পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\రిvరిఇ প্রবাসী ১N©3২ কয়েকটি জায়গায় দেখিয়ে নিয়ে বেড়ালে। একটি ছোট্ট দোকানের মতন ঘর, তার দরজায় টোকা মারতেই একটি বর্ষীয়সী স্ত্রীলোক দরজা খুলে দিলে। ভেতরে ঢুকে দেখি অবাক কাণ্ড। ওই ছোট ঘরটিতে প্রায় এক-শ লোক মেয়ে-পুরুষ ঠাসাঠাসি ক’রে নৃত্য করছে। চতুর্দিকে হাসির হরর ও উৎকট মদের গন্ধ । নানা জাতের লোক আছে, তার ভেতর ছ’টি বাঙালী ছেলেকেও নাচতে দেখেছি। আমার মনে হ’ল এদের মা-বাপ জানেও না যে ছেলে বিদেশে এক শিক্ষালাভের উদ্দেশুে এসে আর এক শিক্ষা করছে। অবশু নৃত্য জিনিষটা এখন আমাদের দেশে খুবই চলছে। এখানে দশ মিনিট থাকবার পর আমরা অন্ত জায়গায় গেলুম। অনেক কাল আগে এটি কারাগার রূপে ব্যবহৃত হত, এখন যত নিষ্কৰ্ম্মা লোকদের নৈশ আমোদ-প্রমোদের জায়গা হয়েছে। এর ভেতর নাচ, গান, থিয়েটার, ট্যাবলো সবই হচ্ছে। এখান থেকে আরও কিছুদর গিয়ে একটি বড় বাড়ির সামনে নামলুম। বাইরে থেকে সমস্ত বাড়িটিকে দেখলে বোঝা যায় যে এক-এক তলায় এক একটি অফিস ও নানান জিনিষের দোকান ইত্যাদি আছে। কিন্তু এর সব চেয়ে নীচের তলায় অন্ত ব্যাপার। এরও সদর দরজা বন্ধ ছিল। ঘণ্টা দিতেই চাকর খুলে দিলে। আমরা প্রায় কুড়ি-পঁচিশ জন লোক ভেতরের হলে এলুম। সেখান থেকে একটি বড় লিফটে করে প্রায় দোতালার সমান নীচেয় নেমে এসে দেখি যেন একটি বড় শহর। তাতে দোকানপাট, নাচ, গান, থিয়েটার, সাতার দেওয়া, সব চলছে। কৃত্রিম হ্রদের উপর ইতালীর ভেনিসের নকলে তৈরি বাড়িঘর। জলের উপর নৌকা চলছে, বাড়ির বারান্দায় ইতালীয় পোষাকে সজ্জিত প্রেমিকযুগলের প্রেমের গানও হচ্ছে। কয়েকটি নৃত্যপরা অঞ্চারার অৰ্দ্ধনগ্ন পরিচ্ছদ ও ভাবভঙ্গী দেখে মনে হ'ল এরা বোধ হয় জন্মাবার সঙ্গে সঙ্গেই লজ্জাসরমে জলাঞ্জলি দিয়েছে। এ-সব নাচে বোধ হয় প্রৌঢ় ও বৃদ্ধার অধিকার নেই, কেননা দেখলুম তারা আমাদেরই মত দর্শক মাত্র। স্বদক্ষ নৰ্ত্তকের হাতে স্বন্দরী নর্তকীরা যেন খেলার পুতুল, তাদের নিয়ে লোফালুফি করা এবং কাধে ও মাথায় বসিয়ে তাণ্ডব নৃত্য করা দেখে মনে হ’ল এদের শরীর যেন পালকের তৈরি, হাড় বলে কোন পদার্থ নেই। খুব ছোটবেলায় আমাদের বাড়ির এক পুরাতন বিয়ের মুখে গল্প শুনেছিলুম, পেরথম পক্ষের ইন্তিরী স্বোয়ামীর পাতে বসে খায়। দ্বিতীয় পক্ষের সাথে বসে খায়, আর তৃতীয় পক্ষের হ’লে একেবারে কাধে চড়ে খায়। এখন এই নাচ দেখে মনে হ'ল যে-কোন পক্ষের স্ত্রী হোক, শুধু খাওয়া কেন, এদের মত শরীর স্বগঠিত হ’লে বোধ হয় কাধে চড়ে পৃথিবী পরিভ্রমণ করতেও পারা যায়। আমরা প্রায় সন্ধ্যা ছাঁটার সময় হোটেলে ফিরে এলুম। রাত্রে এফেল টাওয়ারটি সমস্ত আলো দিয়ে সাজন হয়। প্যারিস শহরটিও রাত্রে বিজ্ঞাপনের আলোর মালাতে খুব ঝলমল করে। প্যারিস জামাদের দু-বার দেখা হয়েছিল। দু-বারের বিবরণ একবারেই মোটামুটি জানালাম। অনেক জিনিষ হয়ত বাদ পড়লো। প্যারিস সম্বন্ধে পাচ জনের কাছে গল্প গুনে ও বইয়ে পড়ে আমার ধারণা হয়েছিল, এদেশের লোক যেমন সৌধীন, হয়ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নও নিজেরা তেমনই থাকে ; কিন্তু ক'দিন বসবাস করে বুঝলুম বাহিক আড়ম্বর খুব বেশী। ট্রেনে যাচ্ছি, দেখি এক স্ববেশ যুবতী চলেছেন, পরনে দামী সিস্কের লেসের গাউন, ভেতরের জামা যে কত দিন কাচা হয় নি তার ঠিক নেই, পাশে বসতেই সুন্দরীর গায়ের বোটক গন্ধে প্রাণ আনচান করে উঠল। তার নিজের কায়দা ঠিক আছে কিন্তু, গন্তব্য স্থানে নামবার আগে ঠোঁটে লাল বাতি ঘসে, চোখে কাল কালি টেনে, আঙুলের নখে নখে লাল অৰ্দ্ধচন্দ্র করে হাতের তেলোতে ও গালে উৎকৃষ্ট পুষ্পসার মাখতে কোথাও ভুলচুক হ’ল না। পুরুষমানুষের গায়েও এমন ধারা গন্ধ পাওয়া যায়, তাদের আর এই ধরণের উপরি প্রসাধনের উপকরণ সঙ্গে থাকে না। এখানে প্রত্যেক লোকই যে এ-রকম তা নয়, তবে শতকরা আশী জন ত বটেই। এখানে পাচ দিন থাকবার পর আমরা ট্রেনে ক'রে ক্যালে গেলুম। ঘন্টাখানেক ধ'রে ইংলিশ-চ্যানেলে সমুদ্রযাত্র ক'রে ইংলণ্ডের তীরে ডোভার বন্দরে নাম হ’ল। ইংলিশচ্যানেলের জলের রং ঠিক হাওলার মত। ডোভারে নামবার পর কাষ্টমস পরীক্ষার পালা। আমাদের বাক্স-পেটরা সব খুলে দেখালুম। বাইনেকিউলার দেখে জিজ্ঞাসা করলে এটা কোথায় ও কবে কেনা। জবাব দিলুম, ७ü च्षांभांब्र चल८ब्रग्न हिल, जांभांग्र चांभैौ s>२० गांटल ইংলওে পাঠ্যাবস্থায় যখন ছিলেন তখনও এটা তার সঙ্গে