পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন রাজস্থানী লোকগীতিও ঐবিধুশেখর ভট্টাচাৰ্য্য খোধ হয় টড সাহেবের রাজস্থানের ইতিহাস বা তাহার অনুবাদ হইতে বাংলায় রাজস্থানের রাজপুত + ও চারণ গণের রচিত ঐতিহাসিক বিবরণ ও কবিতার প্রথম পরিচয় লাভ হয়। কিন্তু যদিও ইরেজীতে এই বঙ্গদেশেই ইহার কিছু আলোচনা হইয়াছে তথাপি বাঞ্ছল ভাষায় এ পর্য্যন্ত কিছুই হয় নাই। বাঙালী পাঠক ইহার তেমন স্বযাগ পান নাই, যদিও ইচ্ছা করলে তাহ পাইতে পারিতেন । যাহাই হউক, যে সকল বাঙালী পাঠক কিছু হিন্দী জানেন, তাহার এখন অনায়াসেই এই সুযোগ পাইতে পারেন। জয়পুরের অন্তর্গত হণোতিয়া গ্রামের বারহট বালাবধূপজীর বহু দিবস হইতে ইচ্ছ। ছিল যে, প্রাচীন রাজস্থানীতে রচিত ইতিহাস ও কবিতা-সমূহ প্রকাশিত করির হিন্দী সাহিত্যের পুষ্ট সাধন করা হয়। এই উদ্দেষ্ঠে তিনি কিছু টাক, কাশীর নাগরীপ্রচারিণী সভার হাতে সমর্পণ করিয়৷ এই নির্দেশ করেন যে, উহার আয়ের স্বার। “বালাবখ শ রাজপুত চায়ণপুস্তকমাল- এই নামে রাজপুত ও চারণ-গণের রচিত ঐতিহাসিক ও কবিতা গ্রন্থ-সমুহ প্রপমে প্রকাশিত করিতে হইবে । আলোচ্য পুস্তকখানি ঐ গ্রন্থমালার ষষ্ঠ গ্রন্থ। ঢোল-মা রু রা দুই রাজস্থানী ভাষার একখানি প্রাচীন ও স্বপ্রসিদ্ধ কাব্য। এই নামটিকে বাঙলার টো লী ও মা রূ র দেী হু। বল যাইতে পারে। কাব্যের নায়কের নাম ঢ়ো ল'. জার নাগ্নিকাটির নাম মা রূ। ইহাদের প্রণয়-কাহিনী দো হা ছন্দে বর্ণিত হইয়াছে বলিয়া বল হইয়াছে দূহ। র৷ হইতেছে পশ্চিমী রাজস্থানী (মাররাড়ী , ভাষায় সম্বন্ধ-সুচক (পুংলিঙ্গের বহুবচনে )। সংস্কৃত ছ লাভ অবহট্ঠ অর্থাৎ অপভ্রষ্ট বা অপভ্রংশে ক্রমশ টো প্ল', এবং তাঙ্ক। হইতে টো লা । ইহা রাজস্থালীতে ‘নায়ক, ‘পতি, ব’ ‘ৰীয় অর্থে খুবই প্রচলিত। ম র হইয়াছে মরু শব্দ হইতে। ম রু দেশে জাত বলিয়। এই নায়িকার নাম মা রূ। ইহার ভিন্ন ভিন্ন রূপও পাওয়া যায় ; যেমন, মা রূ রী, মা র রী, মা রু র ৭, মা র রণ, ইত্যাদি। রাজকন্তু বা রাজরাণীদের নাম অনেক স্থলে সেই সেই দেশের অথবা দেশের রাজার নামে হইয় থাকে, যেমন, মৈ পি লী, বৈ দে হী, পা কা লী, ইত্যাদি। রাজস্থানেও এইরূপ অনেক যেমন, মী রা কে বলা হইত মে ডু ত ণ রাণী ( মেড়তাৱালী রাণা ) । বৰ্ত্তমান নায়ক ঢ়ো লা র দ্বিতীয় রাণা মা ল র প্রদেশের ছিলেন বলিয়। উাহার নাম হইয়াছিল মা ল ব শ ।

  • চাল-মাক্কর দৃহ, রাজস্থানীক এক সুপ্রসিদ্ধ প্রাচীন লোকগীত, পাঠান্তর, হিংদী অনুবাদ, টিপ্পনী, শব্দকোষ, পরিশিষ্ট ঔর প্রস্তাৰনাকে সাণ, সংপাদিত। সংপাদক রামসিংহ, এম. এ. বিশারদ, স্থ্যকরণ পারীক, এম-এ, বিশারদ, ঔর নরোত্তম দাস স্বামী, এম-এ., বিশারদ। প্রকাশক নাগরীপ্রচারিণী সভা, কাশী । পৃষ্ঠা ২১৩ + ৬৬৪ । कूल) s९ ।।
  • बiणिानि चोषब्र' णि ७ शिथि ब्रi ख १ ड, डि ब, श्ा श्, ইত্যাদি ; কিন্তু হিন্দী প্রভৃতিতে রা ক্ৰ পুত, তী ন, দুধ, ইত্যাদি। हैहोडे ठिक ।

আলোচা গ্রন্থের সম্পাদকগণ মনে করেন ঢোল এক ঐতিহাসিক ব্যক্তি। ইনি জয়পুর রাজবংশের পুর্বপুরুষ ছিলেন। জয়পুরের কছবাহ রাজবংশ প্রথমে নরবর-নামক নগরে রাজ্য কৱিতেন । রাজা নল ইহা স্থাপন করেন। এই নলের পুত্র ঢোল । ইহার সময় আনুমাণিক কিঞ্চিৎ নুনাধিক ১• • • বিক্রমাদ। ইহার দুই স্ত্রী ছিলেন, একটি মারৱাড়ের ও অপরটি মালৱার। এই গ্রন্থখাণিকে রাজস্থানের জাতীয় কাব্য বলিয়। মনে করা হয় । রাজস্থানে এমন আর কোনো লোকগীতি নাই যাহার ইহার স্থায় সাধারণের মধ্যে প্রচার আছে। সেখানে এমন পুস্তকালয় স্থলভ যাহতে এই কাব্যথানি নাই। বহু শতাব্দী হইতে রাজস্থানে ইহা চলিত হইয়া আদিতেছে, এবং এখনো অনেকের মুখে ইহ রহিয়াছে । এই কাবোর বর্ণিত ঘটনাবলীকে অবলম্বন করিয়া রাজস্থানে বহু চিত্র অঙ্কিত হইয়াছে। যোধপুরের সরদার মিউজিয়মে ইহার ১২১ থাণি চিত্র আছে । আলোচ্য সংস্করণে উহা হইতে তিন খানি প্রকাশ করা হইয়াছে। রাজস্থানের বহু গৃহে এখনে উটের উপরে ঢোল ও মাক্কর চিত্র পাওয়া যাইবে । মহামহোপাধ্যায় গৌরীশঙ্কর হীরাচংদল্লী বলিয়াছেন, তিনি এক ঐতিহাসিক যাত্রায় বহির্গত হইয়া অলরর রাজ্যের এক গ্রামে ঢোল ও মারার মুৰ্ত্তি দেখিয়াছিলেন। এই মুর্ভি নুনি পক্ষে দুই শত বৎসরের পুরাতন হইবে। ঢ়োল-মার কাব্য লোকগীতি ( Ballad ) । প্রথম হইতেই ইহ লোকের মুখে-মুখে ছিল, এবং সেই গুপ্তই ইহার যে অবস্থা হওয়া স্বাভাবিক তাহ হইয়াছে। সময়ে সময়ে নান! স্থানে নানা পরিবর্তন হইয়াছে । পুরাতন দোহ কেনে কোনে স্থানে নষ্ট হইয়াছে, আবার নুতন দেহ ও প্রবেশলাভ করিয়াছে। কোনো প্রাচীন ঘটনা হয়তে লুপ্ত হইয়াছে, আবার নুতন ঘটনাও তাছাতে স্থান পাইয়াছে। মনে হইতে পারে প্রথমে ইহা কোনে এক ব্যক্তির রচনা ছিল। কিন্তু পরে বহু জনের রচনা হইয় পড়িয়াছে। মূলত ইহার রচয়িত কে, বা কবে ইহ রচিত হইয়াছিল ইহা বলা শক্ত। ঢোলার সময় কিঞ্চিৎ নুনাধিক ১• • • বিক্রমাৰ বল হইয়াছে, অতএব এই কাব্যখালি তাহার পূর্বের হইতে পারে ল । কালক্রমে কাব্যখনির দোহাবলী ছিন্ন-ভিন্ন হওয়ায় কগাভাগও ছিন্নভিন্ন হয়। বিক্রমাৰা ১৬০০ শতকের কাছাকাছি সময়ে জেসলমেরে কুশললাভ নামে এক জৈন কবি ছিলেন । ঢোলমার দূহ ঐ সময়ে খুবই প্রসিদ্ধ ছিল, কিন্তু সম্ভবত তিনি ইং সম্পূর্ণ পান নাই। তাই জেসলমেয়ের রাৱল হরিরাঙ্কুের আদেশে তিনি যতট, পাইয়াছিলেন একত্র সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন, এবং কথা-সূত্র মিলাইবার জন্ত উহাতে মধ্যে-মধ্যে কতক চৌপাঈ রচণা করিয়া জুড়িয় দিয়াছিলেন। ইনি স্পষ্টত লিখিয়া গিয়াছেন যে, ঐ দূহ বা দোহাগুলি খুব পুরাতন ("দূহ, ঘণ পুরাণ অছৈ")। খুব পুরাতন বলিতে যদি অন্তত এক শত বৎসরও পূর্ব ধরা যায়, তবে বলিতে পারা যায়, এই মূল গ্রন্থখানি বিক্রমীদের প্রায় পঞ্চদশ ( ১৪•• ) শতকে রচিত হইয় থাকিবে। ভাষা আলোচনা করিলেও বুঝা যায় ইহা প্রায় s •• বৎসরের প্রাচীন হইবে । জালোচ্য সংস্করণে সম্পাদকগণ ঢোল-মাক্ষ কাব্যের যে প্রাচীন