অগ্রহণক্ষ্মণ নামক জামান বছি অবলম্বন করিয়া ফ্রেডরিক রাওয়্যান (Frederica Rowan) “Meditations on Death and Etornity" নামক যে ইংরেজী গ্ৰন্থখানি রচনা করেন, লেখিকা তাহ পাঠ করিয়া সত্ত্বন ও শাস্তি লাভ করেন। সেই পুস্তকথানির মৰ্ম্মকথা তিনি উচ্ছাসপুর্ণ ও কবিশ্বময় ভাষায় লিপিবদ্ধ করিয়াছেন। শোক র্যাহার পাইয়াছেন এবং মৃত্যু ধাহীদের কাছে রহস্যময়, চিন্তাশীল এরূপ লোকের ইহ পড়িলে উপকৃত হইবেন । ইহার যে-কোন পৃষ্ঠায় পড়িতে আরম্ভ করিয়৷ যে-কোন স্থানে থাষ যাউক না-কেন, চিন্তনীয় কিছু পাওয়া যায় । লেথিক কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ও পরে ইংলণ্ডে উচ্চশিক্ষা লাভ করিয়া এখন বেথুন কলেজে বিজ্ঞানের অধ্যাপিকার কাজ করেন। উহার বহিখানি পড়িয়া এই ধারণা হইতে আনন্দ পাওয়া যায়, যে, বিজ্ঞানের চর্চা করিলেই মানুষ ভক্তিহীন হয় না। b. সাতরাজার ধন—ঞ্জশাস্তু দেবী ও খ্রীসীতা দেবী প্রণীত। শিল্পী জীবিনয়কৃষ্ণ সেন অঙ্কিত প্রচ্ছদপট ও বহু চিত্র সংবলিত। ১০৩ পৃষ্ঠা। ফুলস্কেপ সাইজ। ২৮৩, দরগা রোড, পার্ক সার্কাস, কলিকাতা ও সমস্ত প্রসিদ্ধ পুস্তকালয়ে প্রাপ্তব্য। মূল্য দেড় টাকা । কেবলমাত্র বাংলা উপস্থাস-সাহিত্যে নয়, বাংলা শিশু-সাহিত্যে শ্রশাস্তা দেবী ও গ্রীসীতা দেবীর বিশেষ স্থান আছে। ছোট ছেলেমেয়েদের বই তাহার অত্যধিক লেখেন নাই, কিন্তু যে কয়টি লিখিয়াছেন, সেগুলি ছেলেমেয়েদের উপযোগী করিয়াই লিখিয়াছেন । বহু দিন পূৰ্ব্বে হিন্দুস্থানী উপকণা পড়িয়াছিলাম। হিন্দুস্থানের বালক-বালিকার ম'-ঠাকুমার মুখে যে-সকল গল্প কত শত বৎসর ধরিয়া শুনিয়া আসিয়াছে সেই শিশু-চিত্তরঞ্জক অখ্যায়িকাগুলি সহজ সুন্দর রচনাভঙ্গীতে ৰ৷ংলা ভাষায় যেন নবজন্ম লাভ করিল। শ্রীশান্ত দেবী-প্ৰণাত হুঞ্চহিয়,” স্ত্রীসীত৷ দেৰী লিখিত "আজব দেশ” “নিরেট গুরুর কাহিনী” প্রভৃতি বইগুলিতে শিশু-সাহিত্য রচনার চমৎকার প্রতিভা দেখিতে পাওয়া যায় । বাংলা শিশু-সাহিত্যে যেন বইয়ের মন্স্কন নামিয়াছে। বালকবালিকাদের জন্ত প্রকাশিত বহুসংখ্যক গ্রন্থের মধ্যে অতি স্বল্পসংখ্যক বই ছেলেমেয়ের মানসিক আহারের পক্ষে উপযোগী দেখা যায়। ছেলেমেয়েদের মনে গল্প শুনিবার, গল্প পড়িবার ক্ষুধা দারুণ প্রবল। সেজষ্ঠ তাহারা নির্বিচারে সকল বই-ই পড়িতে চায় বটে, কিন্তু খুশী হইয় বার-বার পড়িবার মত বই অধিক বুজিয়া পায় না। তাহারা নূতন নুতন বই কিনিতে চায়। পিতাধf5fরাও বুঝিরা উঠিতে পারেন না কি বই কিনিয়া দিবেন। আলোচ্য বইখানি প্রকাশিত হওয়াতে, ছেলেমেয়ের হাতে উপহার দিবার উপযোগী একখানি সুন্দর বই পাওয়া গেল। এ বই সঙ্গে করি, এ বই পড়িয়া ছোট ছেলেমেয়ের খুশী হইবে। গল্প লিনার ভঙ্গীতে সহজ ভাষায় লেখ, সরল কল্পনা, অসম্ভবের স্বপ্ন, মইষ্ট হাস্তকৌতুক, আজগুবি ব্যাপার, শিশু-সাহিত্যে যে-সকল BS BBS DDBBS Tg DS DD C KBB BBBB BBD সেগুলি আছে বলিয়। “সাতরাঞ্জার ধন ছেলেমেয়েদের আনন্দবৰ্দ্ধক গ্রন্থ ३४२५छ् । সতিরাজার ধন” গ্রন্থে আটটি ছোট গল্প আছে। রূপকথা উপক্ষপ, দুঃসাহসিকতার কাহিনী, ভূতের গল্প, শিশুমনের বেদনা ও পুস্তক-পরিচয় உஇல் অদ্ভুত কল্পনার কথা, গল্পগুলির বিষয়-বস্তুতে গ্রন্থকত্ৰীৰয় বিচিত্র সমাবেশ করিয়াছেন। বস্তুতঃ ভোজে একই প্রকারের খাদ্য পরিবেশন করিলে নিমন্ত্রণ তৃপ্তিদায়ক হয় না। মধু ছিল পাহাড়পুর গ্রামের রাখাল ছেলে ; “আকাশমুখে বলিয়া সকলে তাহাকে ঠাট্টা করিত , সে কিয়পে বিক্রমগড়ের রাজসভায় প্রবেশ করিল, রাজপুত্রদের হারাইয়। রাজকন্ত লীলাবতীকে বিবাহ করিল, সে এক অপূৰ্ব্ব কাহিনী। ডানপিটে সুবল মিত্তিরদের শিবমন্দিরের দেওয়াল ভাঙিয়। কিরূপে গুপ্তধন আবিষ্কার করিল, সে এক দুঃসাহসিকতার গল্প। ছোট মেয়ে বেণু মাকে মোটর কিনিয়া দিতে চায় সে পুতিল মোটর গাড়ীর গাছ। রাজপুরীতে থাকে রাজকুমারী চন্দ্রানন, তার অসংখ্য খেলন, কিন্তু খেলার সার্থী নাই বলিয় তাহার ভাল লাগে না, বাজারে খেলনা কিনিতে গিয়া সে সঙ্গে জানিল এক ছোট ফুটফুটে মেয়েকে তাহার খেলার সঙ্গিনী করিয়, তর্জন সিংএর গৰ্জ্জনের তোয়াক্কা করিল না। সাতরাজার ধন- এমনি নানা শিশুচিত্ততোষিণী গল্পে ভরা। প্রচ্ছদপটের বিচিত্র বর্ণের ছবিটি মুন্দর। প্রাসাদের ঘাটে ময়ূরপন্থা নৌকা বাধা রহিয়াছে, গল্পের আনন্দময় কল্পলোকে লইয়া যাইবে । পরিষ্কার ঝরঝরে ছাপা ও শোভন বাধাই । স্ত্রমণীন্দ্রলাল বসু পথের কথা—ঐবিজয়কান্ত রায়চৌধুরী প্রণীত। মেসাস আর, সি, দধি এণ্ড সঙ্গ, মিহিজাম কর্তৃক প্রকাশিত। দাম বার আন । পৃ: ১২৭+১৬ । বইখানিতে গ্রন্থকারের লিখিত পনেরটি ও পরিশিষ্ট্রে জন্তান্ত লেখকের চারিটি প্রবন্ধ সঙ্কলিত হইয়াছে। বাংলার অত্যাবস্তক অর্থনীতি, পল্লীসমস্ত, কৃষি, জুহাৰ্য্য, স্বাস্থ্য প্রভৃতি বিবর লইয় এগুলি লিখিত হইয়াছে । পুস্তকখানি কয়েকটি গুণের জন্ত উপভোগ্য হইয়াছে। গ্রন্থকার যে-সকল বিষয়ে জালোচনা করিয়াছেন, তাহার মধ্যে কয়েক বিষয়ে তাহার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ফলও লিপিবদ্ধ হইয়াছে। পুস্তকখানির ভাব প্রাঞ্জল ; এবং ইহাতে শুধুই যুক্তিতর্ক নাই, বহু তথ্যের সমাবেশে ইহা যথেষ্ট সমৃদ্ধি লাভ করিয়াছে। বর্তমান হতাশার যুগে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ভাবে কাজ করিলে, সমবায়-শক্তির দ্বার যে আমরা কিয়ৎ পরিমাণে বাংলার আর্থিক উন্নতি সাধন করিতে পারি, পুস্তকখানি পড়িলে সে শিক্ষা লাভ করা যায়। জাঙ্কনির্ভরশীলতার শিক্ষা জাজ বাংলা দেশে বিশেষ প্রয়োজন , সেই জস্ত আমরা পুস্তকখানির বহুল প্রচার কামনা করি। ঐস্বধীরচন্দ্র লাহা মামুষের ধৰ্ম্ম—মোহম্মদ বরকতুল্লাহ, এম্-এ, বি-এল প্রণীত, ಶ মুসলিম পাবলিশিং হাউস হইতে প্রকাশিত। মূল্য এক ङ्क्तःि । এই পুস্তকখানি কয়েকটি দার্শনিক প্রবন্ধের সমষ্টি, প্রবন্ধগুলি পূৰ্ব্বে বিভিন্ন মাসিক পত্রিকায় প্রকাশিত হইয়াছিল। সেগুলিই পুস্তকাকারে প্রকাশিত হইয়াছে। ইহাতে ছয়টি প্রবন্ধ স্থান পাইয়াছে— মামুষের ধৰ্ম্ম, ধ্রুব কোথায়, জড়বাদ, চৈতঙ্ক, বস্তু-রূপ ও জীবনপ্রবাহ - প্রবন্ধগুলি বিশেষ চিন্তাশীলতার পরিচায়ক, সৰ্ব্বত্র প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য মতবাদের আলোচনা ও তাহদের তুলনা লিপিবদ্ধ হইয়াছে। এমন স্থবোধ্য ভাষায় ও সরল ভঙ্গীতে বিষয়গুলি বর্ণিত হইয়াছে যে, পাঠকগণ প্রবন্ধগুলি পাঠে বিশেষ আনন্দলাভ করিবেন । বিশেষতঃ
পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮১
অবয়ব