বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कोड्छन्। ब्रडौब्र छन्भशां جها . —ধুতি এক জোড়া— দে বলিল—এস এল কত্তা এস—যেমন ধুতি চাও তুমি— যেমন পাড়টি নেবে তেমনি পাবে—এস, এস। গোসাই বলিল—তা হলে আমি এখন উঠি ? ঘরে ঢুকিতে ঢুকিতে দে বলিল—বন্ধন বস্কন, তামাক খান—এই দেখুন কৰে গন গন ক’রে ধীরে উঠেছে। এস হে কত্তা–ক-গজা ধুতি নেবে, পুরগজ চুয়াল্লিশ না কি ? গোঁসাই হক-কন্ধে লইয়া বসিয়া বলিল—তোমার শিৰু কই হে—কোথাও গেল না কি ? ঘনশ্ৰাম বলিল—বলেন কেন, আজকাল আসতে ভারী দেরি করছে। বলে, ধানকাটার সময়, একবার মাঠ ঘুরে আসতে হয় । এমন দেরি করলে আমিও মাইনে কাটব । গোসাই হকায় টান মারিয়া বলিল—স্থ । ঘনপ্তাম প্রশ্ন করিল—স্থ কি রকম ? হকায় ঘন ঘন টান দিতে দিতে গোসাই বলিল—বলব, খদের বিদেয় কর । ক্রেতাকে লইয়া ঘনগুাম দোকানের ভিতরে প্রবেশ করিল। দোকানের সম্মুখেই ডিট্রিক্ট বোর্ডের রাস্ত, দুই-চারি জন করিয়া লোক চলিয়াছেই । গোঁসাই তামাক খাইতে খাইতে পথিকদের দিকে চাহিয়া ছিল। ছায়াছবির মত কেহ যায় কেহ আসে। দে তখন খরিদারকে বুঝাইতেছিল—পয়সা ধর-গা যেয়ে তোমার এক আনা কম–কিন্তু কাপড় কম হ’ল দশ হাত ছ-ইঞ্চি করে। আঠার ইঞ্চিতে হাত–মানে এক-শ-আশী ইঞ্চি লম্বী—স্থ-ইঞ্চি চওড়া, এই এতটা কাপড়—ও তুমি চুয়াল্লিশই নিয়ে যাও। গোসাইয়ের বন্ধধৈব কুটুম্বকম্ সে পথচারীদের সঙ্গে আলাপ করিয়া চলে। - —কি রকম, উজীর সাহেব যে ! সেলাম পৌছে খোদাবাদ ! க_. সম্বোধিত ব্যক্তিটি স্থানীয় জমিদার-বাড়ির নায়েব, সে হাসিয়া উত্তর দিল—প্রণাম গোসাইজী । তার পর কেমন আছেন ? 鲁 —যেমন রেখেছেন আপনারা—আপনারাই হলেন মালিক, আপনাদের রাজ্যেই আমাদের বাস । নায়েব উত্তর খুজিয়া না পাইয় গুধু হাসিতে লাগিল । গোঁসাই বলিল—তার পর, কাল যে তোমাদের ইন্দ্রসভায় গিয়েছিলাম। নায়েব আশ্চৰ্য্য হইয়া গেল। গোঁসাই বলিল—জ্যেষ্ঠ পুত্র কুলশ্রেষ্ঠ গো—বড়-হুজুর, তোমাদের বড়-হুজুরের আড্ডায়। ও ইন্দ্ৰসভাই বটে রে বাবা। অনেক কথা হ’ল, বলব। নায়েব বলিল-আম্বন না বেড়াতে বেড়াতে একটু। গোঁসাই উঠিল। নায়েব মৃদ্ধস্বরে প্রশ্ন করিল—আমার সম্বন্ধে কিছু শুনলেন না কি ? —ন, মানে, প্রকাস্তে কিছু নয়, তবে— গোঁসাই নীরব হইল। বিপুল ব্যগ্রতাভরে নায়েব বলিল—তবে ? একটু ইতস্তত করিয়া গোসাই বলিল—না এমন ইয়ে ঠিক নয়—তবে আমার মনে হ’ল—ধর ফিস্ ফিস্ ক'রে কথা— দু-একটা যাকে বলে ফুকলে এসে কানে ঢুকল। তোমার নাম যেন বার-দুই, হরেকেষ্ট হরেকেষ্ট শুনলাম । —ফিস্ ফিস্ করে কথা ? কে কার সঙ্গে কইলে ? আরও একটু গলা নাযাইয়া গোসাই বলিল-আমাদের তখন হররা চলছে। এমন সময় মেজকৰ্ত্ত এসে হাজির । তার পর দুই ভাই—মানে, বড়কে এক পাশে ডেকে—ফিসফিস করে—বুঝলে কি না—। —ব্যাপার কিছু বুঝতে পারলেন না ? —ওই যে বললাম নাম তোমার বার-কয় হ’ল। আসল কথা কি জান, বিশ্বাস ত ওরা কাউকে করে না ! স্বভাবই ওদের হল ওই । আচ্ছ, ব্যস্ত হয়ে না তুমি, দু-এক দিনের মধ্যেই বড়-জনার কাছে আমি সব জানছি। নায়েবের মনশ্চক্ষুর সম্মুখে তখন মেজবাবুর অসংখ্য ভ্ৰকুটকুটিল মুখচ্ছবি ভাসিয়া চলিয়াছে। প্রত্যেক ভ্ৰকুটটি যেন তাহারই দিকে উদ্যত হইয়া আছে। সে কাকুতি করিয়া গোঁসাইয়ের হাত ছটি ধরিয়া বলিল—কেনা হয়ে থাকব আপনার । গোঁসাই বলিল—ম ভৈঃ ! ভয় কি তোমার! তুমিও ছুটো-চারটে এমন প্যাচ কষে রাখ–যেন তোমার হাতছাড়া সে-প্যাচ না খোলে। সাতচল্লিশ ফোটার খেলা—ও তোমার হাতের প্যাচেই আধ-শে। বুঝেছ।