পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

瓦评寻 ছদ্মবেশ ও তুচ্ছ বহিরাচারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। যেরূপ ভাব দেখা যাইতেছে তাহাতে এই সামান্য বাহিক বৈষম্য লোপ পাইতেও খুব বিলম্বের কারণ দেখা যায় না। মহাশ্মশানের গলিত শবলোলুপ ইতর প্রাণীর ন্যায় ভোগের উপাদান লইয়া বিশ্বের বুকে মানুষ কাড়াকড়ি জুড়িয়া দিয়াছে। স্বগাত্ররুধিরমিশ্রিত শুষ্কঅস্থিখওচৰ্ব্বণনিরত আত্মতুষ্ট শুগাল-কুকুরের স্থায় মানুষ আজ নিজের শোণিত ঢালিয়া এখানে অপরের অস্থিচৰ্ব্বণে তৃপ্তিলাভ করিতেছে। দেহ আজ আত্মার সমাধিতে পরিণত, চৈতন্য জড়ের জঞ্জালে আচ্ছন্ন, ভাব বস্তুর চাপে স্তম্ভিত, মানুষের বিবেক পশুত্বের অনবরত আঘাতে অনন্ত মূৰ্ছায় অভিভূত, ক্ষুদ্র স্বার্থের প্রয়োজনে বৃহত্তর স্বার্থ উপেক্ষিত। এক কথায় হিংস্রপ্রবৃত্তি সঙ্কুল দেহ-সমূত্রে আজ মানবাত্মা মোহনিগ্রামগ্ন। অন্তরের জঘন্য দৈন্য ঢাকিবার জন্য এ যুগের চিত্তহীন বিত্তশালীর দল বাহিরে বিচিত্র আড়ম্বর-আয়োজনের স্বষ্টি করিয়াছে। এই সভ্যতার বাহিরে বিপুল চাঞ্চল্য, অস্তরে ভীষণ পক্ষাঘাত । প্রাচ্যের মহাকবি এই সব প্রাণহীন আড়ম্বরকে ধিক্কার দিয়া বলিয়াছেন, ‘সঙ্গ যত লজ্জা ভরা চিত্ত যেথা নাই ।” বাহিরের এই সব অনাবশুক বাহুল্য হইতে মুক্ত করিয়া শুধু মহন্তত্বের দিক্ হইতে দেখিতে গেলে এ যুগের মহুস্তত্ব দেউলিয়া হইয়া গিয়াছে। অখণ্ড মানবতার সেবক মহাপ্রেমিক ম্যাক্সিম গর্কি, বিশ্বব্যাপী ঘৃণা ও উত্তেজনার মধ্যেও যিনি অকম্পিত হস্তে fosso, viifoto-Love is the mother of life, not hate, তিনি স্থদীর্ঘ অভিজ্ঞতায় বৰ্ত্তমান মন্থয়ত্বের শোচনীয় চিত্র অঙ্কিত করিয়াছেন, “All hearts are smitten in the conflict of interests, all are consumed with a blind greed, eaten up with envy, stricken, wounded and dripping filth, falsehood and cowardice. All people are sick, they are afraid 10 live, they wander about as in a mist. Everyone feels only his own toothache” - বর্তমান সভ্যতার লক্ষ্য-সকলকে অতিক্রমপূর্বক উন্নতি। পৰ্ব্বতশৃঙ্গ যেমন স্পন্ধিত উন্নতির মধ্যে ক্রমসংকীর্ণতা লাভ করে, ইহার উন্নতির গতিও তেমন ক্রমাগত সংকীর্ণতার দিকেই চলিয়াছে। প্রাচীন সভ্যতাসমূহের আদর্শ ছিল বিস্তৃতি, তাই তাহদের মধ্যে ছিল সকলের স্বীকৃতি, যথেষ্ট প্রেম ও বিনতি। প্রাচীন সভ্যতা ছিল সমাজ বর্তমান জীবন-সমস্তার ভারতীয় মীমাংসা 愈心° প্রধান, সামাজিক স্থনীতির ফলেই ঘটিয়াছে উহার পতন ; আর বর্তমান সভ্যতা রাষ্ট্রপ্রধান, রাষ্ট্রীয় ব্যভিচারের পথেই আসিতেছে ইহার পতন। সামাজিক আধিপত্যের বলে ভারতের বিপ্রজাতি বিরাট শূদ্র জাতিকে মন্থন্তত্বের অধিকারে বঞ্চিত করিয়া সেই পাতিত্যের আকর্ষণে নিজেরাও পতিত হইয়াছে। ভারতীয় সমাজ পতনের ইহাই ঐতিহাসিক কারণ। আর রাষ্ট্রীয় প্রতিপত্তির সাহায্যে এই যে পৃথিবীময় পতিত ক্রীতদাসের দল স্বই হইয়াছে, ইহাদের আকর্ষণ-বিকর্ষণের প্রভাব এড়াইয়া আজিকার মুষ্টিমেয় আভিজাত সম্প্রদায় কি আত্মরক্ষা করিতে পারিবে ? History repeats itself ® *^if}α τψ τ f fqyta, সত্য থাকে তবে উহার ধ্বংস অনিবাৰ্য্য। বিশাল গ্ৰীক ও রোমক সাম্রাজ্য একদিন কামনার সমূত্রে ডুবিয়া গিয়াছিল। wizo Gio dissolving of life in wine and woman-off $R] ভুলিয়া,—উহাদেরই উত্তরাধিকারী পাশ্চাত্য ও তাহার প্রভাবাধীন সভ্যজগৎ কাম ও কাঞ্চনের অবাধ অনুশীলনে আত্মহারা। বর্তমান সভ্যতায় মানুষের মমত্ববুদ্ধি বিষ্কৃত হইয়া জাতীয়তার ঘূর্ণাবর্তে আবদ্ধাবস্থায় পাক খাইতেছে। মানবতার শঙ্খধ্বনি করিয়া, এই সঙ্কীর্ণ জাতিগত মমত্ববুদ্ধিকে বিশ্বময় ছড়াইয় দিবার মত কোন শক্তিধর পুরুষের আবির্ভাব অদ্যাপি ইউরোপে না হওয়ায়, জাতীয়তাই তথায় চরম সত্যরূপে পরিগণিত এবং এই স্বাদেশিকতার বরেণ্য গরিমার অন্তরালেই ইউরোপের যাবতীয় দুবুদ্ধির অবাধ অনুশীলন চলিতেছে। এই জাতীয়তার দোহাই দিয়াই আজিকার মমুন্যত্ব আত্মঘাতী হইতে বসিয়াছে। জন রাস্কিন জাতীয়-আত্মরক্ষার নামে মকুন্তত্বের আত্মহত্যা সম্বন্ধে বলিয়াছেন, The first reason for all wars and necessity of national defences is that the majority of persons high and low in all European countries are thieves. কাউণ্ট টলষ্টয় এই স্বাদেশিকতাকেই বৰ্ত্তমান মচুন্যজাতির দুর্ভোগের অন্যতম প্রধান কারণ রূপে উল্লেখ করিয়াছেন, I have several times expressed the thought in, our day... that the feeling , of patriotism is an unnatural irrational and harmful feeling and a cause of the great part of ills from which mankind is suffering. .