পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Swo. প্রবাসী SNలికపి BBB BB BBB BB BBBS BBB BB BBBS KSBBB BBS BBB BB BBB BBB BB BBB BBBB আমি ই ক'রে বসে আছি।” ঢের ।” লুসি স্নান করিতে চলিল। মমতা বাড়িময় ঘুরিতে লাগিল, ষামিনী বসিয়া ভাজের সঙ্গে গল্প করিতে লাগিলেন। প্রভা জিজ্ঞাসা করিল, “সভায় যেতে এত ব্যস্ত যে দিদি ? তোমার ভাইটি ত একেবারে নারাজ, বলেন দিদির পয়সা আছে বলে কি ক'রে ওড়াবে তাই খালি ভাবছে।” যামিনী বলিলেন, “খুকী ছাড়ে না, তা ছাড়া আমিও কিছু দেওয়া দরকার মনে করছি। পয়সা যাদের দৌলতে, তারাই মরতে বসেছে, এ সময় কিছু না-করাটা অমানুষের কাজ। উনি ত নিজের শরীর নিয়ে এমন ব্যস্ত যে কিছু করবার কথা ভাবতেই পারেন না।” প্রভা বলিল, “তা ত ঠিকই। তোমরা যদি গরিবদুঃণীকে না দেবে ত দেবে কে ? আমাদের না-হয় ক্ষমতাই নেই, কিন্তু দেওয়া যে কতখানি দরকার তা ত বুঝি। নিজেরা যার অভাবে থাকে, তারাই বোঝে অভাবগ্রস্তের দুঃখ ।” প্রভার অবশ্ব দু-হাতে ছড়াইবার টাকা নাই, তাই বলিয়া ইাড়ি চড়ে না, এমন অবস্থাও তাহার নয়। কিন্তু সুবিধা পাইলেই যামিনীকে সে নিজের দুঃখের কথা জানাইয়া রাখে। কখন কাজে লাগিয়া যায় বলা যায় কি ? ইতিমধ্যে লুসি স্নান করিয়া ফিরিয়া আসিল। সকলে মিলিয়া খাইতে বসিলেন। প্রভা বলিল, “আজ মাছটা লুসি রোধেছে, কেমন হয়েছে দিদি ?” ঘামিনী বলিলেন, “বেশ ত হয়েছে, লুসি ত দেখি কাঞ্জকৰ্ম্ম দিব্যি শিখছে। খুকী ত এখনও রান্নাবান্না পারে না।” মমতা বলিল, “তুমি শেখাও না কেন ? আমি ত শিখতেই চাই।” প্রভা বলিল, “তোমার দরকারই বা কি ? রাজরাণী হবে, কোনদিন হাড়ি হাতেও করতে হবে না । আমাদের ছেলেপিলেকে খেটে খেতে হবে, তাদের সবই জানাশোনা দরকার ।” যামিনীর মুখ গম্ভীর হইয় গেল। তিনি বলিলেন, "আমন আশীৰ্ব্বাদ ক’রে না বে। রাজরাণী যেন ওকে মমতা আলোচনাটায় একটু অপ্রস্তুত হইয়া চুপ করিয়ু গেল। বাস্তবিক রান্নাবান্না শিখিবার তাহার সখ খুবই, কিন্তু মা বিশেষ কিছু তাহাকে বলেন না, তাই তাহারও শিখিবার চাড় হয় না। মনে মনে স্থির করিয়া রাখিল সে বিন্দুপিসীর কাছে কালই রান্না শিখিতে আরম্ভ করিয়. দিবে। খাওয়া হইয়া গেল। প্রভার দিনে ঘুমান অভ্যাস, যামিনী কখনও দিনে ঘুমান না। র্তাহাকে বসাইয়া রাপিয়, নিজে ঘুমান ঠিক হইবে কি না ভাবিয়া প্রভা ইতস্ততঃ করিতে লাগিল। যামিনী অবস্থা বুঝিয়া বলিলেন, “তুমি একটু গড়িয়ে নাও বউ, আমি একটু এই বইগুলো নাড়ি-চাড়ি।” লুসি এবং মমতা খাটে গুইয় গল্প জুড়িয়াছিল। প্রভ নিজের ঘরে গুইতে চলিয়া গেল। যামিনী একটা ইঞ্জি চেয়ারে বসিয়া মাসিক-পত্র উন্টাক্টতে লাগিলেন । সভ হইবে বিকালবেলায়, সে এখনও ঢের দেরি । চ; খাইয় বাহির হইলেই চলিবে । দেখিতে দেখিতে বেলা গড়াইয়া আসিল । প্রভা উঠিয় চায়ের আয়োজন করিয়া ফেলিল। লুসি মমতাকে বলি“দিদি তুমি কাপড়খানা ছাড়বে ত? বডড যে ধামসে গিয়েছে, পরে বেরনো যায় না।” সত্যই মমতা এত গড়াগড়ি দিয়াছে যে শাড়ীখানির দুৰ্গতির আর কিছু বাকী নাই। অগত্যা তাহাকে লুসির শাড়ীই একখানা পরিতে হইল। যামিনী সারা দুপুর বসিয়াছিলেন, তাহার পোষাক-পরিচ্ছদ ভালই ছিল । যথাসময়ে তাহারা যামিনীর গাড়ী চড়িয়া সভাস্থলে যায় করিলেন। - পার্কে তখন রীতিমত ভীড় জমিয়া গিয়াছে : ভলণ্টিয়ারদের সাহায্যে অনেক কষ্টে র্তাহারা চার জন মেয়েদের দিকে গিয়া বসিলেন । যামিনী একবার চারিদিকে তাকাইয়া দেখিলেন, কাছাকাছি তাহার চেনাশোনা কেউ আছে কি না। দেখিয়া আশ্বস্ত হইলেন যে কেহই নাই । বাস্তবিক তাহাকে চেনেষ্ট বা কে ? কোথাও তিনি নিতে যান না, মানুষের সঙ্গে তাহার সম্পর্কই চুৰিয়া গিয়াছে