পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

에 বর্তমানে বামপ্রস্থ ও সন্ন্যাসীর তফাৎ উঠিয়া গিয়াছে, এবং নানা শ্রেণীর অশাস্ত্রীয় সন্ন্যাসীতে হিন্দু সমাজ ভৰ্ত্তি । ইষ্টয়া আছে। ইহাদের মধ্যে অনেকেই মূখ অনধীতরো, সুতরাং সন্ন্যাসে অনধিকারী। ইহাদের ধূনা, গাজা এবং চিম্‌টা ও ভষ্ম ছাড়া আর কিছুই জানা নাই। তীর্থে ভিড় করিয়া গৃহস্থের উপর অত্যাচার করিয়া এই সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসীরা এখনও রেশ মুখে চলাফেরা করিতেছে । চহারা বিনা-ভাড়ায় রেলে চড়ে, বিনা উপার্জনে ভাল খায় এবং নিশ্চিন্ত মনে স্বাস্থ্যবান দেহে দীর্ঘ জীবন উপভোগ করে । - আর এক শ্রেণীর সন্ন্যাসী আছেন, র্তাহারা বড় বড় কোঠবাড়ির মালিক। মখমলে মোড়া বাঘের চামড়ায় তাকিয়া ঠেস্ দিয়া ইহঁর বসেন এবং শিষ্য-পরিবৃত হইয়া অপরাষ্ট্র কাল স্বপে কাটান। অন্য সময়ে একটু জপ তপ ও পূজাঅৰ্চনাও হয়ত করেন। ইহঁাদের অনেকেই সোনা-রূপার বাসনপত্র ব্যবহার করেন এবং খাটে পালঙ্কে ভাল ভাল বিছানায় রাত্রি যাপন করেন। ইহঁাদের অনেকেই ‘মহারাজ এই উপাধি গ্রহণ করেন এবং মহারাজেরই মত ঐশ্বৰ্য্য উপভোগ করিয়া থাকেন। এমন কি, এদের অনেকেই লহু লক্ষ টাকার কোম্পানীর কাগজের মৃদও গণিয়া থাকেন । শঙ্কর, রামানুজ প্রভৃতি আচাৰ্য্যদের প্রতিষ্ঠিত মঠসমূহের বৰ্ত্তমান অধিকারীর ঠিক রাজার মতই চলেন। রূপার ছত্র-চামর তাহাদের সঙ্গে সৰ্ব্বত্র যায় ; এবং যেগানেই তাহারা উপবেশন করেন, সেখানেই তৎক্ষণাৎ ছত্রধারী তাহাদের মাথায় ছত্র ধরে এবং চামরধারীরা চামর চুলায় ! অবশু ইঙ্গর অবিবাহিত, স্বতরাং অগৃহী ; এবং গৃহস্থোচিত যজ্ঞাদি কৰ্ম্ম ইহার করেন না। কিন্তু অনেক গৃহীর চেয়ে অধিক ধনসম্পত্তির ইহঁার মালিক এবং এই সম্পত্তির জন্য স্বামল-মোকদমা করিতেও ইছারা পরাফুখ নহেন ! ইহা ছাড়া আরও এক শ্রেণীর তথাকথিত সন্ন্যাসীর সাক্ষাং আমরা হিন্দুসমাজে পাই। ইহার তীর্থের মোহন্ত, আক্রতদার, ভোগবিলাসী! ইহাদিগকেও সন্ন্যাসীই বলিতে ।

    • ८क्न-म हेहीब्र श्रृंख्हe fटैक नरश्न 4बर शृश्रहग्न বর্ণাশ্রমোচিত সকল কাজও করেন না। কিন্তু চতুর্থ আশ্রমের

چسسe* கண்டில்iri ఏసీలీ সম্মালীও ইষ্টার ঠিক নহেন। ইছারা, বৃক্ষমূলে কিংবা শূন্তাগারে রাত্রিযাপন করেন না, কোঠাবাড়িতে নক্ষরতৃত্যের-সেবায় স্থাখে নিস্ত্রী যান; কাঞ্চনের প্রতিও ইহঁদের কোন জুগুঙ্গা নাই, কেন-ন প্রভূত ধনসম্পত্তি ইহার ভোগ করেন এবং নানা প্রকারে--অর্জনও করেন। আর, বৈধভাবে দার-পরিগ্রহ ইহার করেন না সত্য কিন্তু নারীর সান্নিধ্য একেবারে বর্জন করিয়াও চলেন.না ! বৰ্ত্তমানে আবার আরও এক নূতন শ্রেণীর জ-সংসারী লোকের আবির্ভাব হইয়াছে, যাহাঁদের ধৰ্ম্মই একৃঙ্গাত্ৰ কাম্য নহে। তীর্থে কিংবা অ-তীর্থে কোন অত্ৰিম প্রতিষ্ঠা করিয়া ইহঁর শিষাপরিবৃত হইয়া জীবনযাপন করেন, আর ধর্শ্ব-অর্থকাম-মোক্ষ এই চতুৰ্বর্গেরই আরাধনা করিয়া থাকেন। সাধারণ গৃহস্থের মত জীবন ইহঁদের নয়, স্বতরাং নানাবিধ সন্ন্যাসীদের সঙ্গে ইষ্টদের কথাও ভাবিতে হয়। ইহঁাদের মধ্যে অনেকে আছেন র্যাহারা প্রকাপ্তেই কোন-না-কোন রাষ্ট্রীয় আদশের সাফল্য কামনা করেন এবং তাঁহার জন্ত পরিশ্রমও করিয়া থাকেন ; আবার অনেকে আছেন যাহারা রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে একেবারে নির্লিপ্ত থাকিয়া শুধু কোন-না-কোন দার্শনিক ৰ৷ ধৰ্ম্ম-সম্বৰীয় মতবাদের প্রচার চেষ্ট করেন এবং সমাজ-সেবার কাজে আত্মনিয়োগ করেন । অকৃতদার খ্ৰীষ্টান ধৰ্ম্মযাজক ও ধৰ্ম্মপ্রচারকদের অনুকরণে ইহঁাদের জীবন-পদ্ধতি এবং কাৰ্য্যপ্রণালী অনেকটা নিয়ন্ত্রিত হয়। সেই হিসাবে ইহঁার প্রাচীন আদর্শ ঠিক অনুসরণ করেন না এবং প্রাচীনপন্থী সন্ন্যাসীদের দোষও ইহঁাদিগকে ততটা স্পর্শ করিতে পারে নাই। এই সব আশ্রম অনেক সময় পুলিস কর্তৃপক্ষেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়া থাকে। কয়েক বৎসর আগে আসাম প্রদেশে একটি আশ্রমে পুলিসকে জোর করিয়া প্রবেশ করিতে হইয়াছিল, একথা বোধ হয় অনেকেরই মনে আছে ; এবং কি কারণে পুলিসকে সেখানে হানা দিতে হইয়াছিল, তাহাও সকলের অজানা নয়। প্রকাশুে আইন-ডজ না-হওয়া পৰ্য্যন্ত পুলিস কিছু করিতে পারে না। স্বতরাং এই সব আশ্রমের মধ্যে অধিকাংশই এভাবে পুলিস কর্তৃক আক্রান্ত হয় নাই। কিন্তু গুলিলের সঙ্গীন এড়াইলেও সমাজহিতৈষীরা সন্দ্রেন্থের চক্ষে দেখেন এরূপ আশ্রমের সংখ্যা নিতান্ত অল্প নয়। . .একটা কথা এইখানে সাধারণভাবে আমাদিগকে মানি