পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ কাৰ্য্যকরী নহে। উপরিউক্ত প্রকৃত শক্তিশালী কৃষিযাদি কেন যে ভারতবর্ষে ব্যবহৃত হয় নাই তাহার আরও একটি প্রধান কারণ হইতেছে ভারতবর্ষের প্রাকৃতিক ও সামাজিক অবস্থা। ভারতবর্ধের ভূমি বিশেষ কঠিন নহে, এবং এই সকল কোমল ভূমিতে চাষ করিবার জন্ত শক্তিশালী কৃষিযাদির অভাব ও আবশ্বকতা কখনও অনুভূত হয় নাই। দ্বিতীয়তঃ, ভারতবর্ষের কৃষকেরা “চাষা" বলিয়া চিরকাল সমাজের নিকট অবনত হইয়া আছে। আধুনিক কৃষিবিজ্ঞান সম্বন্ধে ইহারা সম্পূর্ণ অজ্ঞ। তথাকথিত ভদ্রসম্প্রদায় জমিদারবর্গের নিকট হইতে তাহারা কৃষিকার্ধ্যের উন্নতি সাধনের জন্ত কদাচিৎ কোনও সাহায্য পাইয়া থাকে। কৃষিষন্ত্রের ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে সকল দেশেরই কর্তৃপক্ষীয়দের কতকগুলি বিষয় ভাবা উচিত – ১। যন্ত্রবিদ্যা সম্বন্ধীয় ব্যাপার এবং অপেক্ষাকত অল্পব্যয়ে অধিকতর শক্তিশালী যন্ত্রের উদ্ভাবন । ২। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্ৰ শস্তক্ষেত্রের মালিকেরা যাহাতে অল্প খরচে কুষিযন্ত্র ব্যবহার করিতে পারে তাহার ব্যবস্থা এবং এই উদ্দেশ্যে যৌথব্যবসায়ের প্রতিষ্ঠা ও প্রচলন। ৩। কৃষক-সম্প্রদায়কে সাধারণভাবে যন্ত্রবিদ্যা শিখান আবশুক । ৪ । স্থান ও অবস্থা বিশেষে কৃষিকার্য্যের পদ্ধতি ও কুষ্যিন্ত্রের ব্যবহার শৃঙ্খলাবদ্ধ করা প্রয়োজন । ৫ । দেশবিশেষে কৃযিযন্ত্র ব্যবহার করিলে কি প্রকার সামাজিক পরিবর্তন হইতে পারে তাহা ভাবিয়া দেখা । উপরিউক্ত বিষয়গুলি লইয়া সংক্ষেপে কিছু আলোচনা করা অপ্রাসঙ্গিক হইবে না । ১ । কৃষিযন্ত্রের প্রসার ও উন্নতিসাধন –ইংলও, জার্শ্বেনী, আমেরিক প্রভৃতি দেশে অল্পব্যয়ে অধিকতর কাৰ্য্যকরী কৃষিষন্ত্রের উদ্ভাবনের প্রচেষ্টা হইতেছে এবং এই প্রকারে কৃষির্যন্ত্রগুলি ক্রমেই অধিকতর শক্তিশালী এবং কাৰ্য্যক্ষম হইতেছে । আজকাল অনেক জায়গায় কৃষিকার্ধ্যে ব্যবহৃত শকটাদির চাকাতে বায়ুপূর্ণ রবারের নল ব্যবহার করা হয়। হিসাব করিয়া দেখা গিয়াছে যে এই উপায়ে যাদি বাবদ ব্যয় শতকরা ৩-২ টাকা কমাইতে পার षत्रि ! चाचकांश तक शागाशि cषांछ १झ थष्ट्रङि छरुद्र gS----३ কৃষিকাৰ্য্য-পরিচালনার আধুনিক প্রণালী \9y পক্ষে আহারোপযোগী করিয়া রাখিবার জন্ত অধিকতর উন্নত প্রণালী আবিষ্কৃত হইয়াছে এবং ক্লাবদিগের মধ্যে ইহার ব্যবহার ক্রমেই বৰ্ধিত হইতেছে। গোময়, গোমূত্র, অশ্ববিষ্ঠা প্রভৃতি গৃহজাত সার ক্ষেত্রে ব্যবহার করিবার জন্ত নূতন নূতন উন্নত প্রণালী উদ্ভাবিত হইতেছে। জাৰ্শেনীতে কৃষির্যন্ত্ৰ নিৰ্ম্মাণের জন্য উচ্চশ্রেণীর ইস্পাতের ব্যবহার বিশেষভাবে প্রচলিত হইয়াছে। জমিকৰ্ষণ, শস্তবপন, শস্তকর্ষণ প্রভৃতি কৃষিকার্ষ্যের জন্ত ট্রক্টর, রোটারি টিলার প্রভৃতি উদ্ভাবিত যন্ত্রগুলির উন্নতিসাধন বিভিন্ন উপায়ে করা সম্ভব। কোন স্থলে এক ফালি ( one furrow ) লাঙ্গলের বদলে তিস অথবা চারি ফালির লাজল ব্যবহার করা প্রয়োজন। কখন বা ভূমিকৰ্ষণ, শস্তবপন এবং সার-বিতরণ পর-পর একই ধন্ত্রের সাহায্যে সম্পন্ন করা হয়। অনেক সময়ে যন্ত্রের কার্য্যকারিতা বৰ্দ্ধিত করিবার জন্ত উহার গতিশক্তি বাড়াইয়া দেওয়া দরকার । শেষোক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করিলে যন্ত্রকে এরূপ উপাদানে নিৰ্মাণ করা আবগুক যাহাতে উহা ভূমিকৰণের উপযোগী বল ধারণ করিতে পারে। কারণ যে লক্ষল ঘণ্টায় দুই মাইল জমির চাযে, উত্তমরূপে সাহায্য করিতে পারে তাহাদের দ্বারা ঘণ্টায় চারি মাইল জমির চাষের জন্ত চেষ্টা করিলে পূর্বের মত সন্তোষজনক ভাবে জমির চাষ হইবে না। এইরূপ স্থলে এঞ্জিনীয়রদিগের গবেষণা কৃষিকার্ধ্যে প্রকৃত উপকারে আসিতে পারে। পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে, ইউরোপের অধিকাংশ দেশে, আমেরিকা ও ক্যানাডায় সকল প্রকার কৃষিকার্ব্যের জল্প ক্রমেই অধিকতর শক্তিশালী এঞ্জিনের ব্যবহার হইতেছে এবং যে-সকল স্থানে বৈদ্যুতিক শক্তির ব্যবহার বিশেষ ব্যয়সাপেক্ষ নহে সেই সকল স্থানে বৈদ্যুতিক মোটরের ব্যবহার কুযিযন্ত্রের পরিচালনাকে বিশেষ সহজসাধ্য করিয়াছে । নিয়ে কতকগুলি আধুনিক কৃষিষত্রের চিত্র দেখান হইল । ২। রুষিষন্ত্রের প্রচলনের জঙ্ক যৌথ ব্যবসায়ের উপকারিত –অনেক সময়ে ছোট ছোট ক্ষেত্রের মালিকদিগের পক্ষে আধুনিক কৃষিযাদি উপকারী হইলেও বছব্যয়সাপেক্ষ বলিয়া ব্যবহার করা সম্ভব হয় না । এই সকল স্থানে ভাল বন্দোবস্ত থাকিলে একই যন্ত্রের সাহায্যে কয়েক জন