্যায় সমাপ্য) শ্ৰী,যামিনীকান্ত সেন