পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SNరి8R ফ্লোরেন্স—আরনো নদীর সেতু টিকিট ভেজাবার চেষ্টা চলছে, তথন থাকৃতে না পেরে জিজ্ঞাসা করলুম, তোমরা টিকিট মারবার জন্য একটি বাটি ক’রে জল রাখ না কেন ? সে বোধ হয় এ রকম প্রশ্ন জীবনে এই প্রথম শুনলে । একটু অপ্রস্তুত হয়ে বললে, চাকরে জল রাখতে ভুলে গেছে। তাকে বললুম, চাকরকে বল এক্ষুনি জল এনে দিক। আর কখনও ও-রকম ক'রো না। ও বড় বদ অভ্যেস। এ কথা বলবার পর যে কয়দিন ভিয়েনায় এই হোটেলে ছিলুম, দেখতুম টেবিলের উপর একটি ছোট পাত্রে জল থাকৃত । আমার একটু দাতের কষ্ট থাকায় এক দিন ডাক্তার ফেলিক্স ডয়সের কাছে দাত দেখাই এবং তার জন্য আমাকে আঙল দিয়ে দাতের মাড়ি খানিক ক্ষণ চেপে থাকৃতে হয়েছিল। দাত পরীক্ষা হয়ে গেলে আমার হাত ধোবার ইচ্ছ তাকে জানালুম । তিনি ব্যস্তসমস্ত হয়ে ঘরের এ-কোণ থেকে ও-কোণ পয্যন্ত চোখ বুলিয়ে দেখে বললেন, "জল ত এথানে নেই, জলের বড় মুস্কিল, আমি আপনার অন্য উপায়ে হাত পরিষ্কার ক’রে দিচ্ছি। এই বলে তিনি তুলোতে একটু স্পিরিট নিয়ে হাতের আঙুল মুছিয়ে দিলেন। এক জন বড় ডাক্তারের রোগী দেখবার জায়গায় একটু জলের বন্দোবস্ত থাকে না, এটা একটু আশচর্য্যের কথা । সাধারণ লোকে ধে জলের কৃপণতা করবে সে আর বিচিত্র কি ? ভিয়েনা পরিত্যাগ করবার আগে অধ্যাপক ফ্রয়েডের কাছে দেখা করবার জন্য গেলুম। র্তাকে অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে তার কাছ থেকে আমরা বিদায় নিয়ে এলুম। আমরা বিদেশী লোক, ভিয়েনার কিছু জানা ছিল না। প্রফেসর সিগমুণ্ড ফ্ৰয়েড, মিস্ অ্যান ফ্রয়েড, ডাক্তার ব্রুনসভিক প্রভৃতি এরা সকলে আমাদের যা আদর-যত্ন করেছিলেন, তা চিরদিন মনে গাথা থাকবে । এদের সাহায্য না পেলে আমাদের এতটা মুখ সুবিধা হ’ত না । এ সময় ভিয়েনায় বেশ গরম ছিল । গরম জামা পরবার দরকার হ’ত না । আমি রাস্তায় বেরবার সময় কিন্তু ওভারকোটটা পরে নিতুম। তা না হ’লে শুধু শাড়ীপর দেখলে লোকে বডড ফ্যালফেলিয়ে চেয়ে থাকে ও একটু থামলেই সেখানে রীতিমত ভিড় জমে যায়। কোট ঢাকা থাকুলে অনেকটা স্ববিধা। শুনলুম শীতের সময় ভিয়েনা বেশ ঠাণ্ড । রিয়াণ্টে সেতু-ভেনিস