পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীশরৎচন্দ্র সন্ন্যtল, জিলা জজ সাল্লাল মহাশয় দিল্লীর একজন খ্যা নাম চিকিৎসক । পাঠ্যাবস্থায় রায় বাহাদুর শরচ্চন্দ্র সাপ্ল্যাল ও রাজেশ্বর মিত্র মহাশয় কাশীতে বেনারস কলেজে এবং বাকীপুরে পাটন কলেজে প্লায় একই সময়ে ছাত্র ছিলেন। পরলোক- , গত কুচবিহার-পতি ও রেজেক্টরী বিভাগের ইন্সপেক্টরজেনারেল রায়বাহাদুর শ্ৰীযুক্ত প্রিয়ুনাথ মুর্গোপাধ্যায় মহাশয় ভিন্ন ভিন্ন সময়ে সাম্যাল মহাশয়ের সহপাঠী ছিলেন । “ সাম্যাল মহাশয়ের কৰ্ম্ম জীবন সৰ্ব্বপ্রথমে বঙ্গদেশে মুনসেফরূপে আরম্ভ হয় । সার এণ্টনী ম্যাকুণ্ডনেল বঙ্গদেশে পাকিতেই ইহার কুধ্যে এরূপ প্রীত হয়েন যে যখন তিনি মধ্যপ্রদেশে চিফ-কমিশনার হইয়া আসেন তখন এথানকার বিচার-বিভাগে স্থযোগ্য কৰ্ম্মচারীর অভাব দেখিয়া ইহাকে હ કેફામ’ সহকুৰ্ম্মচারী আর-একজন মুনসেফকে । শেষোক্ত ভূদেব মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের পুত্র ) এ প্রদেশে লইয় আসিবার ব্যবস্থা করেন । কিন্তু বিশেষ কারণবশতঃ শেষোক্ত মুনসেফ, মহাশয়ের এ প্রদেশে আসা ঘটে প্রবাসী—অশ্বিন, ১৩২৯ S AASAASAASAAASAAA SAS A SAS SSAS SSAS SSASAAA SAS A SAS A SAS SSAS SSAS SSAS 4. م . م [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড AAAA SAS S S AAAA S SAAAS S SAAAAAA AAAA AAAA AAAA SAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SS SAAAAA AAAAS AAAASS নাই। যেরূপ দক্ষতার সহিত সার্যাল মহাশয় কাৰ্য্য করিয়াছেন এবং তিনি ক্রমে বিচার-বিভাগে যেরূপ উচ্চপদে আরোহণ করিয়াছেন তা হাই ম্যাকৃভনেল সাহেবের বিশ্বাসের বিশিষ্ট প্রমাণ। সাম্যাল মহাশয়ের নিকট একখানি পুস্তক আছে যাহা সার ওয়াল্টার এট স্বহস্তে স্বাক্ষর করিয়া এডিনবার্গের পুস্তক-বিক্রেতা বন্ধু ব্যালান্টাইন ( Ballantine ) সাহেবকে উপহার দিয়াছিলেন । ব্যালান্টাইন্‌ সাহেবের দোকান হইতে সার ওয়ালটারের গ্রন্থাবলী প্রকাশিত হইত এবং ইঙ্কার দেউলিয়া হওয়ার ঘটনাচক্রে সার ওয়ালটার সর্বস্বাস্ত হইয়া অবশেষে ঋণগ্রস্ত হন এবং এই ঋণ শোধ করিবার জন্যই সার ওয়ালটার স্কট র্তাহার স্ববিখ্যাত ওয়েভার্লি পৰ্য্যায়ের উপন্যাস লিখিতে আরম্ভ করেন । এই ব্যালাণ্টাইন সাহেবের নিকট-কুটুম্ব ডক্টর জেম্স্ ব্যালাণ্টাইন বেনারস কলেজের প্রিন্সিপ্যাল হইয়া আসেন এবং তাহার নিকট হইতে সাঙ্গ্যাল মহাশয়ের পিতা এই পুস্তকখানি প্রাপ্ত হয়েন । যদিও স্থানীয় বাঙ্গালীরা জব্বলপুরের উন্নতির জন্ত যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন, তবু ইহা দুঃখের সহিত স্বীকার করিতে হুইবে যে এখানকার বাঙ্গালীদের স্থায়ী নিজস্ব জিনিস হিসাবে বাংসরিক দুর্গাপূজা ছাড়া বিশেষ কিছুই নাই ও তাঁহাদের নিজেদের মধ্যে মিলামিশাও খুব কম । পূৰ্ব্বে এখানে বাঙ্গালীদের স্থাপিত একটি কালীবাড়ী ছিল। কিন্তু বহু বংসর হইতে তাহ বাঙ্গালীদের হাতছাড়া ও লুপ্তপ্রায়। এখানে একটি মিশনারিদিগের দ্বারা পরিচালিত বাঙ্গালী মেয়েদের ইস্কুল আছে, কিন্তু স্থানীয় বাঙ্গালীদের সাহায্যের অভাবে তাহ। মৃতপ্রায় । ১৯০৩ সালে ৬ ঈশ্বরচন্দ্র সিংহ মহাশয়ের দৌহিত্র শ্ৰীযুক্ত কিরণকৃষ্ণ মিত্র, অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত অপূৰ্ব্বচঞ্জ দত্ত ও শ্ৰীযুক্ত দেবেশ্বর মুখোপাধ্যায় মহাশয়দিগের চেষ্টায় এখানে একটি বাঙ্গালা লাইরের স্থাপিত হয়। এখানকার বাঙ্গালী অধিবাসীর সংখ্য যেরূপ স্বল্প ও র্তাহাদের নিজেদের মধ্যে মিলমিশও যেরূপ কম, তাহাতে যে লাইব্রেরীটি এতকাল বাচিয়৷ আছে ইহাই ভগবানের বিশেষ কৃপা বলিতে ইষ্টবে।