পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RRS ●धचानौ । స్ప్రికిER बशक्चरनब्र छिक्क नांदे, ब्रागैौ e-पझ्ब्र श्रृंखब्रवफ़ि जिशंरह, তাঁর ছেলেমেয়ে সব গিয়াছে, সেই হইতে খবরবাদও সে বিশেষ কিছু দেয় না. গোলাপী গিয়াছে, টুনিরাও গিয়াছে ; অভণ্ডল স্বর, সমস্ত মাকড়শার জাল আর ইদুরের গর্ভে ভর্তি, দিন অন্তর সব ঘরে এক বার করিয়া বীট দিবারও লোক নাই। বাহিরের লোকের মধ্যে রহিয়াছে এক মোক্ষদা। জিলোচন বাড়ি আসিয়া চুপচাপ দাওয়ায় প৷ ঝুলাইয়া বসিল । হঠাৎ মোক্ষদাকে দেখিয়া এক ধরণের হাসি হাসিয়া ৰলিল— সবাই সরে পড়ল। তুমি যে বড় এখনও রয়ে গেছ, মোক্ষদ-দিদি । তোমায় নিতে আসবে কবে ? মানমুখে মোক্ষদা কহিল—কোন চুলোয় কে আছে যে নিতে আসবে। যদিন আছি, আমায় আশ্রয় দিয়ে রেখো—আমার ঠাই নেই। ঘাড় নাড়িয়া ত্ৰিলোচন কহিল—-বেশ, বেশ! কিন্তু একাদশী আর মাসে দুটোয় চলবে না দিদি, তা বলে দিচ্ছি। জামরাও আরম্ভ করব। পাল্লা দিয়ে এবার একাদশী চলবে• • • কোথায় ছিল পটম্বরী, সাড়। পাইয়। বাবা, বাবা করিয়৷ বাপাইয়া আসিয়া পড়িল । জাদুরে মেয়ে। বলিল—তামাক খাবি, বাবা ? ত্ৰিলোচন হাসিয়া কহিল—আন দিকি কেমন । মেয়ে বলিল-আচ্ছ। ঘরের মধ্যে গেল, আবার ফিরিয়া আসিয়া বলিল--এই নে। খালি হাত। হাসিয়া ত্রিলোচন তার হাত হইতে মিছামিছি হক লইল । পটম্বরী কহিল--আর কি নিৰি ? এবারে তেল আৰু, খুকু। নাইতে যাব। –এই নাও। হাত উপুড় করিয়া খুকী বাপের হাতের উপর রাখিল । বলিল —মাখিয়ে দিই ? কচি কচি হাত দুখানি বাপের বুকে-পিঠে বুলায়। ফুলের মত নরম হাত । ত্ৰিলোচন আদর করিয়া মেয়েকে কোলে তুলিয়া লইল । ফুলকুমারী কলকে ফু দিতে দিতে আসিল। সত্যকার ধোয় উড়িতেছে, খুীর মত মিছামিছি নয়—ত্রিলোচন চোখ বুজিয়া ভাষাক টানিতে লাগিল । হাসিমুখে ফুলকুমারী ৰাপের কোলে মেন্ধে দেখিতে লাগিল । পটম্বরী মলিল—জামায় দিবি নে, বাবা ? যেন চমক ভাঙির ত্রিলোচন চোখ খুলিল। বলিল— কি দেহ, মা ? তামাক ? মেয়ে মুখ বাকাইয়া বলিল—উহু । তামাক বুদ্ধি ভাল ; ভামাক ছাই। হাত পাভিয়া ধরিয়া বলিল—তুই ভাত দে, ডাল দে—এই এখানে । ত্ৰিলোচন ফোস করিম নিশ্বাস ফেলিয়া বলিল—সে দেওয়ার দিন যে এবার ফুরিয়ে গেল মা। ফুলকুমারী দেখিল, স্বামীর দু-চোখ দিয়া অশ্রুর ধারা গড়াইয় পড়িতেছে । হঠাৎ ত্রিলোচন .তার দিকে চাহিয়া বলিল-স্তনেছ বউ, জমি দিয়ে এলাম— ---কাকে ? -জুধমতীকে, এত আক্রোশ হয়েছে র্যার। তার পর কান্নারই মত হাসি হাসিয়া বলিল --মোক্ষদা-দিদির কাছে একাদশীর খবর নিচ্ছিলাম। তুমি সধবামানুষ, স্বামীর সঙ্গে মিলেমিশে একাদশী করলে খুব পুণ্যি হবে। পাজিতে আছে দেখো। এবারে পাল্লা দিয়ে পুণ্যি করা যাবে । ধান তোমার আর ক-খুচি আছে, বউ ? বধু ঝঙ্কার দিয়া উঠিল--ই, আমার ঘরসংসারের কুচ্ছে করতে আসেন! ভয়ানক ঝগড়া হয়ে সবে কিন্তু। বলি, চানটান করবে না আঞ্জ ? বেলা হয় না? আমারই যে গিদে পেয়ে গেল । ফুলকুমারীর কিন্তু মনে মনে ভয় হইয়া গেল। এতট বয়স খাটিক্স-খুটিয়া যা-কিছু করিয়াছিল, সৰ্ব্বস্ব দিয়া ও-বছর আঠাশ বিঘা জমি লইয়াছে। সেই নূতন জমি এবং পৈতৃক খামার জমি— এ সব লইয়া জিলোচনের আশা-ভরসার অন্ত ছিল না, সমস্ত চুকাইয়া দিয়া সে যেন এক এক দিনে দশ বৎসর বুড়া হইয় ফাইতে লাগিল। সমস্ত দিন বসিয়া বসিয়া তামাক টানে ; আর বেড়াইতে যায় ত খালের ধারে, লোকালয়ের ক্রিসীমানায় নয়। গতিক দেখিয়া ফুলকুমারী কহিল—নিত্যি নিত্যি খালে গিয়ে কি হয় ? —পা ধুতে যাই। . -- এই এক কোশ পথ হেঁটে পা ধোওয়া, পায়ের ত সঙ্গ কম নয়। কেন, গ্রামের মধ্যে কি জল জেলে না ?